সিলেট, ০৪ মার্চ - বাংলাদেশ দলে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের হাহাকার অনেকদিন ধরেই। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর মুশফিক বাবু, মাশরাফি বিন মর্তুজা, ফরহাদ রেজা, জিয়াউর রহমান এমনকি পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকারকে দিয়েও চেষ্টা করা হয়েছে পেস বোলিং অলরাউন্ডারের জায়গা পূরণ করার। কিন্তু কাউকে দিয়েই লম্বা সময়ের কাজ চালানোর ভরসা পায়নি বাংলাদেশ দল। সবাই প্রায় শেষপর্যন্ত পরিণত হয়েছেন বিশেষজ্ঞ বোলার বা ব্যাটসম্যানে। অপেক্ষার প্রহর বাড়তে বাড়তে অবশেষে পাওয়া গেছে একজন কাঙ্ক্ষিত পেস বোলিং অলরাউন্ডার, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলিং এবং শেষদিকে কার্যকরী ঝড়ো ব্যাটিং- উভয়ের সংমিশ্রণে দারুণ এক প্যাকেজ ২৩ বছর বয়সী সাইফউদ্দিন। ক্যারিয়ারের মাত্র ৩ বছরের মাথায়ই আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো কিংবা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার। দুজনই অনেক উঁচু মানের খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচনা করেন সাইফউদ্দিনকে।। বিশেষ করে ডেথ বোলিংয়ে সাইফউদ্দিনের কার্যকরিতা নিতে কোনো সন্দেহই নেই মাশরাফির। মঙ্গলবার তাকে বিশ্রাম দিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। যার মাশুল দেয়ারও উপক্রম হয়েছিল নিজেদের বোলিং ইনিংসে। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপে লেজের দুই ব্যাটসম্যান প্রায় জিতিয়েই ফেলেছিল ম্যাচ। শেষপর্যন্ত ৪ রানে জিতেছিল বাংলাদেশই। তবে সাইফউদ্দিন থাকলে দলের জন্য আরও কার্যকরী হতো বলে জানিয়েছেন মাশরাফি। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেখুন, ৩২২ রান অনেক বড় স্কোর। এটা বলতেই হবে। তবে বোলিংয়ে অবশ্যই। বিশেষ করে ডেথ বোলিংয়ে সাইফউদ্দিন স্পেশাল বোলার। তো এটা অবশ্যই কার্যকরী হতো। পেস বোলিং অলরাউন্ডারের যে হাহাকার, সেটি পূরণে কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিৎ? উত্তরে মাশরাফি জানান, সাইফউদ্দিন তথা পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাব অনেকদিন ধরেই। ফলে দলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা সম্পদ সাইফউদ্দিন, যে কি না অন্তত ১০-১২ বছর জাতীয় দলকে সার্ভিস দিতে পারবে। মাশরাফির ভাষ্যে, একজন সাকিব পেতেই আমাদের অনেক সময় লাগছে। এছাড়া একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই খুঁজে বেড়ানো হচ্ছে। শেষপর্যন্ত সাইফউদ্দিনকে পাওয়া গেলো। আমি সবসময় মনে করি যে, এই দলের একটা মূল্যবান সম্পদ সাইফউদ্দিন, খুবই প্রতিভাবান ক্রিকেটার। ও এমন একজন ক্রিকেটার, যাকে আমি চিন্তা করি যে ১০-১২ বছর বাংলদেশ ক্রিকেটকে সার্ভিস দেবে। মঙ্গলবারের ম্যাচটিতে সাইফউদ্দিনকে না খেলানোর ব্যাপারে টাইগার অধিনায়ক বলেন, আজকে (মঙ্গলবার) ও খেলেনি। মাত্রই পিঠের ইনজুরি থেকে এসেছে। ওকে এখন বেশি চাপ দেয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ ওর ইনজুরিরটা ধরনটাই এমন যে, এটা যদি কোনো কারণে ফিরে আসে তাহলে দেড়-দুই বছর সময় লেগে যাবে। তাই সাইফউদ্দিনকে খুব ভালোভাবে হ্যান্ডল করতে হবে। সেদিক থেকে আমি মনে করি, ওকে ম্যাচটা না খেলানোর সিদ্ধান্ত ভালো ছিল। ম্যাচটা হারলেও তাই বলতাম। তাহলে কি আরেকজন সাইফউদ্দিন পাওয়ার জন্যও অপেক্ষা করতে হবে অনেকদিন? নাকি যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে এমন অনেক খেলোয়াড় পাওয়া সম্ভব? উত্তরে মাশরাফি জানান, যথাযথ সময় নিয়ে পরিচর্যা করা হলে আস্তে আস্তে ঠিকই আসবে এমন খেলোয়াড়। যেমন ধরেন, অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে কিছু খেলোয়াড় আসছে। তারপর এইচপিতে যদি কাউকে খুঁজে নেয়া যায়। এটা তো আসলে এমন একটা ব্যাপার যে রাতারাতি করা সম্ভব নয়। একটা ভালো ফাউন্ডেশন তৈরি করে, একটা ভালো খেলোয়াড় পাওয়া যায়। দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনায় রেখে যথাযথ পরিচর্যা করলে হয়তো পাওয়া যাবে। একজন শান্ত বা সাইফউদ্দিনের পেছনে কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের অনেক ত্যাগ আছে। এ রকম আস্তে আস্তে হয়তো আসবে। একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার পাওয়া গেছে, ওকে দেখে হয়তো আরও তরুণ খেলোয়াড়রা নিজেদের তৈরি করবে। এটাই নিয়ম আসলে- বলেন মাশরাফি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৪ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/39mOxmG
March 04, 2020 at 04:42AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন