নয়াদিল্লী, ১২ ফেব্রুয়ারি - অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছে গত রোববার। তিনদিন পেরিয়ে গেলেও, সে ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে আলোচনার কমতি নেই। যেখানে সবশেষ যোগ দিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিষান সিং বেদি। জমজমাট ফাইনালে ম্যাচে ভারতীয় যুবাদের ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ম্যাচে জয়-পরাজয়ের পাশাপাশি বড় হয়ে সবার চোখে ধরা পড়েছে দুই দলের খেলোয়াড়দের অশোভন আচরণের বিষয়টিও। ম্যাচের একদম প্রথম ওভার থেকেই দেখা গেছে উত্তেজিত দুই দল। অসাধারণ এক ডেলিভারিতে ফর্মে থাকা যশস্বি জাসওয়ালকে পরাস্ত করে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন শরীফুল ইসলাম। পরের ওভারে রীতিমতো বাগযুদ্ধেই মত্ত হয়েছিলেন দিব্বংশ সাক্সেনা ও তানজিম হাসান সাকিব। আম্পায়ারের মধ্যস্থতায় থামে সেই ঘটনা। দুই দলের খেলোয়াড়দের এই উত্তাপ বিরাজ ছিল ম্যাচজুড়ে। একটি ভালো ডেলিভারিতে বোলাররা যেমন চোখ রাঙানি দিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের তেমনি দারুণ শট খেলে ব্যাটসম্যানরাও জবাব দিয়েছেন যথাযথভাবে। মাঠের খেলায় বোলার-ব্যাটসম্যানের এ লড়াইটা ছিল বেশ উপভোগ্য, পুরোপুরি ক্রিকেটীয়। কিন্তু সবকিছুর মাত্রা ছাড়িয়ে যায় ম্যাচ শেষে শিরোপা উদযাপনের সময়। বাংলাদেশ দল যখন পতাকা হাতে উদ্দাম উদযাপনে ব্যস্ত, তখন হুট করেই দেখা গেল একটা জটলার মধ্যে প্রায় হাতাহাতির অবস্থা দুই দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে। কোচিং স্টাফদের মধ্যস্থতায় থামে সে দফার ঝগড়া। এর খানিক পরই দেখা যায়, বাংলাদেশের পতাকা টানছেন ভারতের জার্সি পরা এক খেলোয়াড়। মূলত উদযাপনরত খেলোয়াড়দের কাছ থেকে পতাকা ছিনিয়ে নেয়াই ছিল উদ্দেশ্য। সে ঘটনা টিভি স্ক্রিনে ধরা পড়তেই সরিয়ে নেয়া হয় ক্যামেরা। তখন যে ঘটেছিল আপত্তিকর কিছু- সে বিষয়ে আর সন্দেহ থাকে না কারোরওই। ভারতীয় যুবাদের এমন আচরণ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ৭৩ বছর বয়সী বেদি। সাবেক অধিনায়ক ও বাঁহাতি স্পিনারের মতে, বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা যাই করুক না- বিপরীতে ভারতের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে এমন আচরণ একদমই মানার মতো ছিলো না। বিশেষ করে ম্যাচ হারের পর স্বাভাবিক না থেকে এমন উদ্ধ্বত আচরণে বেশ মর্মাহতই হয়েছেন ভারতকে ২২ টেস্টে নেতৃত্ব দেয়া বেদি। তিনি বলেন, আপনি ব্যাটিং বা বোলিং খারাপ করতে পারেন। এমনটা হয়েই থাকে। কিন্তু বাজে আচার-আচরণের জন্য কোনো অজুহাত থাকতে পারে। এটা পুরোপুরি ন্যাক্কারজনক ও অসম্মানজনক ছিলো। বাংলাদেশের ছেলেরা কী করেছে, সেটা ওদের সমস্যা। আমাদের সমস্যা হলো আমাদের ছেলেরা কী করলো। এটা ঠিক হয়নি। এসময় যুব বিশ্বকাপে খেলা উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের বয়স নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বেদি। তার মতে সেমিফাইনালে খেলা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান- তিন দলের খেলোয়াড়দের বয়সই ছিলো অনূর্ধ্ব-১৯র বেশি। এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে বেদি বলেন, অনূর্ধ্ব-১৯ বয়সে যে কোমলতা বা নিষ্পাপ বিষয়টা থাকার কথা, সেটা একদমই ছিলো। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ- যে এশিয়ান দলগুলো সেমিফাইনালে উঠলো... আপনি কয়েক মাইল দূর থেকেই বলতে পারবেন, এদের বয়স কখনওই অনূর্ধ্ব-১৯ নয়। কয়েক বছর আগে বেশি বয়স নিয়ে রাহুল দ্রাবিড় কথা তুলেছিল। আমাদের কী হলো? আমি সত্যিই হতাশ। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১২ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2UIUo1d
February 12, 2020 at 04:13AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন