সিলেট, ০১ মার্চ- বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। সেঞ্চুরির পর যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন, ডাবল সেঞ্চুরির স্বপ্নও দেখছিলেন কেউ কেউ। সেঞ্চুরির পর ভয়ংকর হয়ে ওঠা লিটন ডোনাল্ড তিরিপানোর করা ৩৬তম ওভারে হাঁকান তিন বাউন্ডারি। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে মাদভেরেকেও ৯০ মিটার বড় ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন লিটন। ১০৫ বলে পৌঁছে যান ১২৬ রানে। কিন্তু এরপরই পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে লিটনের। এমনই অবস্থা হয় যে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠের বাইরেই চলে যেতে হলো ডানহাতি এই ওপেনারকে। তার ব্যাটিংয়ের ধরণটা বরাবরই আগ্রাসী। তবে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে ক্যারিয়ারের শুরুতে ধারাবাহিকতার সমস্যা ছিল। তবে দিনকে দিন পরিণত হয়ে উঠছেন লিটন দাস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ (রোববার) খেলতে নামার আগে ওয়ানডেতে সর্বশেষ ছয় ইনিংসে একবারও দুই অংকের নিচে আউট হননি। হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন দুটি, এর মধ্যে একটি আবার ছিল অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস। গত বছরের জুনে টনটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ নম্বরে নেমে ৬৯ বলেই ৯৪ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন লিটন। বল পাননি বলে সেঞ্চুরিটা সেবার পাওয়া হয়নি। এবার ওপেনিংয়ে নেমে সেই আক্ষেপ দূর করলেন ড্যাশিং এই ব্যাটসম্যান এবং সেটা নিজের সহজাত আগ্রাসী ভঙ্গিমায়। সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ ৯৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন, ৯ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২১৪ রান। মোহাম্মদ মিঠুন ৭ আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত আছেন ৪ রানে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জুটি গড়েই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। একের পর এক জুটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন লিটন দাস। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন লিটন। সেই বুমবুম তামিমকে অবশ্য এখন দেখাই যায় না বলতে গেলে। যদিও তরুণ সঙ্গী ওপেনারদের জন্যই নিজের সেই আগ্রাসী ব্যাটিংকে বিসর্জন দিয়েছেন তিনি, তবে দিন শেষে রান পাওয়াটাই বড় কথা। তামিম কিন্তু ধরণ বদলে মোটেই সফল হচ্ছেন না। গত ৬ ওয়ানডেতে তার কোনো ফিফটি নেই। ফিফটি পেলেন না এবারও। সবগুলো ইনিংসেই স্ট্রাইকরেট একশর নিচে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ (রোববার) মাত্র ৫৫.৮১ স্ট্রাইকরেটে ২৪ রান করেছেন এই বাঁহাতি। অতি রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন মাদেভেরের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হয়ে। রিভিউ অবশ্য নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ব্যর্থতার রাস্তা বড় করেই ফিরেছেন সাজঘরে। যদিও লিটন দাসের সঙ্গে তার ওপেনিং জুটিটি খারাপ ছিল না। ১২.৫ ওভারে তারা যোগ করেন ৬০ রান। কিন্তু তাতে লিটনের অবদানই বেশি। তামিম শুধু খেলেই গেছেন, রানের দিকে মনোযোগ ছিল না। শেষতক রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ের দায় চুকিয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। তারপর লিটনের সঙ্গে জুটি গড়ে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্তও। তিনিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩৮ বলে ১ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় করেন ২৯ রান। তৃতীয় উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়ে ফেরেন মুশফিক। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/০১ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2vhMe5H
March 01, 2020 at 11:36AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন