ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি- এবারের বইমেলায় সর্বোচ্চ বিক্রির তালিকায় রয়েছে গীতিকার ও অভিনেতা মারজুক রাসেলের কবিতার সংকলন দেহবণ্টনবিষয়ক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর। ইতিমধ্যে ১০ হাজারের বেশি বই বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে এর প্রকাশনী সংস্থা। এরই মধ্যে মারজুক রাসেল কেডায় আসলে? লিখে তাকে তাচ্ছিল্য করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক ও শিক্ষক আফজার হোসেন। তার এ মন্তব্যকে ভালোভাবে নেননি খ্যাতিসম্পন্ন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এ প্রসঙ্গ টেনে ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্টে কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি। পাঠকদের জন্য ফারুকীর পুরো পোস্টটি তুলে ধরা হলো- ফেসবুকে মতামত দেয়া থেকে বিরত আছি বহুকাল। কিন্তু একটা বিষয়ে হইচই দেখে কথা না বলে পারলাম না। মারজুক রাসেলের কবিতার বই বিক্রি হচ্ছে। এটি নিয়ে অনেকেই তাদের বিরক্তি প্রকাশ করছেন। মারজুক আমার গভীর গোপনতম ভাইব্রাদার। শুরুর দিকে ও যখন আমার সঙ্গে থাকতে শুরু করে, তখন থেকেই ওর ওপর এলিটিস্ট অবজ্ঞা দেখে আসছি। প্রথম থেকেই এই অবজ্ঞারে ঝাঁটা মারা আমার পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে আমি তুলে নিছিলাম। সেটি করছি কোনো কথা না বলে! একসঙ্গে কাজ করার মধ্য দিয়ে। এই অবজ্ঞার আরেকটি নমুনা দেখলাম আজফার হোসেনের পোস্টে। সেখানে উনি মারজুক রাসেল কে? এটি জানতে চাইছেন। তা জানতে চাইতেই পারেন। না জানলে জানতে চাওয়াটা দোষের কিছু নয়। এর পর ফারুকী লেখেন কিন্তু এই ধরনের পোস্টের উদ্দেশ্য যে জানতে চাওয়া না হইয়া তুচ্ছ করতে চাওয়াও হতে পারে, এটি আজকের শিশুরাও বোঝে। আজফার ভাইয়ের কাজকর্মের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। সত্যিই যদি উনি জানতে চাইতেন, তা হলে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই পারতেন। বা ওর দুয়েকটা কবিতা ঘেঁটে পড়লেও পারতেন। পড়ার পর উনার ভালো লাগতে পারত, খারাপও লাগতে পারত। উনি ভাবতেই পারতেন এই কবিতার বই কেনার কী আছে। মানুষের হরেক রুচি। কারও এটি ভালো লাগে, তো আরেকজনের অন্যটা ভালো লাগে। ফারুকী আরও লেখেন কিন্তু এইটুকু পরিশ্রম না করে জানতে চাওয়াবিষয়ক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে আমার মনে হয় উনি কাউকে বাতিল করার এলিটিস্ট তরিকাটি অ্যাপ্লাই করলেন। উনার (এবং উনার মতো আরও অনুসন্ধিৎসুদের) সুবিধার্থে মারজুকের পরিচয় নিচে সংযুক্ত করা হইল: নাম: মারজুক রাসেল মাতা: হোসনে আরা পিতা: শেখ সিকান্দার সাং: টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ জন্ম সময়: ১৫ আগস্ট, কোনো এক সময়। মারজুক রাসেলকে নিয়ে আজফার হোসেনের এমন তাচ্ছিল্যপূর্ণ স্ট্যাটাসে অবাক হয়েছেন অনেক লেখক-কবিরা। এদিকে মারজুকের ভক্তরা শিক্ষক আফজার হোসেনের এমন স্ট্যাটাসের তীব্র প্রতিবাদ করে তাকে একহাত নিচ্ছেন। অনেকেই আফজার হোসেন কে বলে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন। সাপ্তাহিক এই সময়ের সহযোগী সম্পাদক সকৃত নোমান লিখেছেন, মারজুক রাসেল আগে কবি, তারপর গীতিকার, তার পর অভিনেতা। তিনি যাপনও করেন কবিজীবন। এই তথ্যগুলো শ্রদ্ধেয় আজফার হোসেন যে কাউকে ফোন করে জেনে নিতে পারতেন। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানতে চাইলেন। এটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। পোস্ট দিয়ে তিনি জানতে চাইতেই পারেন। কিন্তু তার জানতে চাওয়ার মধ্যে বিদ্রূপ স্পষ্ট। আর/০৮:১৪/১৭ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2HwQ25k
February 17, 2020 at 07:14AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top