ঢাকা, ১৫ মার্চ - একটা সময় ছিল যখন ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটই ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রধান বা মূল আসর, দেশের ক্রিকেটের প্রাণ। এখন টেস্ট খেলুড়ে দেশ বাংলাদেশে তা আর নেই। ক্লাব ক্রিকেট এখন আর দেশের মূল আসর বা প্রাণ নয়। তারপরও দেশের ক্রিকেটে এ আসরের রয়েছে অন্যরকম গুরুত্ব ও তাৎপর্য্য। অন্তত ১৫০-২০০ ক্রিকেটারের রুটি রুজির উৎস এই প্রিমিয়ার লিগ। অনেক কোচিং স্টাফও এই দুই মাসের বেশি সময়ে ক্লাব কোচিং করিয়ে কিছু উপার্জন করেন। তাদের কাছে এই লিগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে বড় কথা, এ মুহূর্তে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের একমাত্র ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট এই প্রিমিয়ার লিগ। জাতীয় দলের ক্রিকেটার তো বটেই, জাতীয় দলের খেলার স্বপ্ন বুকে নিয়ে আসা ক্রিকেটারদেরও অন্যতম বিচরণ ক্ষেত্র এই প্রিমিয়ার লিগ। অথচ সেখানে কি না অংশগ্রহণকারী ১২ দল ঐ হোম অব ক্রিকেটের একটি মাত্র একাডেমি মাঠে অনুশীলন করে একসঙ্গে। এটা কি বিশ্বের আর কোথাও আছে? এত বড় একটি লিগ যেখানে শিরোপা প্রত্যাশী একটি দলের বাজেট ৫ কোটি টাকা, অংশগ্রহণকারী ১২ দল গড়পড়তা যেখানে ৫০ কোটি টাকার আশপাশে খরচ করছে, সেখানে তারা সবাই কেন একই মাঠে অনুশীলন করবে? শেখ জামাল ধানমন্ডি ছাড়া সব ক্লাবই এই শেরে বাংলায় অনুশীলনে। ক্লাবগুলো কেন নিজ উদ্যোগে জিম আর প্র্যাকটিস মাঠ তৈরি করে না? কেন বিসিবি-সিসিডিএমের পক্ষ থেকে অন্তত আরও দুইটি প্র্যাকটিস ফিল্ড তৈরি করা হয় না? এবার না হয় করোনা ঝুঁকির ভেতরে অনুশীলন চলছে বলে হয়ত অনেকের নজরে পড়ছে। কিন্তু কঠিন সত্য হলো বিপিএলের ৭ আর প্রিমিয়ার লিগের ১২ দলের প্র্যাকটিস ঘুরেফিরে এই শেরেবাংলার একাডেমি মাঠেই চলছে। তা নিয়ে ক্লাবগুলো আর বিসিবির কোন মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। (শনিবার) আনুষ্ঠানিক প্রেস কনফারেন্সে এই এক মাঠে অনুশীলনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের কাছে। তার ব্যাখ্যা, ক্লাবগুলোরও তো দায়িত্ব আছে। তারাও তো নিজ উদ্যোগে অন্যত্র ন্যাচারাল টার্ফে প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা করতে পারে? এদিকে বিসিবিও নাকি চেষ্টা করছে। আগামীতে প্র্যাকটিস মাঠ বাড়ানোর কথা জানিয়ে বিসিবি সিইও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি মাঠ বাড়াতে এবং সেসব মাঠেও যাতে ক্লাবগুলো প্র্যাকটিস করতে পারে- সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, এক সময় কংক্রিটের উইকেটে প্র্যাকটিস করতো ঢাকার ক্লাবগুলো। আবাহনী, মোহামেডান, ব্রাদার্স, তখনকার ধানমন্ডি এখনকার শেখ জামাল ধানমন্ডি আর কলাবাগান ক্লাব নিজেদের উদ্যোগে ক্লাবের সামনে বা ভেতরে কংক্রিটের পিচে প্র্যাকটিস করতো। এছাড়া এখন যেটা পল্টন মাঠ, সেই মাঠের দক্ষিণ দিকে একসঙ্গে পাঁচ-ছয়টি পাঁকা পিচ ছিল। সেখানে দুই দল একসঙ্গে নেট প্র্যাকটিস করতো। ৭০-৮০র দশকের পুরোটা এবং টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার আগপর্যন্ত ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে মোহামেডান, ওয়ারী, ভিক্টোরিয়া এবং ওয়ান্ডারার্স প্রায় নিয়মিত প্র্যাকটিস করতো। আবাহনীর অনুশীলন চলতো ক্লাবের পশ্চিম দিকের পিচে। এখন লিগ আগের চেয়ে অনেক ভাল পিচে অনুষ্ঠিত হয়। আর সারা বছর স্ট্যান্ডার্ড পিচে খেলা জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটারদের পক্ষে এখন আর কংক্রিটের পিচে অনুশীলন করা সম্ভব না। প্রশ্নই আসে না। এখন বিকল্প ভেন্যুতে ভাল মানের ন্যাচারাল টার্ফ তৈরি করে সেখানে অনুশীলনের ব্যবস্থা করাই সময়ের দাবী। এ বিষয়ে বোর্ড, সিসিডিএম আর ক্লাবগুলোর মতৈক্য এবং কার্যকর পদক্ষেপ অতি জরুরি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৫ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2TUcOLL
March 15, 2020 at 03:32AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন