ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন তারা। দুর্দান্ত খেলছিল এবারের গ্রুপপর্বেও। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে পা রাখতেই যেনো খেই হারালো ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। বাদ পড়ে গেলো শেষ ষোলো থেকেই। লিভারপুলের বিদায়ঘণ্টায় মৃদু আওয়াজ পড়েছিল শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচেই। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠ ওয়ান্দা মেট্রোপলিটনে খেলতে গিয়ে তারা হেরেছিল ০-১ গোলে। তবু সুযোগ ছিলো ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু তা করতে পারেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। উল্টো নিজেদের ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে তারা হেরেছে ২-৩ গোলের ব্যবধানে। ফলে দুই লেগ মিলে ২-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হলো ইউসিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। অ্যাটলেটিকোর মাঠে থেকে হেরে ফিরলেও, অ্যানফিল্ডের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ছিলো লিভারপুলেরই পক্ষে। গত তিন বছরে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোনো ম্যাচে ঘরের মাঠে হারেনি তারা। সেই তিক্ত স্বাদই তাদের উপহার দিলো ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। একইসঙ্গে বাজিয়ে দিয়েছে বিদায়ঘণ্টা। শেষ আটের টিকিট পেতে দ্বিতীয় লেগে অন্তত দুই গোল করতেই হতো লিভারপুলকে। সে লক্ষ্যে বুধবার রাতের ম্যাচে প্রথমার্ধেই জালের দেখা পেয়ে যায় অলরেডরা। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে গোল করেন জর্জিনিও উইজনাল্ডুম। দুই লেগ মিলে চলে আসে ১-১ গোলের সমতা। ফলে ম্যাচের বাকি সময়ে আর মাত্র এক গোল করলেই হতো তাদের। কিন্তু বারবার আক্রমণে উঠেও অ্যাটলেটিকোর জমাট রক্ষণের সঙ্গে পেরে ওঠেননি মোহামেদ সালাহ, রবার্তো ফিরমিনো, সাদিও মানেরা। বারবার তারা পরাস্ত হয়েছেন অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক ইয়ান অবলাকের কাছে। ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট সময়ে অন্তত ছয়টি জোরালো শটের পরও জালের দেখা পায়নি লিভারপুল। তাই বলে যে অ্যাটলেটিকো নীরব বসেছিল, তাও নয়। আদ্রিয়ানের ক্ষিপ্রতায় বেশ কয়েকবার অক্ষত থেকেছে অলরেডদের জাল। ফলে লিভারপুল ১-০তে এগিয়ে থেকেই শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিট। তবে দুই লেগ মিলে তখন ১-১ সমতা। তাই ফলাফল নিষ্পত্তির জন্য নেয়া হয় অতিরিক্ত ৩০ মিনিট। যেখানে চতুর্থ মিনিটেই লিভারপুলের পক্ষে গোল করেন রবার্তো ফিরমিনো। ফলে ম্যাচে ২-০ এবং দুই লেগ মিলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বাকি সময়টা নির্বিঘ্নে কাটাতে পারলেই হতো তাদের। কিন্তু সেটি হতে দেননি মার্কোস লরেন্তে। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে ম্যাচে অ্যাটলেটিকোর পক্ষে প্রথম গোলটি করেন লরেন্তে। দুই লেগ মিলে তখন ২-২ সমতা এলেও, অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে এগিয়ে সফরকারীরাই। তাদের পরিষ্কারভাবে এগিয়ে লরেন্তেই। অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিট সময়ের যে প্রথম ১৫ মিনিট, তার একদম শেষভাগে দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটিও করেন এ স্প্যানিয়ার্ড। ম্যাচে তখন স্পষ্টত এগিয়ে অ্যাটলেটিকো। কোয়ার্টারে যে লিভারপুলের করতে হতো আরও দুই গোল। শেষের ১৫ মিনিটে যা করতে পারেননি সালাহ-মানেরা। উল্টো ম্যাচের একদম শেষমুহূর্তে অ্যাটলেটিকোর পক্ষে তৃতীয় গোল করেন আলভারো মোরাতা। ফলে ম্যাচে ৩-২ এবং দুই লেগ মিলে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১২ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/33bzjhX
March 12, 2020 at 05:02AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন