ঢাকা, ১৬ মার্চ - ক্লাব ফুটবলের মত ঢাকার ক্রিকেটের আকর্ষণও কমেছে আগেই, দর্শকও হারিয়েছে। সত্তর দশকের শেষভাগ থেকে শুরু করে ৮০-৯০ দশকের প্রায় পুরো সময় ঢাকাই ক্রিকেট মানেই ছিল অন্যরকম উত্তেজনা ও বাড়তি প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মোহামেডান-আবাহনী মহাদ্বৈরথ ও মর্যাদার লড়াইটিতে ১৫-২০ হাজার দর্শকের সমাগম ঘটত। অন্যান্য বড় ম্যাচেও গড়পড়তা ৭-৮ হাজার ক্রিকেট অনুরাগির দেখা মিলতো। কিন্তু সময়ের প্রবাহতায় তা কমতে কমতে এখন কয়েকশোতে এসে দাঁড়িয়েছে। করেনা আতঙ্কে অনেক বড়বড় আন্তর্জাতিক খেলাধুলার আসর সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে গেলেও, মাঠে দর্শক আসবে না ধরেই ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট লিগ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। সে অর্থে সমালোচনার ঝড় না বইলেও কেউ কেউ বাঁকা চোখে তাকিয়েছিলেন, কারো মুখে ছিল তীর্যক কথাবার্তা। কেউ কেউ বলেও ফেলেছেন, এটা কি হচ্ছে? বিসিবি ও সিসিডিএম কেন ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে? করোনা জেঁকে বসেছে প্রায় সারা বিশ্বে। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক কিছু কম নয়। করোনার কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক জনসমাগমগুলোকে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। ক্রিকেটের দুটি বড় আয়োজন বিশ্ব একাদশ আর এশিয়া একাদশের মধ্যকার দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এবং এআর রহমানের কনসার্ট আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরেও ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের জনপ্রিয় আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কেন? যারা এ প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাদের জন্য খবর- শেরে বাংলায় ক্রিকেট লিগে চরম দর্শকখরা। (রোববার) প্রায় দর্শকশূন্য শেরে বাংলায় হলো আবাহনী আর পারটেক্সের খেলা। যে দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। একাদশে লিটন দাস, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তাইজুল ইসলাম, আরাফাত সানি, সাইফউদ্দীন আর মেহেদি হাসান রানার মত পরিচিত মুখ- সেই তারকাবহুল আবাহনীর ম্যাচ দেখতে শেরে বাংলায় ৫০ জন দর্শকও এসেছিলেন কি না সন্দেহ। পূর্ব দিকের সাধারণ গ্যালারি ছিল সারাদিন ফাঁকা। দক্ষিণের ক্লাব হাউজে জনাদশেক দর্শক ছিলেন। শহীদ মোশতাক স্ট্যান্ডও ছিলো দর্শকশূন্য। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে আবাহনীর ম্যাচ মানেই ভক্ত ও সমর্থকদের হইচই আর হর্ষধ্বনি। আজ সে জায়গাও নীরব। আকাশী-হলুদ বিশাল পতাকা ওড়ানো থাকলেও আশপাশে সর্বোচ্চ জনাদশেক সমর্থক। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের হসপিটালিটি বক্সে হাতে গোনা অল্প কজন আবাহনী সমর্থক। এর বাইরে শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডও খালি। সব মিলে ২৫-৩০ জন দর্শক। আবাহনীর ম্যাচে এত কম দর্শক কে দেখেছে কবে? তবে শেরে বাংলার প্রেসবক্সে অন্তত ২৫ জন আর গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে ক্যামেরাসহ ১৫ জন টিভি রিপোর্টার যোগ করলেও সব মিলে ১০০ জন হবে কি না সন্দেহ। করোনা যতই শাখা প্রশাখা গজাক না কেন, দর্শক আর মিডিয়াকর্মী মিলে যদি একশরও কম থাকে, তাহলে আর কি ইবা বলার আছে? এত কম দর্শকে খেলা চললে আসলে কিছুই বলার থাকে না? এর দ্বিগুণ লোক তো শনিবার একাডেমি মাঠে প্রতিযোগী ক্লাবগুলোর অনুশীলনেই ছিল। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৬ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2WrtZpF
March 16, 2020 at 02:57AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top