ঢাকা, ০৫ ফেব্রুয়ারি- বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার বাপ্পা মজুমদার। তবে তার পারিবারিক নাম শুভাশীষ মজুমদার বাপ্পা। সংগীত যুগল ওস্তাদ বারীণ মজুমদার এবং ইলা মজুমদারের ঘরে ১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেন বাপ্পা। বাবা ওস্তাদ বারীণ মজুমদার ছিলেন উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত সংগীতবিশারদ। আজ তার ৪৮তম জন্মদিন। দেশে বিদেশের পক্ষ থেকে রইলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা। কীভাবে কাটছে এবারের জন্মদিন? গতকাল রাতে পরিবার ও ব্যান্ডের সদস্যদের নিয়ে কেক কেটেছেন বাপ্পা। রাত ১২টার পর থেকেই শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি। বাপ্পা মজুমদারের এবারের জন্মদিনটা অন্যরকম আনন্দের। কারণ এই জন্মদিনে তার ঘর আলো করে আছেন প্রথম কন্যা সন্তান অগ্নিমিত্রা মজুমদার পিয়েতা। রাতেই বাপ্পা মজুমদারের জন্মদিনের কেক কাটার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন গীতিকার শাহান কবন্ধ। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে বাপ্পা মজুমদার মেয়েকে কোলে নিয়ে কেক কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাশে দাঁড়িয়ে স্ত্রী তানিয়া হোসেইন। অন্য একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে তার আরও কয়েকজন বন্ধুকে। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াতে জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন বাপ্পা। সুবর্ণা মুস্তাফা, চয়নিকা চৌধুরী, এলিটা করিম থেকে শুরু করে প্রিয় শিল্পীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সবাই। জনপ্রিয় এই শিল্পী ও সংগীত পরিচালক জানান, যাদের জন্য পৃথিবীর আলো দেখা, জন্মদিনে সেই বাবা ও মাকে ভীষণ মিস করেন তিনি। জন্মদিনের অনুভূতি জানাতে গিয়ে পরী খ্যাত এই গায়ক বললেন, আসলে একটা সময় ছিল যখন জন্মদিন আসলে খুব আনন্দ হতো। এখনও আনন্দ হয়, তবে এখন অনুভব করি যে, বয়সটা বাড়ছে। অনুভব করি অনেক কিছু করার আছে এখনও। অনেক কিছু শেখার আছে। চেষ্টা করছি নিজেকে সমৃদ্ধ করতে। প্রসঙ্গত, সংগীত পরিবারে জন্ম নেয়া বাপ্পা মজুমদারের ছোটবেলাতেই সংগীতে হাতেখড়ি। আর বড় ভাই পার্থ মজুমদারের কাছে খুব ছোটবেলায় গিটার বাজানো শিখেছেন। ১৯৯৫ সালে প্রথম একক অ্যালবাম তখন ভোর বেলা দিয়ে সংগীত জগতে আত্মপ্রকাশ করেন বাপ্পা। এর পরের বছর বাপ্পা ও সঞ্জীব চৌধুরী মিলে গড়ে তোলেন দলছুট ব্যান্ড। সঞ্জীবের মৃত্যুর পর নিজেই তিনি দলছুটর হাল ধরেন। গত বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন বাপ্পা মজুমদার। সত্তা সিনেমায় জেমসের গাওয়া না জানি কোন অপরাধে গানটির সুরকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। বাপ্পা মজুমদারের গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে আছে পরী, দিন বাড়ি যায়, সূর্যস্নান, বায়েস্কোপ, রাতের ট্রেন, বাজি, লাভ-ক্ষতি, আমার চোখে জল, ছিলো গান ছিলো প্রাণ, কোথাও কেউ নেই ইত্যাদি। আর/০৮:১৪/০৫ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3910BJM
February 05, 2020 at 09:08AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন