ঢাকা, ১৩ মার্চ - এখন আমার চোখ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ওপর স্থির হয়ে আছে। যত চিন্তা এখন ক্লাব ক্রিকেট নিয়ে-কথাগুলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষে গতকাল বুধবার রাতে শেরে বাংলার কনফারেন্স হলে বসে কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ঐ মন্তব্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে, প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে কতটা উৎসাহী রিয়াদ। দেশের এ সিনিয়র ক্রিকেটার ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক একা নন। মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহীমের মত শীর্ষ তারকাও এই তালিকায়। শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ আশরাফুল, আব্দুর রাজ্জাক, অলক কাপালি, নাসির হোসেনের মতো এক সময় জাতীয় দল কাঁপানো তারকা, এই সময়ের প্রতিষ্ঠিত পারফরমার সৌম্য সরকার, লিটন দাস, তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ কিংবা হালের আকবর আলী, মাহমুদুল হাসান জয়, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলামদের কথা বলুন; এক ঝাঁক তরুণ ও নবীনসহ দুই শতাধিক ক্রিকেটার এখন নিজ ক্লাব দলের অনুশীলনে দারুণ ব্যস্ত। আর মাত্র ৭২ ঘন্টা পর ১৫ মার্চ পর্দা উঠবে ঢাকাই ক্লাব ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট ও আকর্ষণীয় আসর প্রিমিয়ার লিগের। ক্রিকেটারদের সবাই মুখিয়ে আছেন মাঠে নামতে। দর্শক ও ক্রিকেট ভক্তদের উন্মুখ অপেক্ষা। বলার অপেক্ষা রাখে না জাতীয় লিগ, বিসিএল এখন পর্যন্ত তেমন সাড়া জাগাতে না পারলেও প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্ব ও আবেদন এখনো অনেক। জাতীয় দল, এ দল, এইচপি, একাডেমি আর অনূর্ধ্ব-১৯ দল ছাড়া অন্তত শদেড়েক ক্রিকেটারের রুটি রুজি এই প্রিমিয়ার লিগ। তাদের সারা বছরের উপার্জন এই লিগ থেকেই। তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে প্রিমিয়ার লিগ মানেই অন্য কিছু। শুধু রুটি রোজগারের উৎসই নয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটে একমাত্র ওয়ানডে আসরও এই প্রিমিয়ার লিগ। সব ক্রিকেটারই জানেন, বোঝেন এই আসরে ভালো খেলা মানেই সীমিত ওভারের ফরম্যাটে জাতীয় দল, এ দল ও হাই পারফরমেন্স ইউনিটে ডাক পাওয়া। তাই ক্রিকেটাররা সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দেন এ লিগে ভালো খেলতে। ভাবা হচ্ছে এবারের লিগও হবে জমজমাট, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঠাসা। মাঠে দর্শক কমে গেলেও বিভিন্ন ক্লাবের ভক্ত-সমর্থক ও সাধারণ ক্রিকেট অনুরাগীরা এখনো প্রিমিয়ার লিগের খোঁজ খবর রাখেন নিয়মিত। উৎসাহ-আগ্রহ ও উদ্দীপনাও আছে যথেষ্ট। সেই সব উৎসাহী ক্রিকেট ভক্ত ও সমর্থকদের কৌতুহলি জিজ্ঞাসার কমতি নেই। আচ্ছা, জাতীয় দল থেকে অবসর নেয়ার পর মাশরাফি কি এবারের প্রিমিয়ার লিগ খেলবেন? যারা একটু বেশি খোঁজ খবর রাখেন, তারা জানেন, মাশরাফির ছোট ভাইয়ের বিয়ে খুব শিগগিরই। তাদের জিজ্ঞাসা-মাশরাফি কি ছোট ভাইয়ের বিয়ের কারণে সব ম্যাচ খেলতে পারবেন? আবাহনী ছেড়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে যোগ দেওয়া দেশের শীর্ষ তারকা কি এবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের অধিনায়কত্ব করবেন? নাকি আগেরবার যেমন মোসাদ্দেকের অধিনায়কত্বে আবাহনীর হয়ে খেলেছিলেন, এবারও তেমন কারো অধীনে খেলবেন নড়াইল এক্সপ্রেস? ঐ সব কৌতুহলি প্রশ্নর উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, শীর্ষ তারকা মাশরাফি আগেরবারের মত এবারও অধিনায়কত্ব করবেন না। তার দল শেখ জামালের অধিনায়ক এবার নুরুল হাসান সোহান। নুরুল হাসান সোহান বলেন, মাশরাফি ভাই দলে থাকাই তো অনেক কিছু। তার উপস্থিতিই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার। তিনি নিজে থেকেই অধিনায়কত্ব না করার কথা জানিয়েছেন। তাই আমি ক্যাপ্টেন্সি করবো। এদিকে একই দলে আছেন জাতীয় দলের আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলও। বলার অপেক্ষা রাখে না, বন্ধুপ্রতীম মাশরাফি আর আশরাফুল ঢাকা লিগে অন্তত ২০ বছর খেলে ফেলেছেন। জাতীয় দলেও খেলেছেন এক যুগের বেশি সময়। তবে তারা দুজন একসঙ্গে ক্লাব ক্রিকেটে একই জার্সি গায়ে কখনো খেলেননি। এ সম্পর্কে মোহাম্মদ আশরাফুল জাগো নিউজকে জানান, আমি আর মাশরাফি জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলে একসঙ্গে খেলেছি। কিন্তু কখনও ক্লাব ক্রিকেটে এক দলের হয়ে খেলা হয়নি। প্রিমিয়ার লিগে এক ক্লাবে খেলিনি, তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর বিপিএলে আমরা ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে ২০১২ ও ২০১৩ সালে প্রথম দুই আসর একসঙ্গে খেলেছি। মধ্য তিরিশে পা রেখে ক্যারিয়ার সায়াহ্নে এবারই প্রথম দুই বন্ধু এক দলে। শেখ জামাল ধানমন্ডির হয়ে খেলতে নামবেন। তার মানে জাতীয় দলের দুই সাবেক অধিনায়ক ও অগ্রজ মাশরাফি-আশরাফুলের ক্যাপ্টেন এবার নুরুল হাসান সোহান। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৩ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2U0cGsN
March 13, 2020 at 03:14AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন