সিলেট, ০৭ মার্চ - জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটি ছিল পুরোপুরি মুশফিকুর রহীমের। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরিতে খেলেছিলেন ২০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। দল ইনিংস ব্যবধানে জেতার পর মুশফিকই নির্বাচিত হয়েছিলেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। টেস্টের পর এবার ওয়ানডে সিরিজটি পুরোপুরি বলা চলে দুই ওপেনার লিটন দাস ও তামিম ইকবালের। প্রশ্ন আসতেই পারে, এক সিরিজ আবার দুইজনের কীভাবে হয়? অবাক করা হলেও সত্য, তিন ম্যাচের সিরিজে তামিম ও লিটন রান করেছেন পাল্লা দিয়ে। দুজনের ব্যাট থেকেই আসে দুইটি করে সেঞ্চুরি। প্রথম ম্যাচে তামিম করেছিলেন ২৪, দ্বিতীয় ম্যাচে গড়েন বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৮ রানের রেকর্ড আর আজ (শুক্রবার) তার ব্যাট থেকে এল ১২৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। তামিমের উদ্বোধনী সঙ্গী লিটন দাস সিরিজের শুরুটাই করেছিলেন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১২৬ রানের ইনিংস দিয়ে, দ্বিতীয় ম্যাচে রানআউট হওয়ার আগে করেন ৯ রান আর আজ তার ব্যাট থেকে এলো বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ১৭৬ রানের প্রাণবন্ত এক ইনিংস। সবমিলিয়ে এবারের তিন ম্যাচের সিরিজে লিটনের মোট রান দাঁড়িয়েছে (১২৬*+৯+১৭৬)= ৩১১ রান আর তার অগ্রজ সতীর্থ তামিমের নামের পাশে জমা পড়েছে (২৪+১৫৮+১২৮)= ৩১০ রান। ভাববেন না, কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এটিই বুঝি বাংলাদেশের রেকর্ড। মোটেও তা নয়। লিটনের ৩১১ রান তালিকার তিন নম্বরে ঠাঁই পাচ্ছে আর তামিমের ৩১০ থাকবে চার নম্বরে। কারণ এ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২০১৮ সালের সিরিজে খেলা তিন ম্যাচে যথাক্রমে ১১৪, ৯০ ও ১১৫ রান করেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার ইমরুল কায়েস। সেই সিরিজে তার করা ৩৪৯ রানই বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে করা তামিমের ৩১২ রানের (১১৬+১৩২+৬৪*) রেকর্ডটি। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে ওয়ানডেতে তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা বাবর আজমের দখলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৬ সালে তিন ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তিনি করেছিলেন ৩৬০ রান। তারপরই রয়েছে ইমরুলের ৩৪৯ রানের স্থান। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৭ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2VO9zqp
March 07, 2020 at 02:17AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন