ইসলামাবাদ, ২৬ ফেব্রুয়ারি - আইসিসি কর্তৃক আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্ট অথবা এশিয়া কাপ ক্রিকেট ছাড়া এখন আর ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় দ্বৈরথ হয় না। সবশেষ ২০১২ সালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছিল দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। সেবার ভারত সফরে গিয়েছিল পাকিস্তান। আর ভারতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর ছিলো প্রায় এক যুগ আগে, ২০০৮ সালে। সেটিও এশিয়া কাপ খেলার উদ্দেশ্যে। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার শেষ টেস্ট ম্যাচ হয়েছে ২০০৭ সালে। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক শীতল সম্পর্কের কারণে ক্রিকেটীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতাও থমকেই গেছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বারবার চেষ্টা করা হলেও, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কিংবা সরকার কোনোভাবেই রাজি হয় না দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য। সম্প্রতি বেশ কিছু দেশ নিরাপত্তা শঙ্কা উড়িয়ে পাকিস্তানে গিয়ে ক্রিকেট খেলে এসেছে। এছাড়া দেশটির ঘরোয়া টুর্নামেন্ট পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এর পুরো আসরই হচ্ছে এবার নিজেদের মাটিতে। অন্তত ৩৬ জন বিদেশি ক্রিকেটার খেলছেন এ আসরে। অথচ ভারতীয়রা নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে রাজি হয় না। যা নিয়ে বেশ অসন্তোষই রয়েছে পাকিস্তানের সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে। যা আরও একবার বেরিয়ে এলো সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদির মাধ্যমে। তার মতে, যতদিন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আছেন, ততদিন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার কোনো ম্যাচ বা সিরিজ আয়োজন সম্ভব নয়। দুই দেশের মধ্যকার ক্রিকেটীয় সম্পর্কের অবনতির জন্যও মোদিকেই দায়ী করছেন আফ্রিদি। তিনি বলেন, যতদিন (নরেন্দ্র) মোদি ক্ষমতায় আছেন, ততদিন আমার মনে হয় না ভারতের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাবে। আমরা সবাই, ভারতীয়রা সহ এখন বুঝতে পারছি মোদি কীভাবে চিন্তা করে। তার ভাবনার জগতের পুরোটা জুড়েই শুধু নেতিবাচকতা। আফ্রিদি আরও যোগ করেন, আমাদের (ভারত ও পাকিস্তান) সম্পর্ক অবনতির ইকে যাচ্ছে শুধুমাত্র এই একজন ব্যক্তির জন্য। দুই দেশের মানুষই একে অন্যের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখে। আমি সত্যিই বুঝতে পারি না মোদি আসলে কী চায় এবং এর পেছনে তার মূল উদ্দেশ্যই বা কী? সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৬ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2w4wlQ4
February 26, 2020 at 04:24AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top