ঢাকা, ১০ মার্চ - টেস্টে তিনি নিয়মিত নন। ওয়ানডের জায়গাটাও নড়বড়ে হয়ে গেছে। তবে টি-টোয়েন্টিতে সৌম্য সরকার এখনও দলের প্রথম পছন্দ। যদিও বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং পজিশন থিতু ছিল না কখনই। ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে শুরু করলেও দলের প্রয়োজনে কখনও তিন নম্বর, কখনও পাঁচ নম্বর, কখনও ছয় কিংবা সাতেও ব্যাটিংয়ে নামতে হয় সৌম্যকে। সর্বশেষ পাকিস্তান সফরেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে একবার ছয়ে আরেকবার সাতে ব্যাটিং করেছেন। দুই ইনিংসে করতে পেরেছেন মোটে ১২ রান। পাঁচ নম্বরে একবারই ৩৯ রানের ইনিংস আছে সৌম্যর। এছাড়া যতবারই তিনের পরে নেমেছেন, ত্রিশের ঘর ছুঁতে পারেননি। নিচের দিকে নেমে কখনই সেভাবে সাফল্য পাননি বাঁহাতি এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান। এবার অবশ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই উপরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেন। মিরপুরে পছন্দের তিন নম্বর পজিশনে নেমে খেলেছেন ৩২ বলে ৬২ রানের হার না মানা এক বিধ্বংসী ইনিংস। এমন এক ইনিংসের পর সৌম্যকে নিয়মিত উপরের দিকে খেলানোর দাবি উঠতেই পারে। টপ অর্ডারকে কি নিজের আদর্শ জায়গা মনে হয়? এমন প্রশ্নে সৌম্য বলেন, অবশ্যই। আমি সবসময় উপরেই খেলেছি। মাঝে মাঝে যখন দলের প্রয়োজন হয়েছে ৬/৭ নম্বরে খেলেছি। যে সময় যেখানেই খেলি, নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করি। হয়তো ৬/৭ নম্বরে ওভাবে খেলতে পারিনি। অনেকদিন পর আজকে (সোমবার) তিনে ব্যাটিং করেছি। ইচ্ছে ছিল নিজের জায়গা আবার ধরার। তবে কি পছন্দের জায়গায় সবসময় সুযোগ না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ আছে? সৌম্য অবশ্য দলের প্রয়োজনে যে কোনো জায়গায়ই খেলতে প্রস্তুত। তার ভাষায়, পছন্দ না...সব সময় উপরেই খেলেছি। পছন্দ ওইরকম না। অনেক সময় দলের প্রয়োজন বিভিন্ন জায়গায় খেলতে হবে। ওটা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। যেখানে সুযোগ পাবো অবশ্যই পারফর্ম করার চেষ্টা করবো। কোনো পজিশনে খেলতে আপত্তি নেই বললেও উপরে খেললে যে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিংটা করতে পারেন, সেটি অস্বীকার করলেন না সৌম্য। নিচের দিকে নামলে সেক্ষেত্রে অন্যদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হয়। কিভাবে খেলবেন, কি ভূমিকা থাকবে সেগুলো বোঝার ব্যাপারও থাকে। সৌম্য বলেন, উপরে যখন খেলি একটু হলেও তো নিজের মধ্যে (স্বাচ্ছন্দ), যেহেতু ছোট থেকে ওখানে (উপরে) খেলছি। প্ল্যান থাকে কিভাবে নতুন বলে, কীভাবে সময় নিয়ে খেলা যায়। আর সাতে যখন ব্যাট করি, সিনিয়র বড় ভাইয়ের কাছ থেকে বেশিরভাগ সময় জিজ্ঞেস করা হয়, আপনারা কীভাবে খেলেন? বুঝে নেই আমার কী করা উচিত। (উইকেটে) গিয়েই কি মারব, কী ভূমিকা থাকবে ইত্যাদি। তো ওইভাবে পরিকল্পনা করা হয়। ম্যাচের উপরে ডিপেন্ড করে আমি কোন পরিস্থিতিতে খেলব। নিজের প্ল্যান থাকে, সিনিয়র ভাইয়ের পরামর্শও নেই। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১০ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/333qTJH
March 10, 2020 at 05:30AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন