মুম্বাই, ০১ এপ্রিল - করোনাভাইরাসের কারণে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যাও প্রায় ৪৩ হাজার। অনেক আগেই একে মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সারা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ লকডাউন, স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্ব। করোনার কারণে সারা বিশ্বের সমস্ত খেলাধুলাও বন্ধ হয়ে গেছে। ভারতের বহুল প্রতিক্ষিত আইপিএলও বন্ধ হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। যদিও ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে- এবারের আইপিএলের আসরটি বাতিলই ঘোষণা করতে হতে পারে কিংবা সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে কোনো সিরিজকে বাদ দিয়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের নতুন ঘোষণা দেয়া হতে পারে। প্রসঙ্গতঃ ২৯ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল ১৩তম আইপিএলের আসর। আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়া কিংবা বাতিল হওয়ার অর্থ বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হওয়া আইপিএলের প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজি এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎও পড়ে গেছে গভীর অনিশ্চয়তার মুখে। এই পরিস্থিতিতে আইপিএলে নিবন্ধিত ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের বিষয়টা কি হবে তা নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন এবং বিশাল শঙ্কা। এসব শঙ্কা এবং প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা ভারতীয় দৈনিক দ্য হিন্দুকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আইপিলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের বিষয়ে নিয়ম হচ্ছে, টুর্নামেন্ট শুরুর সপ্তাহখানেক আগেই ১৫ ভাগ পারিশ্রমিক কিংবা চুক্তির টাকা পরিশোধ করতে হবে। টুর্নামেন্ট চলাকালিন পরিশোধ করবে আরও ৬৫ ভাগ পারিশ্রমিক। বাকি ২০ ভাগ দেয়া হয় টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর। এরপরই তিনি জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে কোনোভাবেই কোনো খেলোয়াড়কে পারিশ্রমিক দেয়া হচ্ছে না। বিসিসিআইর ওই কর্মকর্তা বলেন, বিসিসিআইয়ের একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা আছে। সেই গাইডলাইন অনুসারে অবশ্যই কোনো খেলোয়াড়কে পারিশ্রমিক দেয়া সম্ভব হবে না। ক্রিকেটারদের নিয়ে বিসিসিআইর তৈরি করা সংগঠন ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি অশোক মালহোত্রা মনে করেন, এ ধরনের বড় একটি টুর্নামেন্ট স্থগিত কিংবা বাতিল হয়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে আর্থিকভাবে বিশাল ক্ষতি। তিনি এটাও স্বীকার করে নিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থানীয় ক্রিকেটাররাও বড় ধরণের ক্ষতির মুখোমুখি। যদিও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্রিকেটাররাও পারিশ্রমিক কর্তনের বিষয়টাও মাথায় রেখে চিন্তা ভাবনা করছে। একটি ফ্রাঞ্চাইজি মালিকও নিশ্চিত করে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা নিজেরাও স্পন্সর মানি পায়নি। সুতরাং, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দেয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন, আমরা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে কোনো অর্থ পাইনি। কারণ, তাদের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে এ ধরনের মহামারির কোনো শর্ত অন্তর্ভূক্ত ছিল না। প্রতিটি ফ্রাঞ্জাইজিরই কম-বেশি ৭৫ থেকে ৮০ কোটি রুপির কাছকাছি পারিশ্রমিক দিতে হয়। যদি খেলো নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসে, তাহলে আমরা কিভাবে পারিশ্রমিক দেবো? ওই কর্মকর্তা সঙ্গে এটাও জানিয়ে দেন, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, বুন্দেসলিগার খেলোয়াড়রা পারিশ্রমিকি কর্তনের বিষয়ে সবাই একমত। অথচ, এখনও কেউ জানে না, স্বাভাবিক পরিস্থিতি হবে কখন? সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০১ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Jtei9J
April 01, 2020 at 03:18AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top