ইসলামাবাদ, ০৫ মার্চ - সারাবিশ্ব এখন ভুগছে করোনাভাইরাস আতঙ্কে। প্রতিদিনই নতুন নতুন জায়গায় করোনা সংক্রমনের খবর আসছে। চীন থেকে উৎপত্তি হলেও ইতিমধ্যে পৃথিবীর ৬০টিরও বেশি দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের পর বেশি করোন ছড়িয়েছে ইরান এবং ইতালিতে। উপমহাদেশের দেশ ভারত এবং পাকিস্তানেও করোনা ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনে। টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতালিতে প্রায় স্টেডিয়ামে দর্শক ছাড়াই খেলা হচ্ছে। ইউরোপের ক্রীড়াঙ্গন মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এরই মধ্যে পাকিস্তানে চলমান পিএসএলেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনা আতঙ্ক। এবারের পিএসএলে পুরোটাই আয়োজন হচ্ছে পাকিস্তানে। এর আগে আরব আমিরাতে পিএসএলের আয়োজন করা হতো। দুই-তিন আসরে কিছু কিছু ম্যাচ পাকিস্তানে আয়োজন করে এবার পুরোটারই আয়োজক হয়েছে তারা নিজেরা। নিজেদের দেশে পিএসএল, যে কারণে পাকিস্তানি ক্রিকেট প্রেমীরাও হুমড়ি খেয়ে পড়ছে স্টেডিয়ামে। প্রচুর জনসমাগম মানেই হলো, করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ। এরই মধ্যে করাচি এবং ইসলামাবাদে চারজন করোনাভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। এ কারণে পাকিস্তান সরকার ইতিমধ্যেই পিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছে, স্টেডিয়ামের গেটে থার্মাল স্ক্যানার বসানোর। দর্শকদের স্ক্যান করেই তারপর স্টেডিয়ামে প্রবেশ করাতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে। সকার যতটা জোর দিচ্ছে এ বিষয়ে, পিসিবি কিন্তু ততটা অ্যাকটিভলি কাজ করছে না বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির মিডিয়া। পাকিস্তান সরকার, মিডিয়াসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে পিসিবিকে বলা হচ্ছে, তাদের উচিৎ যত দ্রুত সম্ভব, স্টেডিয়ামের প্রবেশপথগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার বসিয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পথ রূদ্ধ করা। কিন্তু পিসিবি এ ব্যাপারে কেন যেন উদাসীন। তারা রাজ্য সরকারগুলোকে কোনো সহযোগিতা করছে না। কিংবা সহযোগিতা চাওয়ার মত মানসিকতাও দেখাচ্ছে না। মোট চারটি ভেন্যুতে আয়োজন করা হচ্ছে পিএসএলের ম্যাচগুলো। এর মধ্যে রয়েছে করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি এবং মুলতান। পাকিস্তান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডাক্তার কায়সার সাজ্জাদ খুব শক্তভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন পিসিবির প্রতি, তারা যেন স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার বসায়। তিনি বলেন, পিসিবির অবশ্যেই স্টেডিয়ামের প্রতিটি প্রবেশ পয়েন্টে থার্মাল স্ক্যানার বসানো উচিৎ। পিসিবির উদাসীনতা দেখে ডাক্তার সাজ্জাদ দর্শকদের প্রতি কিছু পরামর্শমূলক অনুরোধ জানিয়েছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে, দর্শকরা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হওয়ার সময় যেন সার্জিক্যাল মাস্ক পরে যায়। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমান পানিও তারা যেন সাথে রাখে। যাতে কিছুক্ষণ পরপর হাত ও মুখ পানিতে ধুয়ে নিতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (হু) করোনা প্রতিরোধে পরামর্শ দিয়ে জানিয়েছে, কোনো ব্যক্তিকে হাঁচি কিংবা কাশি দিতে দেখলে যেন তার থেকে অন্তত তিন মিটার দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করে। আর যেখানে সেখানে থুথু কিংবা কফ ফেলার ব্যাপারেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে হু-এর পক্ষ থেকে। কারণ, হাঁচি-কাশি, থুথু, কফ- এসবের মাধ্যমেই করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। যদি এমন কেউ একজন সাধারণ ব্যক্তির খুব কাছাকাছি চলে আসে, তাহলে তারও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি বেড়ে যায়। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৫ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/38uwQ3u
March 05, 2020 at 01:55AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন