কলকাতা, ০৬ মার্চ - পিঠে লিখেছিল। কিন্তু অশালীন কোনও শব্দ ব্যবহার না করা সত্ত্বেও কেন হেনস্তা করা হচ্ছে? নিরাপত্তা আধিকারিকের তলবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করার চেষ্টা অভিযুক্ত ছাত্রীর। দাবি, সে যে নির্দোষ তার যথাযোগ্য প্রমাণ নাকি নিরাপত্তা আধিকারিককে দিয়েছে। যারা পিঠে-বুকে গালিগালাজ লিখেছিল তাদের ডাকার দাবিও জানিয়েছে ওই ছাত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকেই রবীন্দ্রভারতীর বসন্তোৎসবের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করে। একের পর এক সামনে আসতে থাকে তরুণ-তরুণীদের বুকে, পিঠে অশ্রাব্য গালিগালাজ লেখা ছবি। বিকৃত রবীন্দ্রসংগীতের তালে তালে উদ্দাম নাচের ভিডিও ভাইরাল হয় নেটদুনিয়ায়। এরপর বিভিন্ন মহলে ওঠে সমালোচনার ঝড়। তাতেই নড়েচড়ে বসে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তদন্তে নামে পুলিশ। মোট পাঁচজন ছাত্রছাত্রীকে চিহ্নিত করা হয়। তারা প্রত্যেকে চন্দননগর কলেজে পড়ে। জরুরি ভিত্তিতে রবীন্দ্রভারতীর নিরাপত্তা আধিকারিকের কাছে তাদের ডেকে পাঠানো হয়। সেই অনুযায়ী নিরাপত্তা আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে ছাত্রছাত্রীরা। নিরাপত্তা আধিকারিকের কাছে আসা এক ছাত্রীর দাবি, তার পিঠে বসন্ত এসে গেছে লেখা ছিল। তবে তার পিঠে গালিগালাজ লেখা ছিল না। কারও কারও পিঠে যে অশালীন শব্দ লেখা ছিল তা তার জানা বলেও স্বীকার করে ওই ছাত্রী। আত্মপক্ষ সমর্থনে ওই ছাত্রীর আরও দাবি, যাদের পিঠে লেখা ছিল তাদের না ডেকে বিনা কারণে তাকে হেনস্তা করা হচ্ছে। তার পিঠে যে গালিগালাজ লেখা ছিল না নিরাপত্তা আধিকারিকের কাছে যথাযোগ্য প্রমাণ দিয়েছে বলেও দাবি ছাত্রীর। যদিও চিহ্নিত হওয়া ওই ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে আদৌ কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছুই জানা যায়নি। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন এন এ/ ০৬ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2wz3inQ
March 06, 2020 at 12:49PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top