কলকাতা, ২৬ মার্চ - সারা দেশে লকডাউন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ছাড়া সব দোকানই বন্ধ। ফলে অন্যান্য ব্যবসার মতোই এইসময় মার খাচ্ছে বাঙালির সাধের চৈত্র সেলের বাজার। তবে পয়লা বৈশাখের আনন্দ যাতে একেবারেই মাটি না হয় তার জন্য আশ্বাস দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এতটা কড়াকড়ি থাকবে কিনা ,সেটা ৩১ মার্চ ঠিক করবেন তিনি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সময় ছাড় দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র মুদিখানার দোকান, সবজি বাজার, রেশন দোকান ও ওষুধের দোকানগুলোকে। কিন্তু ১৫ এপ্রিল বাঙলার নতুন বছর শুরু। প্রত্যেকটা বাঙালিই নতুন বছরকে উদযাপনের জন্য এই সময়টা প্রস্তুতি নেয়। চৈত্রমাসভর প্রচুর বেচাকেনা হয়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জন্য এবার সব বন্ধ। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যেও ব্যবসায়ীদের খানিকটা আশ্বাস দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কিছু ছাড় দেব। সেটা ৩১ তারিখ পর্যালোচনা করে স্থির করব। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন। এর মধ্যে পয়লা বৈশাখও পড়বে। পঞ্জাবেরও নতুন বছর আছে। পরে বিবেচনা করে জানাব, কী কী ছাড় দেব। ২১ দিনের লকডাউনে খাদ্যশস্যের অভাব হবে না বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ২১ দিন হয়ে গেল খাবার পাব না, এমনটা ভাববেন না। একমাসের রেশন একবারে দিয়ে দিচ্ছি। আপনাদের কেউ দেখার জন্য নেই ভাববেন না। তবে মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, দোকানে কেনাকাটার সময় বাইরে যেন জটলা না হয়, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলতে হবে সবাইকে। এমনকি তিনি বোর্ডে এঁকেও দেখিয়ে দিয়েছেন যে, দোকানের বাইরে কী ভাবে দাঁড়াতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আগে খেলতাম না এক্কা, দোক্কা। ঠিক তেমন ভাবেই দাঁড়াতে হবে দোকানের বাইরে। বোর্ডেও কয়েকটি ছক কেটে তিনি এটা সবাইকে বুঝিয়ে দেন। সুত্র : কলকাতা ২৪x৭ এন এ/ ২৬ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3dzBh0G
March 26, 2020 at 12:55PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন