ঢাকা, ১৬ এপ্রিল - ২২ গজের পিচে সাহসী উইলোবাজি, প্রতিপক্ষ বোলিংকে তছনছ করে দেয়া আর চটকদার শটস খেলার জন্য তার অন্যরকম পরিচিতি আছে; কিন্তু মাঠের বাইরের তামিম ইকবাল যে বরাবরই বড় ও মুক্ত মনের! দিল দরিয়া। কাউকে সাহায্য-সহযোগিতা করায় যে তার জুড়ি নেই, তা কজন জানেন? কারো অভাব, দুঃসময় আর প্রয়োজনে তামিম বরাবরই অগ্রণী ভূমিকায় থাকেন। এই তো এবার যে জাতীয় দলের ২৭ ক্রিকেটার যে ৩০ লাখ টাকা করোনা ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য দান করেছেন, সেই মিশনেরও অগ্রভাগে ছিলেন তামিম। ২৭ ক্রিকেটারের অর্ধেক মাসের বেতন তুলে দেয়ার কজে তামিমই ছিলেন সমন্বয়কারীর ভূমিকায়। যে কারণে মাশরাফি বিন মর্তুজা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তামিমের প্রশংসাও করেছিলেন। এবার আরও একটি মানবিক কাজ করলেন তামিম। পত্রিকায় খবর পড়ে সাহায্য করলেন এক অ্যাথলেটকে। খুলনার অ্যাথলেট সামিউল ইসলামকে তিন মাসের সমুদয় খরচ দিয়েছেন তামিম ইকবাল খান। প্রসঙ্গতঃ বিজেএমসির অ্যাথলেট সামিউল গতবার জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সে দ্রুততম মানব হয়েছিলেন। অল্প কিছুদিন আগে বিজেএমসি থেকে চাকুরি হারিয়েছেন। অ্যাথলেটিক্সের পাশাপাশি ফুটবল খেলেও অর্থ উপাজর্ন করতেন; কিন্তু করোনার কারণে তাও বন্ধ। তাই অর্থকষ্টে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছিলেন সামিউল। তার অর্থ কষ্টের কথা লিখা হয়েছিল এক শীর্ষ ইংরেজী দৈনিকে। তা নজরে আসে তামিম ইকবালের। এরপরই ওই পত্রিকা অফিসে ফোন করে সামিউলের সাথে কথা বলেন তামিম এবং তাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। একই সঙ্গে জানতে চান আগামী তিন মাস সামিউলের পরিবারের সমুদয় খরচ দিতে চান। সামিউল তো শুনে আকাশ থেকে পড়েন। অথচ পুরো ঘটনাটি একদম নীরবে করেছেন তামিম। আজ রাতে সামিউলের উদ্বৃতি দিয়ে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর জানা গেল তামিম একজন ক্রীড়াবীদের প্রতি কি অসাধারণ মমত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন। এ বিষয়ে ফোন পেয়েও তামিম বিনয়ের সাথে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন। পরে প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, আমি তো আর জানতাম না ঘটনাটি। ডেইলি স্টারে দেখলাম যে সে কষ্ট পাচ্ছে। তখন ভিতরে বিষয়টা অনুভব করলাম। আমি পত্রিকায় ফোন করে সামিউলের নাম্বার নিয়ে তার সাথে কথা বলি। তারপর...। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৬ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/34CxKum
April 16, 2020 at 04:19AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন