ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি- মিরপুর টেস্টে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসকে টপকে লিডের খাতাও খুলে ফেলেছে টাইগাররা। মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহীমের চওড়া ব্যাটে তৃতীয় দিনের প্রথম আধা ঘণ্টা নির্বিঘ্নেই পার করেছে স্বাগতিক দল। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৮০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬৭ রান। লিড ২ রানের। মুমিনুল হক আছেন সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। ৮৮ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন টাইগার অধিনায়ক। হাফসেঞ্চুরির খুব কাছে মুশফিকও, আছেন ৪৯ রানে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। তবু এই টেস্টটা বাংলাদেশের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সর্বশেষ ৬ টেস্টের মধ্যে ৫টিতেই ইনিংস পরাজয় দেখা টাইগারদের যে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটিই পারে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে। সেই আত্মবিশ্বাস ফেরানোর লড়াইয়ে বেশ ভালোই করছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই ওপেনার সাইফ ও তামিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান ডানহাতি সাইফ। পরের ওভারে তামিমের ব্যাট থেকেও আসে দুই চার। মাত্র ৩ ওভারেই ১৮ রান করে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু চতুর্থ ওভারের শেষ বলে হালকা বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ব্যাট এগিয়ে দেয়ার ভুল করে বসেন সাইফ। ফলে তার ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভার হাতে। সমাপ্তি ঘটে সাইফের ১২ বলে ৮ রানের ইনিংসের। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আর বিপদ ঘটতে দেননি নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তামিম ইকবাল। দুজন মিলে ৪ ওভার খেলে যোগ করেন ৭ রান। পরে দ্বিতীয় সেশনেও দারুণ ব্যাট করেন এ দুজন। পাল্লা দিয়েই নিজেদের রান বাড়াচ্ছিলেন শান্ত ও তামিম। মনে হচ্ছিল, দুজনই তুলে নেবেন ফিফটি। কিন্তু দলীয় ৯৬ রানের মাথায় অফস্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন তামিম। সমাপ্তি ঘটে তার ৮৯ বলে ৪১ রানের ইনিংসের, একইসঙ্গে ভাঙে শান্তর সঙ্গে ১৫৯ বলে ৭৮ রানের জুটি। তামিম না পারলেও বিরতির এক ওভার আগে ফিফটি তুলে নেন শান্ত। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করতে খেলেন ১০৮টি বল, হাঁকান ৬টি বাউন্ডারি। পরে বিরতির ঠিক আগের ওভারে মারেন আরও একটি বাউন্ডারি। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুল হককে নিয়ে শান্ত গড়েন ৭৬ রানের জুটি। কিন্তু ৫০তম ওভারে এসে বোকার মতো আউট হয়ে বসেন শান্ত। অভিষিক্ত তিশুমার বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১৩৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে গড়া শান্তর ৭১ রানের ইনিংসটি থামে তাতেই। তবে এরপর মুমিনুল আর মুশফিকুর রহীম দলকে আর বিপদে পড়তে দেননি। দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে ২১.২ ওভারের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন থাকেন তারা। অবিচ্ছিন্ন আছেন তৃতীয় দিনের সকালেও। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২৪ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2VdrTsJ
February 24, 2020 at 06:31AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top