ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি - মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক পরপর বাউন্ডারি মেরে তিন অঙ্কে পৌঁছেছিলেন মুশফিকুর রহীম। উদযাপনে ছিলো না তেমন কোনো বাড়তি উচ্ছ্বাস। ব্যাটটাকে ঘুরিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন, আমার হয়ে কথা বলছে আমার এই উইলো। পরে শুধু সেঞ্চুরি করেই থেমে যাননি দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। দিনের খেলা শেষ হওয়ার কয়েক ওভার আগে আইন্সলে দলুভুর অফস্টাম্পের বাইরের বলে স্কয়ার কাট করে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান এ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। একশ করার পর উদযাপনের মাত্রা বেশ নিয়ন্ত্রিত হলেও, দুইশ পূরণ করার পর যেন বাঁধনহারা মুশফিক। প্রথমে ব্যাটটাকে বাতাসে ঘুরিয়ে লাফিয়ে উঠে উদযাপন সারেন ডাবল সেঞ্চুরির। পরে গ্লাভস, হেলমেট খুলে কাউকে ভয় দেখানোর মতো ভঙ্গিতে গর্জন করে উঠেন মুশফিক। স্বাভাবিকভাবেই তার এমন ক্ষ্যাপাটে ও ভয় দেখানো উদযাপন প্রশ্ন জাগায় সকলের মনে। ডাবল সেঞ্চুরি তো আগেও করেছেন মুশফিক, তাও একবার নয়, দুইবার। কিন্তু তৃতীয়বারে এসে এমন বাড়তি মাত্রা পেলো ডাবল সেঞ্চুরির উদযাপন। এর কারণটা কী? দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এর কারণ নিজেই খোলাসা করেছেন মুশফিক। জানিয়েছেন, নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিটা উৎসর্গ করছেন দুই বছর বয়সী ছেলে শাহরুজ রহীম মায়ানের উদ্দেশ্যে। মূলত ছেলে ডায়নোসর পছন্দ করে দেখেই, অমন ক্ষ্যাপাটে উদযাপন করেছিলেন তিনি। মুশফিক বলেন, এই ডাবল সেঞ্চুরিটা আমার ছেলের জন্য। ওর কথা ভেবেই আসলে অমন উদযাপন করেছিলাম। এখন ওর সবচেয়ে পছন্দের জিনিস হলো ডায়নোসর। তাই আমিও ডায়নোসরের মতো করে ভয় দেখানোর ইঙ্গিত করছিলাম। এসময় মুশফিক আরও জানান, সেঞ্চুরি পূরণ করার পরপরই তার পরিকল্পনায় চলে এসেছিল ডাবল সেঞ্চুরির কথা। নিখাদ ব্যাটিং উইকেটে ধৈর্য ও মনোযোগ ধরে রেখে দ্বিশতকে পৌঁছতে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেন মুশফিক। তিনি বলেন, একশ করার পরই মনে হয়েছিলো, এ উইকেটে মনোযোগ ও ধৈর্য ধরে রাখলেই দুইশ করা সম্ভব। আমরা সচরাচর এমন উইকেট পাই না। ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভালো ছিলো আজকের উইকেট। এছাড়া জিম্বাবুয়ের বোলিংও সত্যি বলতে খুব চ্যালেঞ্জিং ছিলো না। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৫ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2SZ9uOZ
February 25, 2020 at 02:11AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top