খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরাই ধরা হয় আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে। কিন্তু মাঠের বাইরে মানুষ হিসেবে সবসময়ই বিতর্ক লেগে থাকে ম্যারাডোনাকে ঘিরে। কখনও ড্রাগ নেয়ার অভিযোগ আবার কখনও অন্যের সঙ্গে দুর্ব্যবহার- নানান সময় নানান নেতিবাচক বিষয়ে খবরের শিরোনাম হন তিনি। এবার এ কিংবদন্তি ফুটবলারের ব্যাপারে প্রায় ৩০ বছর আগের এক ঘটনা মনে করালেন প্রখ্যাত রেফারি এডগার্ড কোদসাল। তার মতে ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি খেলাই হতো না ম্যারাডোনার। কেননা সেই ম্যাচ শুরুর আগেই লাল কার্ড দেখার মতো অপরাধ করে বসেছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। প্রায় একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জেতানোর পর, ১৯৯০ সালেও আলোচনায় ছিলেন ম্যারাডোনা। সেবারও ফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু শিরোপা জিততে পারেনি। হেরে যায় পেনাল্টি থেকে গোল হজম করে। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনার পুরো দল মাঠে নামাই ছিলো এক চ্যালেঞ্জ। চার জন খেলোয়াড় ছিলেন বহিষ্কৃত। মূল ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন আরও দুইজন। এ তালিকা তিনজনের হতে পারত, যদি না রেফারি কোদসাল ম্যাচ শুরুর আগে ম্যারাডোনাকে হালকা ছাড় দিতেন। সেটি কীভাবে? জানিয়েছেন সেই রেফারি নিজেই। তার ভাষ্য, আমি তাকে (ম্যারাডোনা) ম্যাচ শুরুর আগেই লাল কার্ড দেখাতে পারতাম। তবে জাতীয় সঙ্গীতের সময় নিরপেক্ষভাবে শপথ নেয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যায়। পরে আমি যখন ওদের এক খেলোয়াড়কে (পেদ্রো মনজন) লাল কার্ড দেখাই, তখনও সে রেগে যায়। আমার কাছে এসে বলতে থাকে, আমি নাকি চোর এবং ফিফার টাকা খেয়ে এসব করছি। এসময় ম্যারাডোনার ব্যবহারকে জঘন্যতম উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ফুটবল মাঠে ম্যারাডোনাকে অসাধারণ সব কীর্তি করতে দেখেছি আমি। এটাও দেখেছি যে কড়া ট্যাকলের কারণে তার হাঁটু ফুলে ঢোল হয়ে গেছে। খেলোয়াড় হিসেবে সে সেরাদের সেরা। তবে মানুষ হিসেবে আমার দেখা অন্যতম জঘন্য একজন। ১৯৯০ বিশ্বকাপের সেই ফাইনাল নিয়ে অবশ্য ম্যারাডোনারও অনেক ক্ষোভ রয়েছে। তার মতে রেফারি কোদসালের কারণেই ম্যাচটি হেরেছে আর্জেন্টিনা। কেননা ৮৫ মিনিটে ম্যাচের অবস্থা যখন ০-০, তখন জার্মানদের পেনাল্টি দেন কোদসাল। যেখান থেকে গোল করে দলকে শিরোপা জেতান আন্দ্রেস ব্রাহিম। পরে সরাসরি রেফারিকে দোষ দিয়ে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, আমাদের খেলোয়াড়রা নিজেদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছে। কিন্তু এই মানুষটা (রেফারি) সব নষ্ট করে দিয়েছে। এই মানুষটা ভয় পাচ্ছিল, ম্যাচটা যেন পেনাল্টিতে না যায়। সে চাচ্ছিল ইতালির মানুষকে খুশি করতে। তার কালো থাবায় খুবই সাধারণ ফাউলে মনজন লাল কার্ড দেখে। এরপর আমাদের বিপক্ষে নিজের কল্পনা থেকে পেনাল্টিও দিয়ে বসে। আমি লম্বা সময় ধরে কান্না করেছি। ফুটবল আমার জীবন। আমরা রানারআপ হওয়ায় আমি কান্না করিনি। যেভাবে হেরেছিলাম, তা মেনে নেয়ার মতো ছিল না। ঐ ফাউলে পেনাল্টি দেয়ার অধিকার কারও নেই। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৭ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/35czc74
April 27, 2020 at 04:34AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top