ঢাকা, ০৭ এপ্রিল - ওয়ানডে সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করে টি-টোয়েন্টির আগে উচ্ছ্বসিত না হলেও, ফুরফুরে মেজাজেই ছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু কুড়ি ওভারের সিরিজ শুরুর দিন বড়সড় এক ধাক্কাই খায় টাইগার ভক্ত-সমর্থকরা। হুট করেই অবসরের সিদ্ধান্ত জানান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সাল ২০১৭, শ্রীলঙ্কা সফরটি তখনও পর্যন্ত ছিল সাফল্যে মোড়া। নিজেদের শততম টেস্টে দারুণ জয়, ওয়ানডে সিরিজে সমানে সমান লড়ে নিজেদের সামর্থ্যের ছাপ বেশ ভালোভাবেই রেখেছিল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটা ছিল ৪ এপ্রিল। স্বাভাবিকভাবেই এগুচ্ছিল সবকিছু। কিন্তু ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে সবাইকে অবাক করে দিয়ে, নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা জানান মাশরাফি। পরে সেই ম্যাচের টসের সময় জানান, সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিই হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার শেষ ম্যাচ। যেই কথা সেই কাজ! যার ফলে একদিন বিরতি দিয়ে আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগে ৬ এপ্রিলই হয়ে আছে মাশরাফির ক্যারিয়ারের প্রথম শেষের দিন। প্রথম কেন বলা? কারণ মাশরাফি টেস্ট খেলেন না ১১ বছর ধরে ঠিক, তবে তিনি এই ফরম্যাট থেকে আনুষ্ঠানিক অবসরের কথাও জানাননি কখনও। অর্থাৎ ফিটনেস ফিরে পেলে যেকোন সময় টেস্ট খেলতে প্রস্তুত তিনি। আর ওয়ানডে তো খেললেন গত মাসেও। ফলে ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল তারিখটিই কোন ফরম্যাট থেকে মাশরাফির বিদায়ের প্রথম ঘটনা। সেই ম্যাচে জান-প্রাণ দিয়ে লড়েছিল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ায়, ঘুরে দাঁড়ানোর তীব্র ইচ্ছা দেখা গেছে সবার শরীরী ভাষায়। ব্যাটিংয়ে ইমরুল কায়েস (২৫ বলে ৩৬), সৌম্য সরকার (১৭ বলে ৩৪), সাকিব আল হাসানদের (৩১ বলে ৩৮) উত্তাল উইলোবাজিতে ১৭৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। মাশরাফি নিজে অবশ্য আউট হয়ে যান মুখোমুখি প্রথম বলে। পরে বোলিংয়ে সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি ও মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারের কোন জবাবই দিতে পারেনি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। নিজের প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনারকে ফেরান ম্যাচে ৩ উইকেট নেয়া সাকিব। আর বোলিংয়ে এসে প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট নেয়া মোস্তাফিজের ঝুলিতে যায় ৪টি উইকেট। ব্যাট হাতে শূন্য করলেও, বল হাতে নিরাশ হতে হয়নি মাশরাফিকে। নতুন বলে বোলিং শুরু করে ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় নেন একটি উইকেট। নিজের শেষ ওভারে সরাসরি বোল্ড করে দেন মারকুটে অলরাউন্ডার সেকুগে প্রসন্নকে। লঙ্কানদের ১৩১ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ পায় ৪৫ রানের বড় জয়। সেদিন থেমে যাওয়ায় মাশরাফির টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের বয়স অল্পের জন্য এক যুগ ছোঁয়নি। ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর দেশের ইতিহাসের প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়েই শুরু হয়েছিল তার কুড়ি ওভারের ক্যারিয়ার। যা থামে ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল। মাশরাফির ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে ৪৩ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩৬ ও বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরষ্কারও জিতেছিলেন তিনি। ১১ বছর পর বিদায়ী ম্যাচটাও জয় দিয়েই শেষ করতে পেরেছেন মাশরাফি। মাঝের সময়টাতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে মোট ৫৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। রান করেছেন ৩৭৭ এবং বল হাতে উইকেটের সংখ্যা ৪২। সেরা বোলিং ১৯ রানে ৪ উইকেট। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৭ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2RgIzwC
April 07, 2020 at 02:50AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top