মুম্বাই, ১০ মার্চ- ওপরওয়ালা যখন যাকে দেন দু হাত ভরিয়ে দেন। তবে তার জন্য থাকতে হয় যোগ্যতা, পরিশ্রম ও সংগ্রামী মানসিকতা। যুগে যুগে এমন অনেক গল্পই আছে যেখান থেকে জীবনে বড় হওয়ার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। সাহস পাওয়া যায় হতাশ না হয়ে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার। পরিশ্রমী মানুষ, বুদ্ধিমান মানুষ হারে না। তেমনি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ভারতীয় গায়িকা নেহা কক্কর। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন গলির মোড়ের এক কামরার একটি সাদামাটা বাড়ি থেকে। সেই জীবন তার পাল্টে গেছে। এখন তিনি অভিজাত জীবনের বাসিন্দা। নিজের জন্য তৈরি করেছেন বিশাল বাড়ি। দেখলে যা রাজপ্রাসাদ ভেবে বসবেন যে কেউ। গানে গানে যেমন তিনি ভরিয়েছেন কোটি কোটি মানুষের হৃদয় তেমনি পরিশ্রম ও বুদ্ধিতে বদলে নিয়েছেন জীবন। ইন্ডিয়ান আইডলের প্রতিযোগী হিসেবে আলোচনায় আসেন নেহা। তার সঙ্গে আরও অনেকেই আলোচনায় ছিলেন। কিন্তু তাদের অনেককেই আজ আর কেউ মনে রাখেনি। হারিয়ে গেছেন হঠাৎ জ্বলে ওঠা নক্ষত্রের মতো। কিন্তু নেহা রয়ে গেলেন। টিকে গেলেন গানের বিশাল সাম্রাজ্যে। যেখানে শত শত গায়িকারা তুমুল প্রতিযোগিতা জিইয়ে রেখেছেন। নেহা সেই প্রতিযোগিতায় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। গান গেয়েছেন হৃদয় দিয়ে। দিলবার রিমিক্স, মানালি ট্রানস, কালা চশমা, আঁখ মারে রিমিক্স দিয়ে ভারতবর্ষজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। রিয়েলিটি শো সারেগামাপা লিল চ্যাম্প-এর বিচারক হয়েও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে নেহার নতুন বাড়ির খবর ফলাও করে প্রকাশ হয়েছে। সেখানে ওঠে এসেছে একজন লড়াকু নারীর পথচলার প্রশংসার কাব্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নেহা কক্কর সবার কাছে শ্রদ্ধা কুড়িয়েছেন। একসময় নেহার ঠিকানা ছিল এক কামরার ভাড়া বাড়ি। সেই জায়গা থেকে উঠে এসে সম্প্রতি হৃষিকেশে আলিশান বাংলোর মালকিন হয়েছেন। অনেক পরিশ্রমের পর নিজের টাকায় নতুন বাংলো কেনার সেই আনন্দ সোশ্যালে নেটিজেনদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন গায়িকা নতুন বাংলো এবং পুরানো বাড়ির ছবি পোস্ট করে। পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি ক্যাপশনে লেখেন, একটি ঘরেই খাওয়ার টেবিল, রান্নাঘর, শোয়া-বসা সব হত আমাদের। আমার সঙ্গে আমার মা-ও কষ্ট করেছেন। সেই ঘরও আমাদের নিজস্ব ছিল না। ভাড়াতে থাকতাম। এখন সেই শহরেই আমার নিজস্ব বাংলো। দেখলে চোখে জল আসে। তার পোস্ট পড়ে জল এসেছে তার বন্ধু-ভক্তদেরও। নেহার পোস্ট দেখে মন্তব্য করেছেন তার গানের দুনিয়ার অনেক বন্ধু। আদিত্য নারায়ণ বলেছেন, দৃঢ়চেতা নেহার আত্মপ্রত্যয়, পরিশ্রম আজ তাকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। অভিনেতা রবি দুবের মন্তব্য, নেহা সবার অনুপ্রেরণা। নিজের ভাগ্য নিজে বদলে নিয়েছেন। টনি কক্কর বোনের পোস্টে লিখেছেন, চোখে জল আনল তোমার পোস্ট। খুব ভালোবাসি তোমায়। পরিবার এবং অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানিয়ে নেহা আরও বলেন, সবাইকে ধন্যবাদ। সোনু কক্কর, টনি কক্কর, মা, বাবা আর অবশ্যই ঈশ্বরকেও ধন্যবাদ। আর/০৮:১৪/১০ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/33db6bi
March 10, 2020 at 12:36PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন