লাহোর, ০৭ ফেব্রুয়ারি - মোহাম্মদ মিঠুন কেন টেস্ট দলে? পাকিস্তান সফরে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের নামটি দেখে অনেকের মুখেই ছিল এমন প্রশ্ন। প্রশ্ন ওঠাটা অবশ্য অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। ক্যারিয়ারে ৭ টেস্ট পার করেও যে গড়টা ছিল ১৫-এর আশেপাশে। অথচ টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চার নম্বরের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ পজিশনে সুযোগ পেয়েছেন মিঠুন। শুরুটা তেমন খারাপ ছিল না। ২০১৮ সালের নভেম্বরে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্যতে ফিরলেও পরের ইনিংসেই ৬৭ রান আসে তার উইলো থেকে। প্রথম টেস্টেই ফিফটি পাওয়ার পর আর পেছনে ফিরে তাকানোর কথা ছিল না মিঠুনের। কিন্তু তাকাতে হলো। এরপর থেকে যে ব্যাটে ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি সেভাবে। গত বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে টানা তিন ইনিংসে ৮, ০ আর ৩ করার পর শেষ ইনিংসে করেছিলেন ৪৭। এরপর ভারত সফরে আবারও ব্যর্থতা। ইন্দোর ও কলকাতায় দুই টেস্টে একবারও বিশের ঘর ছুঁতে পারেননি। ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে অসহায় দেখিয়েছে তাকে। চার ইনিংসে রান ছিল-১৩, ১৮, ০, ৬। এমন ব্যর্থতার পর মিঠুন পাকিস্তান সফরে বাদ পড়বেন, ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই। তবে কোচ, নির্বাচকরা ঠিকই ভরসা রেখেছেন ২৮ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের ওপর। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে একাদশেও জায়গা পেয়ে গেছেন ঠিকই। তবে এবার আর চার নম্বরে নয়, মিঠুন ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন ছয় নম্বরে। এত সমালোচনার পরও টিম ম্যানেজম্যান্ট যেভাবে আস্থা রেখেছে, সেটি যেন মিঠুনের ভালো করার প্রেরণা হলো। রাওয়ালপিন্ডিতে টাইগার ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতার মাঝে একাই লড়াই করছেন এই মিঠুন। দারুণ ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত তার ৬৩ রানে আউট হওয়া ইনিংসটাকে হয়তো অনেক বড় কিছু বলা যাবে না। কিন্তু চাপের মুখে যেভাবে ব্যাটিং করেছেন মিঠুন, সেটি অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার দাবি রাখে। একদমই ঝুঁকি নেননি। জুটি গড়তে যেমন ধৈর্য্য দেখানো দরকার তেমনটাই দেখিয়েছেন। আদর্শ টেস্ট ব্যাটিং যাকে বলে। ৬৩ রানের ইনিংসে মিঠুন খেলেছেন ১৪০টি বল, ৭ বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল একটি ছক্কার মারও। সঙ্গী পাননি, পেলে হয়তো আরও দূর যেতে পারতেন। সেটি হয়নি। নবম উইকেট পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন। শেষতক নাসিম শাহর দারুণ এক ডেলিভারিতে ইনসাইডেজ হয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হয়েছেন মিঠুন। কিন্তু দিনশেষে বাংলাদেশের ইনিংসে সেরা পারফরমার তিনিই। সমালোচনার চাপ মাথায় নিয়ে দলের চরম ব্যর্থতার মাঝে যেভাবে খেলেছেন, তার ইনিংসটিকে আর দশটা বড় সেঞ্চুরির চেয়েও মূল্যবান বললে বাড়াবাড়ি হবে না। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৭ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/38e46wA
February 07, 2020 at 02:38PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন