বাবার আর্থিক সঙ্গতি নাই। স্বাভাবিকভাবেই কোপটা পড়েছিল একমাত্র মেয়ে কোমলের ওপর। হঠাৎ করেই একদিন মেয়েটার লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু ছেলে দুটোর লেখাপড়া ঠিকই চালিয়ে নিচ্ছিলেন ওই ভদ্রলোক। এভাবে মাঝপথে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কষ্ট পেয়েছিল মেয়েটি। তাই বলে হাল ছেড়ে দেয়নি। তুলে নেয় গাড়ির স্টিয়ারিং। এখন উবার ক্যাব চালিয়ে নিজের পড়ার খরচ নিজেই চালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মেয়ে ১৯ বছরের কোমল এখন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পড়াশোনা চালিয়ে নিতে গত এক বছর ধরে একটি উবার ক্যাব চালাচ্ছে সে। গাড়ি চালিয়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে পড়াশোনা শেষ করতে ব্যস্ত মেয়েটি। কারণ কোমলের পরিবারে আরও তিন ভাই-বোন রয়েছে। তাদেরও তো দেখভাল করতে হবে। তাই পড়া শেষ করে দ্রুত টাকা উপার্জন করে পরিবারকে সাহায্য করতে চায় কোমল। আর কোমলের এই লড়াইয়ের জীবন প্রকাশ্যে আসার পেছনে আছেন ফেসবুক ইউজার অলিভিয়া ডেকা। গত ১৩ নভেম্বর অলিভিয়া তার ফেসবুক ওয়ালে কোমলকে নিয়ে একটি পোস্ট দেন। দ্রুত সেটি ভাইরাল হয় এবং রাতারাতি আলোচনায় উঠে আসেন সাহসী মেয়ে কোমল। কোমল অলিভিয়াকে বলেছিল, এখনও কলেজে যেতে হবে এবং জীবনে অনেক কিছু করতে হবে। বাবা আমাকে পড়াশোনা করতে বা গাড়ি চালাতে দিতে চায় না। তবে আমি কারও কথায় কান দেইনা। কোমল আরও জানায়, আমি নিজে কিছু করতে চাই এবং সেটাই করছি। লোকেরা যা বলে আমি তা উপেক্ষা করি। আর ওই পোস্টের শেষে অলিভিয়া লিখেছিলেন, আমি সবসময় কোমলের পাশে থাকবো । আমি যতটুকু সম্ভব কোমলকে সাহায্য করবো । আমি কোমলের সাথে এই জন্য সেলফি তুলতে চেয়েছিলাম কারণ আমি এখন ওর ফ্যান। ইতিমধ্যে অলিভিয়ার এই পোস্টে ১৮ হাজারেরও বেশি লাইক পড়েছে। আর শেয়ার হয়েছে ৭,৫০০টি। হবেই নাই বা কেন বলুন, সবাই যে এখন কোমলের খবর জানতে চায়। এই সাহসী মেয়েটা এখন অনেকের অনুপ্রেরণা। সূত্র: ইন্টারনেট এম এন / ১৯ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2WtGsJs
March 19, 2020 at 05:08PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন