লন্ডন, ২৮ মার্চ - ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব মিডলসেক্সকে ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন ৩৪ বছর বয়সী অফস্পিনার অলি রেইনার। কিন্তু চার বছরের ব্যবধানে তাকে আর নিজেদের বিবেচনায় রাখছে না মিডলসেক্স। ক্লাবের পক্ষ থেকে নতুন করে কোনো চুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়নি বিধায় ক্রিকেট ক্যারিয়ার থেকেই অবসর নিয়ে নিলেন রেইনার। জানিয়ে দিয়েছেন আর কখনও নামবেন না ক্রিকেট মাঠে। নিজ দল মিডলসেক্সের সঙ্গে বোঝাপড়ার অভাবেই মাত্র ৩৪ বছর বয়সে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন প্রায় সাড়ে ছয় ফুট লম্বা এ অফস্পিনার। ২০১৬ সালে মিডলসেক্সকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে মাত্র ২৩.৫৬ গড়ে ৫১টি উইকেট শিকার করেছিলেন রেইনার। কিন্তু পরের মৌসুমেই তাকে আর মূল বোলার হিসেবে রাখেনি মিডলসেক্স। রবি প্যাটেল এবং নাথান সোটারের আগমনে তৃতীয় বোলার হয়ে যান রেইনার। পরে রেইনারকে ২০১৮ সালে হ্যাম্পশায়ার এবং ২০১৯ সালে কেন্টের কাছে লোনে ছেড়ে দেয় মিডলসেক্স। এ দুইটি কাউন্টিই ছিলো ডিভিশন-১ এর দল। কিন্তু মিডলসেক্স তখন দ্বিতীয় টায়ারে খেলে। যা কি না ক্লাবের সঙ্গে রেইনারের সম্পর্কের অবনতিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। তবু রেইনারের আশা ছিলো, নতুন মৌসুমে হয়তো মিডলসেক্সেই খেলতে পারবেন তিনি। কিন্তু গত মৌসুম শেষে তাকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মিডলসেক্স। যার ফলে ক্রিকেট খেলাটিই ছেড়ে দিলেন দীর্ঘদেহী এ অফস্পিনার। নিজের অবসরের খবর নিশ্চিত করে উইসডেনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রেইনার বলেন, তারা জানালো যে, আমাকে লোনে ছেড়ে দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। আমি তখন ভাবলাম, সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বিষয়গুলো আরও ভালো হতে পারত নিশ্চিতভাবেই। এসময় নিজের সেরা মৌসুমের স্মৃতিচারণ করে রেইনার আরও বলেন, পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই আমি নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলাম। পেস বোলিংবান্ধব কন্ডিশনেও আমি দারুণ নিয়ন্ত্রণ রেখে বোলিং করতাম। আমার মনে হয় না বিরুদ্ধ কন্ডিশনে আমার কখনও সমস্যা হয়েছে। ২০১৬ সালে আমার বোলিংটা কাজে লেগেছে। পুরো ক্যারিয়ারে যখনই আমি ভালো সময়ের মধ্যে গিয়েছি, তখন আমাকে উইকেট নেয়ার হাতিয়ার হিসেবেই ব্যবহার করা হয়েছে। সেই মৌসুমে জুটি ভাঙার জন্য আমাকেই ডাকা হতো। অ্যাডাম ভোজেস লাঞ্চ ব্রেকের আগে আমার হাতে বল তুলে দিতো, ভালো করলে তা চলতেই থাকতো। প্রায় ১৩ বছরের ঘরোয়া ক্যারিয়ারে ১৫১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে শিকার করেছেন ৩১৩ উইকেট। এছাড়া ব্যাট হাতে দুই সেঞ্চুরিতে করেছেন ৩৪৩২ রান। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সফরের দলে ঢোকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন রেইনার। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর সুযোগ পাননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৮ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3dyUQpN
March 28, 2020 at 03:36AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন