সিলেট, ০৪ মার্চ - বাংলাদেশের করা ৩২২ রানের সংগ্রহ টপকে যেতে শেষের দশ ওভারে ১১৫ রান করতে হতো জিম্বাবুয়েকে। স্লগ ওভারে বোলিং করার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, সঙ্গে ডাকেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে। দুজন মিলে ৪১ থেকে ৪৫তম ওভার পর্যন্ত বোলিং করে দেন ৩৮ রান, তুলে নেন ২টি উইকেট। ফলে শেষের পাঁচ ওভারের জন্য বাকি ছিলো ৭৭ রান। এ দায়িত্ব দেয়া হয় দলের দুই পেসার আলআমিন হোসেন ও শফিউল ইসলামকে। কিন্তু তারা দুজন মিলে শুরু করেন দেদারসে রান বিলানো। জিম্বাবুয়ের লেজের দুই ব্যাটসম্যান ডোনাল্ড তিরিপানো এবং টিনোটেন্ডা মুতমবদজি মিলে কচুকাটা করেন আলআমিন-শফিউলকে। শেষপর্যন্ত ম্যাচ জিততে না পারলেও, ডেথের ৩০ বলে ৭২ রান যোগ করেছে জিম্বাবুয়ে। এত বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও শেষ বল পর্যন্ত খেলতে হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অনুভূত হয়েছে দলের দুই নিয়মিত বোলার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমানের অভাব। তারা থাকলে কি চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত অথবা মাঠে কি সাইফউদ্দিনের মতো ডেথ বোলারের অভাববোধ করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি? ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের জবাবে টাইগার অধিনায়ক বলেন, দেখুন, ৩২২ রান অনেক বড় স্কোর। এটা বলতেই হবে। তবে বোলিংয়ে অবশ্যই। বিশেষ করে ডেথ বোলিংয়ে সাইফউদ্দিন স্পেশাল বোলার। তো এটা অবশ্যই কার্যকরী হতো। তবে তাই বলে সাইফউদ্দিন না থাকায় আবার শফিউল ও আলআমিনকেও খাটো করতে চান না মাশরাফি। তার মতে যে কারো খারাপ দিনে এমনটা হতেই পারে। তাই একজনকে ওঠানোর জন্য আরেকজনকে নামানোর কিছু নেই। মাশরাফি বলেন, তবে আপনি যদি দেখেন, যারা খেলেছে- শফিউল ও আলআমিন, ওদের সাম্প্রতিক রেকর্ডও কিন্তু অনেক ভালো। ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতেও কিন্তু দুর্দান্ত বোলিং করেছে। আসলে এটা একটা দিন, যেটা একজনের খারাপ যেতে পারে। তো একজনকে ওঠানোর জন্য, আরেকজনকে নামানোর কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। তিনি আরও যোগ করেন, এটা এমন একটা জায়গা, যেখানে যেকোনো দিন যে কারো ভালো হতে পারে। উইকেট ভালো থাকলে, ডিউ না থাকলে পরিস্থিতিও কিন্তু অমন হয় না। আলআমিনের ধরেন শুরুতে ক্যাচ দুইটা হয়ে গেলে কিন্তু সে ভিন্ন এক বোলার হতে পারতো। তাই আসলে এটা বলা কঠিন। এ না হয় গেল একাদশের বাইরে থাকা সাইফউদ্দিনের ব্যাপারে কথা। কিন্তু আজকের ম্যাচের দলেই ছিলেন অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। যিনি ৭ ওভারে মাত্র ২৫ রান খরচ করলেও, শেষ ৩ ওভার করানো হয়নি। এর কারণ কী ছিলো? উত্তর দেন মাশরাফি, মিরাজের ওভার... ঐখানে দুইজন ডানহাতি সেট ব্যাটসম্যান থাকায় মেরে খেলার সুযোগ অনেক বেশি থাকতো। বিশেষ করে শিশির ছিলো অনেক। তখন তাইজুলের জন্যও কঠিন ছিল। ওর শুরুর ৫ ওভার দেখলে বুঝবেন, ওরা এগিয়ে এসে যেটাই চেষ্টা করছিল, খেলতে পারছিল। অফস্পিনারের জন্য এটা আরও সহজ ছিলো। আর এ কারণেই মূলত পার্টটাইম অফস্পিনার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ৪ ওভার করিয়ে রেখেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। যাতে শিশিরজনিত সমস্যার কথা ভেবেই এটি করা হয়েছিল। টাইগার অধিনায়ক বলেন, আমরা এ কারণেই আগেভাগে রিয়াদকে দিয়ে ৪ ওভার করিয়েছিলাম। যদি এমন পরিস্থিতি চলে আসে। আমরা ভাগ্যবান যে রিয়াদকে ঐসময় করাতে পেরেছি। তবে পরে তাইজুল দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোয় আর সমস্যা হয়নি। আর শেষদিকে তো মিরাজকে দিয়ে করানোর সুযোগ নেই। কারণ পেসারদের যেভাবে খেলছিল, স্পিনার দিলে আরও ভয় থেকে যেত। আর সঙ্গে শিশির তো ছিলোই। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৪ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2TyuPhe
March 04, 2020 at 04:31AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন