সিলেট, ০২ মার্চ - কথাবার্তায় এসেছে পরিপক্বতা, ব্যাট হাতেও দেখা যাচ্ছে আগের চেয়ে বেশি পরিণতভাবে সাজাচ্ছেন নিজের ইনিংস। সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পর জানিয়েছিলেন, বিয়ের পর তার চিন্তাভাবনা আরও প্রসারিত হয়েছে। এখন যেকোনো বিষয় ভাবতে পারেন ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে। সে কথাই আরও একবার জানালেন বাংলাদেশ দলের স্টাইলিশ ওপেনার লিটন দাস। এবারের উপলক্ষ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ও ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতা। লিটনের ১০৫ বলে ১২৬ রানের ঝকঝকে ইনিংসে ভর করেই বাংলাদেশ পায় ৩২২ রানের সংগ্রহ। পরে বোলারদের নৈপুণ্য আসে ১৬৯ রানের রেকর্ডগড়া জয়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে লিটন বললেন, তার ম্যাচিউরিটি বেড়েছে অনেক বেশি। দুই বছর আগে লিটন যা ছিলেন, এখন আর তা নেই- এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আমার পরিবর্তন বলতে, বিপিএলের সময়ও বলেছি যে ম্যাচিউরিটি লেভেল বেড়েছে। ক্রিকেট খেলা দেখলে অনেক সময় বোঝা যায়। আপনারাও বুঝবেন, যে লিটন দুই বছর আগে ছিল, সেই লিটন এখন আর নেই। আউট হবো বা রান করব, এসব ক্রিকেটের স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু খেলার যে ধরন, সেটা মনে হয় পরিবর্তন হয়েছে। আমি যেটা বুঝতে পারছি। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হলেও, নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটিকেও অনেক ওপরেই জায়গা দিচ্ছেন লিটন। তবে মানছেন প্রথম সেঞ্চুরি যেমন ছিলো, এশিয়া কাপ ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে- এবার তেমন ছিলো না। তবে মনোযোগ ধরে রেখে পুরো ইনিংস খেলতে পারায় নিজের প্রতি সন্তুষ্টির কথাও জানিয়ে দেন লিটন। তিনি বলেন, (যেকোনো) সেঞ্চুরিই আমার কাছে অনেক ওপরে। হ্যাঁ, সেটি হয়তো এশিয়া কাপ ফাইনাল ছিল, অনেক বড় ম্যাচ। এটি তেমন নয়। তবে আমার জন্য বড় ম্যাচ। দলীয় খেলা হিসেবে চিন্তা করলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওভারঅল সবাই ভালো খেললেই জিতে যাব। এশিয়া কাপে ওই চিন্তা করলে হবে না। কিন্তু সেঞ্চুরি করতে হলে আমাকে এশিয়া কাপে যে ফোকাস নিয়ে ব্যাট করতে হয়েছে, এখানেও একই মনোযোগ দিয়ে ব্যাট করতে হয়েছে। এখানে কোনো কমতি নেই। তবে ইনজুরির কারণে ইনিংসটি ১২৬ রানেই আটকে যাওয়ায় খানিক আক্ষেপও রয়েছে তার মধ্যে। যদিও সেটিকে পাত্তা দিতে চান না এ তরুণ ব্যাটসম্যান। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে লিটন বলেন, আমি যেটা অনুভব করি, ক্রিকেট সম্পূর্ণ হতাশার খেলা। এক ম্যাচ রান করব, আরেক ম্যাচে রান পাব না। রান করলেও চিন্তা হয় যে আরও ১০ রান বেশি করতে পারতাম। সেদিক থেকে আক্ষেপ আছে। কিন্তু আমার মনে হয় উঠে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আমার জন্য সঠিক ছিল। সামনে আরও ম্যাচ আছে। পাশাপাশি ওখানে (ইনজুরির পর) আমি ব্যাট করলে হয়তো ৫ বলে ১০ করতাম। কিন্তু আউটের সম্ভাবনা বেশি থাকত। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০২ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/39eEAHX
March 02, 2020 at 02:23AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন