করোনাভাইরাসে চীনের পর এখন কাঁপছে পুরো ইউরোপ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইতালি। দেশটিতে খেলাধুলার সব আয়োজন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত। ইতালির পাশাপাশি ইউরোপের অন্য দেশগুলোতেও করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইংল্যান্ডে মঙ্গলবারই আর্সেনাল এবং ম্যানসিটির একটি ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কিছু ম্যাচও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্প্যানিশ লা লিগা কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহ দর্শকহীন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে লা লিগা এবং স্প্যানিশ সেগুন্ডা ডিভিশনের ম্যাচগুলো। করোনাভাইরাসের কারণে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আগামী ১৯ মার্চ নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনাকে ন্যাপোলির মুখোমুখি হতে হবে দর্শকহীন মাঠে। করোনার কারণে, ওই ম্যাচটিতে দর্শক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে আপাতত। অর্থ্যাৎ পুরো খালি স্টেডিয়ামে খেলতে নামবেন মেসি-সুয়ারেজরা। ওই ম্যাচটির আয়োজক যেহেতু বার্সেলোনা, সে ক্ষেত্রে দর্শক অনুপস্থিতির ক্ষতিও বহন করতে হবে বার্সাকে। ক্লাবটির সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যু মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ন্যাপোলির বিপক্ষে বার্সেলোনার এই ম্যাচে দর্শকশূন্য থাকার অর্থ হচ্ছে বার্সার ৬০ লাখ ইউরো ক্ষতি। টিকিটসহ অন্য আনুসাঙ্গিক বিষয়াধি বিক্রি বাবদ ৬০ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫৮ কোটি টাকা) যোগ হওয়ার কথা ছিল বার্সার তহবিলে। কিন্তু করোনার কারণে, এই অর্থ থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে মেসিদের ক্লাবকে। বার্তেম্যু বলেন, অবশ্যই এখানে আমাদের অনেক বড় অর্থনৈতিক ক্ষতির ব্যাপার রয়েছে। তবে তিনি এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, শুধুমাত্র বার্সেলোনাই নয়, এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি ক্লাবকেই খেলতে হচ্ছে ক্লোজ ডোর স্টেডিয়ামে। এটা সবারই সমান সমস্যা। অর্থ হচ্ছে দ্বিতীয় সমস্যা। স্বাস্থ্যই সবার আগে। তবে এই এক ম্যাচেই বার্সার লস হচ্ছে ৬ মিলিয়ন ইউরো। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১২ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3aMuyxX
March 12, 2020 at 03:34AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন