প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুক্রবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দুবারের অলিম্পিয়ান৷মৃত্যুকালে পিকে-র বয়স হয়েছিল ৮৩৷ রেখে গেলেন দুই কন্যা পলা ও র্পূণাকে৷ নিউমোনিয়ার জন্য প্রদীপবাবু সেপসিস ও মাল্টি অর্গ্যান ফেলইওরে ভুগছিলেন৷ এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে পারকিনসনে আক্রান্ত ছিলেন তিনি৷ চলতি মাসের ২ তারিখ থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পিকে৷ তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হচ্ছিল৷ ওনাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়েছিল৷ গত বৃহস্পতিবার তাঁর ফের ব্লাড ট্রান্সফিউস করা হয়েছিল৷ কিন্তু উন্নতির কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছিল না কোনওভাবেই৷ তাঁকে দেখছিলেন পালমোনলজিস্ট ডক্টর নন্দিনী বিশ্বাস, ইন্টারনাল মেডিসিন ও ইনটেনশিভিস্ট ডক্টর তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া নিউরোসায়েন্সের দলে রয়েছেন এলএন ত্রিপাঠী এবং ডক্টর সুনন্দন বসু৷ডাক্তারদের শত চেষ্টাতেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না ভারতীয় ফুটবলের উজ্জ্বল নক্ষত্রকে৷ ফুটবলের মাঠে প্রচুর লড়াই জেতা সেনাপতি জীবনের লড়াইতে হেরে গেলেন৷ ১৯৬২ সালে এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ী পিকে ভারতীয় ফুটবলের র্স্বণ যুগের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার ছিলেন৷ দেশের হয়ে ৮৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৬৫টি গোল করেছিলেন পিকে৷ জাকার্তায় সোনা জয় পিকে-র ভারত ১৯৬০-এর রোম অলিম্পিকে ফ্রান্সের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল৷ গোলটি এসেছিল পিকে-র পা থেকে৷ অলিম্পিকের কথা বললে ১৯৫৬-র মেলবোর্ন অলিম্পিকের কথাও আসবে৷ কোয়ার্টার ফাইনালে ভারত ৪-২ জিতেছিল৷ সেই ম্যাচে পিকে-র ছিল অনন্য অবদান৷ ২০০৪ সালে ভারতীয় ফুটবলে পিকে-র অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ফিফা৷ ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা প্রবাদপ্রতিম ফুটবলারকে অর্ডার অফ মেরিট দিয়েছিল৷ এন এইচ, ২০ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3bezTOY
March 20, 2020 at 01:59PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন