ঢাকা, ২২ ফেব্রুয়ারি - টেস্টে কি এখনও পর্যন্ত এমন দল আছে, যাদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সব হিসেব-নিকেশেই বাংলাদেশ ফেবারিট? এমন কোন টেস্ট খেলুড়ে দল কি আছে, যাকে বাংলাদেশ বলেকয়ে হারাতে পারে? অতিবড় বাংলাদেশ ভক্ত-সমর্থকও দ্বিধায় পড়ে যাবেন; কার নাম বলবেন এ নিয়ে? টেস্ট শিশু আফগানিস্তানের নাম বলা যাবে না। কারণ, এক বছর আগে ওই আফগানদের কাছে ঘরের মাঠে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চরমভাবে পর্যদুস্ত (২২৪ রানে) হয়েছে টাইগাররা। কেউ কেউ হয়ত বলতে চাইবেন , কেন ঘরের মাটিতেতো ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর কৃতিত্ব আছে টাইগারদের। হ্যা তা আছে অবশ্যই। ঐ দুই বিশ্ব শক্তি সুপার পাওয়ারকে ঘরের মাঠে স্পিন সহায় স্লো-লো পিচে একবার করে হারানোর রেকর্ডতো আছে। তবে তা ছিল স্পিনারদের অতিরিক্ত ভাল ও সমীহ জাগানো জাদুকরি স্পিন বোলিংয়ের কারণে; কিন্তু ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার মত বিশ্বমানের অতি সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী দলকে তো আর বলে কয়ে হারানো সম্ভব নয়। উইকেট যতই অনুকুল থাকুক, তাও না। পরিসংখ্যান আর ততথ্য-উপাত্ত পরিষ্কার জানান দিচ্ছে, বাংলাদেশ স্পিনারদের জোরেই ইংলিশ ও অসিদের নিজ মাটিতে টেস্ট হারানোর কৃতিত্ব দেখিয়েছে। শুধু ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই নয়, ঘরের মাঠে টাইগারদের মূল শক্তি আর বোলিংয়ের সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্রও স্পিনাররা। আর সব বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, আসলে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কাউকেই বলে কয়ে হারাতে পারেনি। পারেও না। এজন্য দরকার একদম নিজেদের উপযোগি উইকেট। যেখানে পেসারদের দৌরাত্ম্য থাকবে না। বল বেশি জোরে আসলেও সুইং করবে না। বাউন্সও বেশি থাকবে না। বিপাজ্জনকভাবে লাফিয়ে বুক, মুখ আর মাথায় ধেয়ে আসবে না। একটু স্লো, শুরুতে ব্যাটিং সহায়ক থাকবে। এরপর সময় গড়ানোর সাথে সাথে আরও স্লো হবে। একটু-আধটু টার্নও করবে। এমন কন্ডিশনই আসলে টাইগারদের আদর্শ। এর ব্যতিক্রম কিছু হলেই সমস্যা হয়। আর ঠিক অনুকুল আর সহায়ক পিচ হলে টেস্টে বাংলাদেশ অন্তত বিদেশের চেয়ে ভাল দল। একদম বলে-কয়ে হারাতে না পারলেও জিস্বাবুয়েকে হারনোর সামর্থ্য রাখে। ইতিহাস ও পরিসংখ্যান সে সত্যই জানান দিচ্ছে। ঐতিহাসিক সত্য হলো, ব্যাটসম্যানরা ভাল খেলার পরও সেই ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে টাইগারদের প্রথম ২২৬ রানের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের রূপকার, স্থপতি আর নায়কও দুই বাঁ-হাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক এবং এনামুল হক জুনিয়র। প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ রফিক ৫/৬৫ আর পরের ইনিংসে আরেক বাঁ-হাতি এনামুল জুনিয়রের (৬/৪৫) স্পিন ঘূর্ণিতে কুপোকাত জিম্বাবুয়ে। এর দীর্ঘ ৯ বছর পর বাংলাদেশ যে ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়েকে দেশের মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে বাংলাওয়াশ করেছিল, সেবারও স্পিনাররাই ছিলেন জয়ের রূপকার, নায়ক ও স্থপতি। তিন টেস্টের প্রতি ইনিংসেই অলআউট হয়েছিল জিস্বাবুইয়ানরা। ওই তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের ৬০ উইকেটের মধ্যে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল স্পিনারদের। মিরপুরে ৩ উইকেটের জয়ের নায়ক সাকিব (৬+১ = ৭ উইকেট), তাইজুল (১+৮= ৯ উইকেট), জুবায়ের হোসেন লিখন (২ উইকেট)- এই তিন জনে মিলে নিয়েছেন ১৮ উইকেট। এছাড়া পেসার সাহাদাত হোসেন রাজিব পেয়েছিলেন ২ উইকেট। এরপর খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টেও সাকিবের ওয়ানম্যান শোতে (প্রথম ইনিংসে অনবদ্য সেঞ্চুরি, ১৩৭ রানের সঙ্গে ৫+৫ = ১০ উইকেট) ১৬২ রানে চরমভাবে পর্যদুস্ত জিম্বাবুয়ে। এছাড়া বাকি ১০ উইকেটের ৮টি যায় দুই স্পিনার তাইজুল (৩+৩ = ৬) আর লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনের (২) ঝুলিতে। এছাড়া পেসার রুবেল পান দুই উইকেট। কাকতালীয়ভাবে এই টেস্টেও স্পিনাররা মিলে ১৮ উইকেট ভাগ করে নেন। দুটি মাত্র উইকেট যায় পেসারদের পকেটে। আর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ধরা দেয় আরও বড় জয়, ১৬২ রানের। তবে আগের দুই ম্যাচের মত তা কিন্তু শতভাগ স্পিনারদের ওপর ভর করে নয়। একদম পরিপূর্ণ টিম পারফরমেন্সেই আসে সেই জয়। যাকে বলে কমপ্লিট টিমওয়ার্ক। ব্যাটসম্যান ও বোলাররা নিজ নিজ কাজ করেছেন। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তামিম ইকবাল (১০৯ ও ৬৫) যথারীতি সবার ওপরে। দুই ইনিংসে রান করে দলকে শক্ত ভীত গড়ে দিতে রাখেন অগ্রণী ভূমিকা। অপর ওপেনার ইমরুল কায়েস (১৩০ ও ১৫) টপ অর্ডার মুমিনুল হক ৪৮ ও ১৩১* এবং চালিকাশক্তি, নিউক্লিয়াস সাকিব আল হাসান (৭১, ১৭ ও বল হাতে ১ উইকেট) ঠিক জ্বলে উঠেছিলেন। সাথে লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনের (৭ উইকেট) জাদুকরি স্পিন সামলে উঠতে পারেনি ব্রেন্ডন টেলরের দল। এই ম্যাচের ২০ উইকেট ভাগ করে নেন স্পিনার ও পেসাররা। দুই পেসার শফিউল ২+২ = ৪, রুবেল ১+২= ৩ উইকেটসহ ঝুলিতে পুরে নেন মোট ৭টি। সাকিব দুই ইনিংসে একটি মাত্র উইকেটে পেলেও লেগস্পিনার জুবায়ের লিখন ৭টি, বাঁ-হাতি তাইজুল ২ আর অফব্রেক বোলার শুভগত হোম (২) ও মাহমুদউল্লাহ (১) মিলে পতন ঘটান ৭ উইকেটের। তার মানে দেখা যাচ্ছে, জিম্বাবুয়ের মত দূর্বল ও রেটিং-র্যাংকিংয়ে তলানীতে থাকা দলকে হারাতেও বাংলাদেশের স্পিনারদের ওপর ভর করতে হয়। ব্যাটসম্যানরা মোটামুটি ভিত গড়ে দিয়েছেন সত্য; কিন্তু প্রতিপক্ষকে দুবার অলআউট করার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আসলে করে দিয়েছেন স্পিনাররা। আর এটা ধ্রুব তারার মত সত্য যে স্লো-লো আর টার্নিং উইকেট ছাড়া বাংলাদেশের স্পিনাররা বল ঘোরাতে পারেন না। দলে রিস্ট স্পিনার নেই। কাজেই স্পিনারদের জারিজুরি দেখাতে বল ঘেরাতে আর প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের মাথা ঘোরাতে উইকেটের সহায়তা লাগে। উইকেট একটু অন্যরকম হলেই তাদের বোলিং কারিশমা কমে যায়। ধার থাকে না। তার প্রমাণ, ২০১৮ সালের ৩-৬ নভেম্বর সিলেট টেস্ট। ভারতীয় কিউরেটেরের অদুরদর্শিততা আর উইকেটের আচরণ না বুঝে ভুল একাদশ সাজানোর চরম মূল্য দেয় স্বাগতিকরা। লাক্কাতুরা চা বাগানের অনুপম আর নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও বৃটিশ স্থাপত্বর চমৎকার নিদর্শন সিলেট স্টেডিয়ামের পিচ ছিল সেবার একটু বেশি মাত্রায় স্পোর্টিং। স্পোর্টিং না বলে বোলিং ফ্রেন্ডলি বলাই যুক্তিযুক্ত হবে। সেখানে ব্যাটসম্যানদের চেয়ে আসলে বোলাররাই ছড়ি ঘুরিয়েছেন বেশী। আর তাতেই সর্বনাশ ঘটে টাইগারদের। ১৫১ রানের বড় পরাজয় ঘটে। দুই ইনিংসেই ব্যাটিং বিপর্যয়। প্রথমবার ১৪৩ আর পরেরবার ১৬৯ রানের মামুলি পুঁজিতে শেষ হয় ইনিংস। জিম্বাবুইয়ান পেসার ও স্পিনাররা ওই ২০ উইকেট ভাগ করে নেন। জিম্বাবুয়ের পেসার কাইল জারভিস (২/২৮ ও ১/২৯), তেন্দাই চাতারা (৩/১৯) পতন ঘটান ৬ উইকেটের। অফস্পিনার সিকান্দার রাজা (৩/৩৫ ও ৩/৪১) একাই দখল করেন ৬ উইকেট। লেগস্পিনার ব্রেন্ডন মাভুতাও (৪/২১) দ্বিতীয় ইনিংসে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ান টাইগারদের। আর হ্যামিল্টন মাসাকাদজাও জেন্টল মিডিয়াম পেস দিয়ে পতন ঘটান দুই উইকেটের (২/৩৩)। অপর উইকেটটি জমা পড়ে বাঁ-হাতি অর্থোডক্স শন উইলিয়ামসের ঝুলিতে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে পেসার আবু জাইদ রাহি হন রানআউট। অন্যদিকে সাকিব বিহীন বাংলাদেশের বোলারদের ভিতরে যা করার করেন একা তাইজুল। সর্বোচ্চ সমীহ আদায়ের পাশাপাশি ম্যাচে ১১ উইকেট ( ৬/১০৮ ও ৫/৬২) শিকার করেন বাঁ-হাতি তাইজুল। অফস্পিনার মিরাজ পান ৩ উইকেট। অকেশনাল অফস্পিনার নাজমুল হোসেন শান্তও দুই ইনিংসে ২/৪৯ + ২/২৭) চার উইকেট পান। কিন্তু ভুল ও অদুরদর্শি একাদশে একমাত্র পেসার আবু জায়েদ রাহি কিছুই করতে পারেননি। ওই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২১ আর পরেরবার ৭ ওভার বল করে একটি মাত্র উইকেট পান রাহি। যেখানে জিম্বাবুয়ের নতুন বলের বোলার কাইল জারভিস আর চাতারা শুরুতেই আঘাত হেনে বাংলাদেশকে প্রথমেই ব্যাক ফুটে ঠেলে দিয়েছেন ম্যাচের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠায় কার্যকর অবদান রেখেছেন সেখানে বাংলাদেশ শুরুতে ব্রেক থ্রু পেতে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে স্পিনারদের দিকে। সিলেটের সেই অপত্যাশিত পরাজয়ের ব্যর্থতা ঝেড়ে মুছে শেরে বাংলায় ঠিক পরের ম্যাচে অনুকুল উইকেটে আবার চিরচেনা বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে রান। প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহীমের ডাবল সেঞ্চুরি (২১৯) আর মুমিনুল হকের বিগ হান্ড্রেড (১৬১) ও মেহেদি হাসান মিরাজের ফিফটিতে ( ৬৮) ভড় করে ৫২২ রানের বড় পুঁজি। পরেরবার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের (১০১) শতক ও মিঠুনের ৬৭) অর্ধশতক এবং যথারীতি তাইজুল (৫/১০৭ ও ২/৯৩) ও মেহেদি মিরাজ স্পিন ভেলকি (৩/৬১ ও ৫/৩৮)। ওই টিম পারফরমেন্সের পুরস্কার ২১৮ রানের বিরাট জয়। আর তাতেই সিলেটে হারের মধুর প্রতিশোধ। ওপরের সব পরিসংখ্যান কিন্তু একটি পরিস্কার বার্তা দিচ্ছে। তাহলো ঘরের মাঠে জিততে বাংলাদেশের উইকেটের সহায়তা লাগে। অর্থাৎ দেশের মাটিতে খেলাই শেষ কথা নয়। সবার আগে দরকার নিজেদের মত উইকেট। যেমন ছিল ২০১৮ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টেস্টে। শুরুতে ব্যাটিং সহায়ক। তারপর সময় গড়ানোর সাথে সাথে স্লো হতে থাকবে এবং সবশেষে বোলারদের বোলিং বুটের স্পাইকের মাধ্যমে পপিং ক্রিজের আশপাশে তৈরী হওয়া ক্ষততে পড়ে বাড়তি টার্ন ও মাঝে মধ্যে খানিক বিপজ্জনকভাবে বল লাফিয়েও উঠবে। ঠিক এমন উইকেট হলে আর সমস্যা নেই। নির্ঘাত জয়। শেরে বাংলায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে, সেখানেও কিন্তু ঠিক ওই পিচটাই দরকার, যেটা ছিল ২০১৮ সালের ১১-১৫ নভেম্বর। ১৪ মাস পর ঠিক সেই নিজেদের উপযোগী ও সহায়ক পিচের দেখা পেলেই হয়ত টাইগারদের সামনে দাঁড়াতে পারবেনা জিম্বাবুইয়ানরা; কিন্তু উইকেটের চরিত্র পাল্টালে কিন্তু খবর আছে? তার মানে খুব পরিষ্কার। ব্যাটসম্যান বিশেষ করে তামিম, মুশফিক, মুমিনুলের যে কোন দুজনকে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলতে হবে। রান করতে হবে। একদিক আগলে রেখে লম্বা ইনিংস সাজাতে হবে। পাশাপাশি নাজমুল শান্ত, লিটন দাস আর মিঠুনকেও সহায়ক শক্তি হিসেবে অবদান রাখতে হবে। একই সঙ্গে তাইজুলকে ঠিক আগের মত করেই স্পিন ভেলকি দেখাতে হবে। অবশ্য এবার সাথে নাঈম হাসান আছেন। এই তরুণ অফস্পিনারকে আগে খেলেনি জিম্বাবুইয়ানরা। তিনিও যদি তাইজুলের পাশে বল ঘোরাতে শুরু করেন, তাহলে জিম্বাবুয়ের ম্যাচ বাঁচানো খুব কঠিন হবে। আরও একটা জায়গা আছে। সেটা হলো খেলা হবে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে। কুয়াশা ভেজা সকালে আবু জায়েদ রাহীকে সুইং আদায়ের পাশাপাশি ভাল জায়গায় বল ফেলে প্রাথমিক ব্রেক থ্রু নিতে হবে। এই হিসেবগুলো যদি মিলে যায়, তাহলে অনায়াস ও বড় জয় ধরা না দেয়ার কোনই কারণ নেই। কিন্তু ঘুরেফিরে কথা একটাই; পিচ হতে হবে চিরচেনা, জানা ও অনুকুল। যা কোনোভাবেই পেস বোলিং ফ্রেন্ডলি হওয়া চলবে না। একটু স্লো, বাউন্স আর ম্যুভমেন্টও থাকবে তুলনামূলক কম। সেসাথে প্রতিষ্ঠিত আর পরিণত ব্যাটসম্যানদের দীর্ঘ ইনিংস খেলতে হবে এবং অবশ্যই স্পিনারদের, অথ্যাৎ তাইজুল-নাঈম আর একাদশে জায়গা পেলে মিরাজকেও অবদান রাখতে হবে। নিতে হবে আসল ভূমিকা। তাদের বোলিং ক্যারিশমা ছাড়া জেতা প্রায় অসম্ভব। এর সবগুলো হলে তো অংক মিলেই যাবে। কিন্তু ওপরে যা বলা হলো তার যে কোন একটিতেও যদি সমস্যা হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু হিসেব গরমিল হয়ে যেতে পারে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২২ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Vc2wr3
February 22, 2020 at 01:59AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন