ক্যানবেরা, ২৪ এপ্রিল - মানসিক অবসাদ, হতাশা কিংবা ব্যর্থতা মেনে নিতে পারা- এসব কারণে ক্রিকেটারদের খেলা থেকে দূরে থাকার ঘটনা রয়েছে অনেক। সবশেষ গ্লেন ম্যাক্সওয়েলই যেমন মানসিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে বিরতি নিয়েছিলেন সবধরনের ক্রিকেট থেকে। এছাড়া জোনাথন ট্রট, উইলি পুকোভস্কি কিংবা সারা জেন টেলররাও ভুগেছেন এই সমস্যা। তবে তাদের কেউই খেলা থেকে দূরে থাকা ছাড়া আর কোন ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত নেননি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিং অলরাউন্ডার ময়সেস হেনরিকস করতে বসেছিলেন খুবই খারাপ কিছু। তাও শুধুমাত্র টসের সিদ্ধান্ত ভুল নেয়ায়। ঘটনা ২০১৭ সালের। শেফিল্ড শিল্ডের এক ম্যাচে তাসমানিয়ার বিপক্ষে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক হেনরিকস। তিনি ভেবেছিলেন উইকেট হবে বোলিং ফ্রেন্ডলি। কিন্তু দেখা গেল তাসমানিয়া প্রথম ইনিংসে দাঁড় করিয়ে ফেলে ৪৫০ রানের সংগ্রহ। জবাবে তার দল ৯০ রানেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। অথচ আগে ব্যাটিং করলে চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত- এমনটা ভেবেই ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েন হেনরিকস। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি। গাড়ির গতি এতো বেশিই বাড়িয়ে দেন যে দুর্ঘটনা ছিল অবশ্যম্ভাবী। তার নিজেরই মনে হচ্ছিল এখন মারা যাবেন তিনি। তবে শেষমুহূর্তে নিজেকে সংযত করেন এ অসি অলরাউন্ডার। সেই হতাশাময় সময়ের কথা জানিয়ে ৩৩ বছর বয়সী হেনরিকস বলেছেন, আপনি যদি গুগলে হতাশার লক্ষণগুলো দেখেন, আমি সেসবের সবগুলোই অনুভব করছিলাম। তাও খুব প্রকটভাবে। মাত্র এক মাসের মধ্যে ১০ কেজি ওজন কমে গিয়েছিল। চার সপ্তাহের ব্যবধানে ৯৮ থেকে ৮৮ কেজি হয়ে যায় আমার ওজন। শেফিল্ড শিল্ডের সেই ম্যাচের কথা মনে করে তিনি বলতে থাকেন, তাসমানিয়ার বিপক্ষে ব্যাংকসটাউন ওভাল মাঠে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি ভেবেছিলাম সবুজ ঘাসের উইকেট পেতে যাচ্ছি। কিন্তু প্রথম দিন শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ২৯০ রান। দ্বিতীয় দিনে ৪৫০ রান করে ডিক্লেয়ার করে দেয়। আমাদের অবস্থা হয় ৫ উইকেটে মাত্র ৯০ রান। আমি ২০ রান করে আউট। আমার মনে আছে, বাড়ি ফেরার সময় আমার গাড়ি চলছিল ১১০ কিমি. প্রতি ঘণ্টা। গাড়িতে বসে আমি নিজেই ভাবছিলাম, এখন আমি রাস্তার পোলের সঙ্গে ধাক্কা খেলে কী হবে? যা হবে তার পরবর্তী পরিস্থিতি কী হবে? তখন আমার মনে হলো, এটা করা ঠিক হবে না। এটা আমার ভাইদের প্রতি অন্যায় হবে, আমার সঙ্গীর প্রতি অন্যায় হবে, আমার জন্য যারা আছে তাদের প্রতি অন্যায় হবে। তিনি আরও বলেন, আমি ভাবছিলাম, ম্যাচের বাকি দুইদিনের জন্য আমার দলকে আমি ১০ জনে পরিণত করতে পারি। আমি শেষপর্যন্ত ব্রেক কষে দেই। আমি তখন অনেক কান্না করছিলাম, সারা শরীর কাঁপছিল। আমার সব সামলে নিতে হয়েছিল। মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে। অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে ৪ টেস্ট, ১১ ওয়ানডে ও ১১ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন হেনরিকস। ব্যাট হাতে তিন ফরম্যাট মিলে ৪ ফিফটিতে করেছেন ৪০৪ রান। বল হাতে সাফল্য বলতে ১৩টি উইকেট। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৪ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2S2twH4
April 24, 2020 at 04:05AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন