কলকাতা, ২৬ মার্চ - সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারতো জমজমাট আইপিএলের ১৩তম আসর। বোর্ড সভাপতি হিসেবে এমন একটি মাল্টি বিলিয়ন ডলারের টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রথম অভিজ্ঞতাও নিতে পারতেন সৌরভ গাঙ্গুলি; কিন্তু কি দুর্ভাগ্য তার, এবার তার আমলেই আঘাত হানলো করোনাভাইরাস। বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। এমন কোনো দেশ বাকি নেই যে করোনা আক্রান্ত হয়নি। ভারত সরকার তো ইতিমধ্যেই ২১ দিনের জন্য পুরো দেশকে লকডাউন করে দিয়েছে। করোনার প্রভাবে আগেই আইপিএলকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু ২১ দিনের লকডাউনের কারণে, ১৫ এপ্রিল যে আইপিএল শুরু করা যাচ্ছে না, সেটা নিশ্চিত। ফলে? এর ফলে আইপিএলের এবারের আসরের ভবিষ্যৎ কি দাঁড়াচ্ছে? ভারতীয় ক্রিকেট মহল কিন্তু এরই মধ্যে বলাবলি শুরু করে দিয়েছেন যে, এবারের আইপিএলের ভাগ্য শেষ হয়ে গেছে। অর্থ্যাৎ, এবারের আইপিএল বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাই প্রকট হয়ে উঠেছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আইপিএল নিয়ে কোনো ভালো জবাব নেই এই মুর্হূতে। এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না। আইপিএল পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যেদিন হয়েছিল, এরপর পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি গত ১০ দিনে। তাই আমার কাছে এই মুর্হূতে আইপিএল সম্পর্কে কোনো উত্তরও নেই। সঙ্গে যোগ করেন, ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক সফরসূচি নির্ধারিত রয়েছে। ক্রিকেট ছাড়াও অনেক খেলা বন্ধ। সরকার লকডাউন করেছে। ফলে দলগুলো বীমার সাহায্য পাবে কি না তাও জানা নেই। পরিস্থি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। সরকার বা প্রশাসন যেভাবে এগোতে বলবে, সেভাবেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর মালিকদের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের টেলিকনফারেন্স বৈঠকও হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা স্থগিত করে দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। ফলে আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অন্যতম মালিক নেস ওয়াদিয়ার কথায়ও। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের উচিত আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া। সবার আগে মানবসমাজ। বাকি সব কিছুই আসবে এরপরে। পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি এখনও পর্যন্ত। সুতরাং বৈঠক করে আর কী-ই বা হত! এবারের আইপিএল বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে ওয়াদিয়া বলেন, এই মুর্হূতে আইপিএল নিয়ে ভাবছিই না। বাকি বিষয়ের মতোই তা গুরুত্বহীন। বরং গুরুত্ব পাচ্ছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে তৈরি হওয়া পরিস্থিতিতে কীভাবে মানুষের প্রাণ বাঁচানো যাবে। এটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি। এখন সবাই মানুষের প্রাণ বাঁচাতে চিন্তাভাবনা করছে। অন্য কিছু নিয়ে নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইপিএলের আরেক দলের মালিক বলছেন, গোটা ভারত লকডাউন হয়ে রয়েছে। আইপিএলের বাইরে অনেক বড় বিষয় নিয়ে এখন গোটা দেশকে মাথা ঘামাতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এবারের আইপিএল মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৯ মার্চ; কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্ম-র্কতার কথায়ও আইপিএল বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, যদি টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছাতে পারে, তাহলে আইপিএল তার কাছে অত্যন্ত নগণ্য ব্যাপার। এবার আইপিএল আয়োজন করা ক্রমেই জটিল হচ্ছে। র্বতমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশিদের ভিসা দিতেও চাইছে না। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৬ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2yb0jmv
March 26, 2020 at 04:09AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top