ঢাকা, ৩০ এপ্রিল - করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত গোট বিশ্ব। বাংলাদেশেও দিনকে দিন বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। প্রাণনাশের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে প্রতিদিন। সবার ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে এখন যত কথা করোনা নিয়েই। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন করোনা পরিস্থিতি ওপর। প্রশাসন-পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, ব্যবসায়িক, সেবামুলক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিরা এগিয়ে এসেছেন করোনা আক্রান্তদের সাহায্য-সহযোগিতায়। পাশাপাশি অনেক ক্রীড়াবিদও করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। ক্রিকেটার, ফুটবলারসহ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়রা যে যার অবস্থান থেকে প্রাণপন চেষ্টা করছেন করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে। তবে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে এখন একটি নামই সবার মুখে মুখে। তিনি তামিম ইকবাল। নীরবে নিভৃতে মানব সেবাকে ব্রত হিসেবে নিয়ে অসহায় ও আার্থিকভাবে দুর্বল ক্রীড়াবিদদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন দেশের ক্রিকেটের এ উজ্জ্বল তারকা। প্রথমে জাতীয় দলের ২৭ ক্রিকেটারের অর্ধেক মাসের বেতন জড়ো করে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ফান্ডে জমা দেয়ার কাজে প্রধান সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করেছেন। নিজে উদ্যোগি হয়ে আরও ক্রিকেটারদের সাথে কথা বলে তাদের প্রত্যেকের ১৫ দিনের বেতন তুলে ৩০ লাখ টাকা দিয়েছেন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ারের ফান্ডে। তারপর পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়ে খুলনার অ্যাথলেট সামিউল ও তার পরিবারের তিন মাসের সমুদয় খরচ বহন করার দায়িত্ব নিয়েছেন। এরপর নাফিসা নামের এক আর্ত-মানবতার সেবায় নিয়োজিত নারীর ফেসবুক পোস্ট ও ছবি দেখে নিজে যেচে যোগাযোগ করে তার মাধ্যমেও সাধারণ মানুষকে খাবার সরবরাহ করেছেন। সর্বশেষ ৯১ ক্রীড়া বীদকে একাকালিন অর্থ সাহায্য করলেন তিনি একা। ক্রিকেটার, ফুটবলার, হকি খেলোয়াড়, অ্যাথলেট, সাঁতারু এবং জিমন্যাস্ট- সব ইভেন্টের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে করোনায় যারা আর্থিক কষ্টে পড়ে গেছেন, বন্ধু, সুহৃদ ও শুভানুধ্যায়ীদের সাথে কথা বলে, বিভিন্নজনের কাছ অর্থ কষ্টে থাকা ক্রীড়াবীদদের তালিকা নিয়ে নিজে ফোনে কথা কথা বলে এককালিন অর্থ পাঠিয়ে দিয়েছেন বিকাশ করে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ১০০ ক্রীড়াবিদকে এমন অর্থ সাহায্য করার কাজটি তামিম একদমই নীরবে করেছেন। নিজে থেকে কোন সাংবাদিক বা প্রচার মাধ্যমকে কিছুই জানাননি। এখনো ওই মানবিক কর্মকান্ড নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য নেই তামিমের। জানা গেছে, একদম সবার অগোচরেই ওই অর্থ সাহায্যর কাজটি সারতে চেয়েছিলেন তামিম। তার লক্ষ্য ছিল, একজন ক্রীড়াবীদ হয়ে দুঃসময়ে অন্য ক্রীড়াবীদের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ ভিতর থেকে অনুভব করছি। এটা বলে কয়ে করার ব্যাপার নয়। আমি তা প্রচার করতেও রাজি নই। তারপরও খবরটি মিডিয়ায় এসে গেছে; কিন্তু তামিম নিজে থেকে ৯১ ক্রীড়াবীদকে সাহায্য সহযোগিতা করা নিয়ে এখন পর্যন্ত সেভাবে কোনো কথাই বলেননি। পড়ন্ত বিকেলে মুঠোফোন আলাপেও ক্রীড়াবিদদের সহযোগিতা করার ব্যাপারে প্রায় নির্বাক অভিব্যক্তি তামিমের। আমি এই করেছি ওই করেছি- মার্কা কথা বহূদুরে। বিনয়ী তামিম মুখ ফুটে নিজের কথাই বলতে নারাজ। ভাবখানা এমন, আমার ক্রীড়াবিদ ভাই ও বোনরা কষ্টে আছে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ অনুভব করেছি। তাই দাঁড়িয়েছি। এটাই, আর কিছু বলার নেই। তারপরও কিছু বলতে বলা হলে, তামিম সৃষ্টিকর্তার গুণগান গাইলেন। সমস্ত কৃতিত্ব মহান আল্লাহকে দিয়ে বিনয়ী তামিমের ছোট্ট সংলাপ, সবই আল্লাহর রহমত। তার ইচ্ছে ও দয়া এবং কৃপায় সব হয়েছে। আসলে সৃষ্টিকর্তাই সব কিছুর মালিক। আমি তো নিমিত্ত মাত্র। তামিমের মত উদার আর বড় মনের মানুষরা আসলে এমনই। পরের জন্য মন কাঁদে। তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন অনেক বড় মনে। কিন্তু ডাক-ঢোল পিটিয়ে নয়। নীরবে। নিভৃতে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ৩০ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2YjPTvG
April 30, 2020 at 04:49AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top