ঢাকা, ৩০ এপ্রিল - নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হতে বাকি বেশ সময়। কিন্তু কোচের হাতে খেলোয়াড় বদলের আর সুযোগ নেই। তিন জন ফুটবলার যে আগেই পরিবর্তন করা হয়েছে। কিংবা নকআউট ম্যাচ গড়িয়েছে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে, অথচ খেলোয়াড় পরিবর্তনের আর সুযোগ নেই। তখন একজন কোচের কিছুই করার থাকে না। করোনা পরবর্তী ফুটবলে কোচদের এ সমস্যায় বেশি পড়তে হতে পারে। কারণ, দীর্ঘ একটা সময় ফুটবলাররা আছেন খেলা ও অনুশীলনের বাইরে। আগের মতো ফিটনেস নিয়ে মাঠে নামতে পারবেন না কোন ফুটবলার। এমন অবস্থা চিন্তা করেই বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফা খেলোয়াড় পরিবর্তনের কোটা বাড়ানোর চিন্তা করছে। গত সপ্তাহে ফিফার গভর্নিং বডি থেকে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় ৩ জনের পরিবর্তে ৫ জন খেলোয়াড় বদল করা যাবে। আর নকআউট ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে পরিবর্তন করা যাবে আরও একজন। অর্থাৎ নিয়ম পাশ হলে ১২০ মিনিটের ম্যাচে পরিবর্তন করা যাবে ৬ ফুটবলার। যা একাদশের অর্ধেকের বেশি। ফিফা এ চিন্তাভাবনা করছে সাময়িক সময়ের জন্য। চলমান মৌসুম শেষ হলেই পুরোনো নিয়মে ফিরে যাবে ফুটবল। ফিফার এই নতুন নিয়মকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন জাতীয় দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে এবং জাতীয় দলের সাবেক তিন কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক, একেএম মারুফুল হক এবং সাইফুল বারী টিটু। লন্ডন থেকে জেমি ডে বলেছেন, ফুটবলের নতুন এ নিয়মে আমি কোন সমস্যা দেখছি না। বরং আমার কাছে ইতিবাচকই মনে হচ্ছে। কারণ, একজন কোচ ম্যাচে প্রয়োজনে খেলোয়াড় পরিবর্তনের বেশি সুযোগ পাবেন। ট্যাকটিক্যাল জিনিসগুলো আরও ভালভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন। খেলোয়াড়রা অনেক দিন ধরে খেলা ও অনুশীলনের বাইরে। তাদের জন্য সুবিধা হবে। সুবিধা হবে ক্লাবগুলোর জন্যও। ক্লাবগুলো প্রয়োজনমতো খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে পারবে। জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমানে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক ফিফার খেলোয়াড় পরিবর্তনের কোটা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেছেন, লম্বা একটা সময় ধরে ফুটবলাররা খেলা ও অনুশীলনে নেই। তারা ফিটনসে আপ টু দ্য মার্কে থাকবে না। ফিফাও সেটা মনে করছে। দলগুলোতে যাতে তার নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে এবং খেলোয়াড়রাও ইনজুরিমুক্ত থাকে তাই এ মুহূর্তের জন্য এটা গ্রহণযোগ্য একটা উদ্যোগ। এতে কোচের মাঠে ট্যাকটিক্যাল বিষয়টি বেশি প্রয়োগের সুযোগ বাড়বে। খেলোয়াড়-ক্লাবের জন্য সুবিধা হবে। কারণ এটা একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। জাতীয় দলের আরেক সাবেক কোচ ও বর্তমানে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মারুফুল হক খেলোয়াড় পরিবর্তনের কোটা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেছেন, এ সময়ের জন্য এটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে। এতে কোচরা মাঠে তাদের কৌশল প্রয়োগে বেশি সুযোগ পাবেন। তিনজন বদলের বেলায় কোচের যে সীমাবদ্ধতা আছে তা থাকবে না ৫ জন বদলানোর সুযোগ পেলে। খেলার গতিও বেড়ে যাবে। কারণ, মাঠে ফ্রেশ প্লেয়ার বেশি থাকবে। তবে ৩ জন পরিবর্তন কোয়ালিফাইড কোচদের জন্য একটু বেশি সুবিধা থাকে। ৫-৬ জন বদলির সুযোগ হলে সব কোচের জন্যই বিষয়টা সমান হবে। আরেকটি বিষয় হলো এতে হয়তো ফুটবলের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য্য একটু কমবে। জাতীয় দলের সাবেক কোচ এবং বর্তমানে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কোচ সাইফুল বারী টিটুও বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেছেন, ফুটবলের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্থ এখন। তাই এ নিয়মের যৌক্তিকতা আছে। কোচের হাতে অপশন বাড়বে। ফ্রেশ খেলোয়াড় বেশি নামানোর সুযোগ পাবেন। তাতে শেষ দিকে ম্যাচের গতি কমবে না। সেটা ঠিক থাকবে। কোচ যখন দেখবেন তার দুইটা পজিশনে সুবিধা হচ্ছে না। তখন তিনি সেখানে পরিবর্তন আনতে পারবেন। আর এর উল্টো হতে পারে বেশি পরিবর্তনের সুযোগ থাকলে একাদশের খেলোয়াড়রা চাপের মধ্যে পড়তে পারনে। একটু খারাপ করলেই কোচ তুলে নেবেন- এটা কাজ করতে পারে তাদের মধ্যে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ৩০ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3aINtcI
April 30, 2020 at 04:24AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন