ঢাকা, ১০ মার্চ - লিটন দাস ফর্মের চূড়ায়। তামিম ইকবালও নিজেকে আবার খুঁজে পেয়েছেন। ওয়ানডে সিরিজে ৩১০ প্লাস রান করা ওই দুজন টি-টোয়েন্টিতেও শুরু করলেন ঝড়ের গতিতে। লিটন আর তামিমের উদ্বোধনী জুটি এমন এক জায়গায় গিয়ে থামলো যেখান থেকে দুশ রান করাই স্বাভাবিক। প্রথম উইকেটে উঠলো ৯২ (১০.২ ওভারে)। তামিম ৩৩ বলে ৪১ আউট হওয়ার পরও বাংলাদেশ ইনিংসে বাকি ছিল ৫৬ বল। হাতে ৯ উইকেট। এ রকম অবস্থায় ২০০ প্লাস স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করার অর্থ ২০০ হয়ে যাওয়া। কিন্তু পরের ৩৩ বলে লিটন দাস (৩৯ বলে ৫৯) আর মুশফিকুর রহীম (৮ বলে ১৭) আউট হওয়ার অল্প সময়ের জন্য হলেও রান তোলার গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে যায়। তখন মনে হচ্ছিল আর বুঝি ২০০ হবে না। ১৭৫ থেকে ১৮০তে গিয়ে আটকে থাকবে। ঠিক ওই সময় উল্কার বেগে শুরু করলেন সৌম্য সরকার। তার হাতে মার আছে। উইকেটের সামনে ও দুদিকে বড় বড় শটস খেলতে পারেন। তা জানাও সবার। কিন্তু ধারাবাহিকতা কম আর মাঝে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভালোও খেলেননি। কেন যেন নিজেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ভারতের সাথে গত নভেম্বরে দিল্লিতে ৩৫ বলে ৩৯ আর রাজকোটে ২০ বলে ৩০ রানের দুটি মাঝারি মানের ইনিংস খেললেও পাকিস্তানে গিয়ে চরম ব্যর্থ হন সৌম্য। লাহোরে তিন ম্যাচের সিরিজে (০, ৭ ও ৫*) তার ব্যাটে ছিল চরম রান খরা। এর সাথে মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে ঘোষিত বিসিবির চুক্তির বাইরে ছিটকে পড়েন তিনি। চুক্তির কাঠামোয় তার চেয়ে অনেক নবীন, অনভিজ্ঞ আর কম পারফর্ম করা ক্রিকেটারের জায়গা হলেও ১৬ জনের তালিকায় জায়গা হয়নি সৌম্যর। যদিও আজ প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, এটা নিছক ভুল। ২৪ জনের মধ্য থেকে ১৬ জনকে বেছে নিতে গিয়েই নাকি ভুলবশতঃ সৌম্যর নাম বাদ পড়েছিল। মোটকথা, খেলার আগে সব কিছু ছিল তার বিপক্ষে। অথচ এরকম চাপ নিয়েও কি অবলীলায় হাত খুলে খেললেন সৌম্য। দেখে বোঝাই গেল না ভিতরে কোনো রকম উদ্বেগ-উৎকন্ঠা কাজ করছে। হোক জিম্বাবুয়ের বোলিং কমজোরি। নির্বিষ। তারপরও রান খরায় ভোগা এক উইলোবাজের আগের তিন ম্যাচে মোটে ১২ রান করার পর রানে ফেরা এবং অনায়াস ব্যাটিং করে চার ও ছক্কার ফুলঝুরিতে মাঠ মাতিয়ে হার না মানা অর্ধশতক হাঁকানো একদম সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু সৌম্য খুব সহজে সেই কাজটিই করে দেখালেন। তার ব্যাটকে মনে হলো যেন খাপ খোলা তরবারি। ইনিংসের শেষ দুই বলে জিম্বাবুইয়ান ফাষ্টবোলার এমপোফুকে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ২০০র ঘরে পৌঁছে দেবারও আগেই পা রেখেছিলেন পঞ্চাশে। শেষ পর্যন্ত ৫ বিশাল ছক্কা ও চার বাউন্ডারিতে ১৯৩.৭৫ স্ট্রাইকরেটে ৩২ বলে ৬২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে সৌম্য চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন সীমিত ওভারের ফরম্যাটে মানে সাদা বলে তার ব্যাট অনেকের চেয়ে সাবলীল। স্বপ্রতিভ। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েই শুধু নয় শুধু, সৌম্য এর আগে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মত বিশ্ব শক্তির বিপক্ষেও ব্যাট হাতে ঝড় তুলে শতরান উপহার দিয়েই দল জিতিয়েছেন। তার ব্যাটিং সামর্থ্য প্রমাণিত। সৌম্য সরকার আসলে টিম বাংলাদেশের কার্যকর অস্ত্র। বড় শক্তিও। এমন কার্যকর উইলোবাজের পরিচর্য্যা খুব জরুরি। একটু খারাপ সময় আসলে তাদের ছুঁড়ে না ফেলে আবার ফর্মে ফেরানোর কাজটা যে খুব জরুরি। টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা তা মনে রাখলেই মঙ্গল। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১০ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/38vViBq
March 10, 2020 at 02:30AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন