হ্যাভিয়ের আগুইরে। মেক্সিকান ফুটবলার এবং কোচ। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন স্প্যানিশ লা লিগার ক্লাব লেগানেসের। খেলোয়াড়ি জীবনে এবং কোচ হিসেবে- খুব কাছ থেকে দিয়েগো ম্যারাডোনা এবং লিওনেল মেসিকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে হয়েছে অ্যাগুইরোর। সে অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ থেকে দুই আর্জেন্টাইনকেই অসাধারণ হিসেবে উল্লেখ করলেন তিনি। তব দুজনের পার্থক্য খুঁজে পেলেন, আচরণের মধ্যে। অর্থ্যাৎ, ম্যারাডোনা এবং মেসির মধ্যে পার্থক্যটা শুধু আচরণের। সাবেক মেক্সিকো কোচ হ্যাভিয়ের আগুইরো বলেন, আমি চারবার ম্যারাডোনার বিপক্ষে খেলেছি। সত্যিই এক অসাধারণ ফুটবলার ছিলেন তিনি। তাদের (মেসি এবং ম্যারাডোনা) দুজনের মধ্যে বড় পার্থক্যটা হচ্ছে, ম্যারাডোনা সাধারণ মাঠের মধ্যে হইচই করতো বেশি। অনেক বেশি কথা বলতো। সতীর্থদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করতো। শুধু সতীর্থই নয়, রেফারির সঙ্গেও অনেক কথা বলতেন। কিন্তু মেসি এসবের কিছুই করেন না। মেসি সম্পর্কে হ্যাভিয়ের আগুইরোর মূল্যায়ন হচ্ছে, মেসি হচ্ছেন একজন শান্ত এবং ধীর-স্থির প্রকৃতির খেলোয়াড়। আপনি শুধু তাকে বল দেবেন- এটুকুই। আপনি কখনো দেখবেন না, মেসি মাঠে জোরে কারো সঙ্গে কথা বলছে, না কোচ, না রেফারি এমনকি সতীর্থদের সঙ্গেও না। শুধু তাই নয়, বল নিতে গিয়ে আপনি তাকে একটা লাথি দিয়ে বসলেও সে কিছু বলবে না। কিন্তু ম্যারাডোনা ছিলেন সম্পূর্ণ উল্টো, ভিন্ন প্রকৃতির। তবে দুই ফুটবলারকেই অসাধারণ হিসেবে আখ্যায়িত করেন মেক্সিকোর সাবেক এই মিডফিল্ডার। তিনি বলেন, দুজনই হচ্ছেন অসাধারণ ফুটবলার। দুজনের খেলা দেখতেই আপনি ভালোবাসবেন। এমনকি তারা যদি আপনার প্রতিপক্ষও হয়, তবুও। ২০০২ বিশ্বকাপে মেক্সিকোর কোচ ছিলেন হ্যাভিয়ের আগুইরো। বিশ্বকাপের পরই স্প্যানিশ ক্লাব ওসাসুনায় যোগ দেন তিনি। ছিলেন ২০০৬ সাল পর্যন্ত। ওই সময়ই মেসির জাদুকরি ক্ষমতা দেখার সুযোগ হয় তার। ৬১ বছর বয়সী এই কোচ নিজেই বলেন, ২০০২ সালে সেভিয়ার মাঠে গিয়েছিলাম খেলতে। দল অনুশীলন করছিল, আমি ছিলাম মাঠে। এ সময় আমার ক্লাবের ম্যানেজার এসে আমাকে বললেন, এদিকে আসুন। অন্য মাঠে তখন চলছিল ছোটদের একটি ম্যাচ। বার্সেলোনার বিপক্ষে সেভিয়ার। ম্যানেজার আমাকে বললেন, বার্সেলোনার ওই ছোট ছেলেটার দিকে তাকান। তারা মাথায় ছিল লম্বা চুল। অনেকটাই ইঁদুরের মত লাগছিল। উচ্চতা হবে ৪ ফুট ১১ ইঞ্চির মত। মাত্র ১০ মিনিটের মাথায় সে গোল করে বসলো। কেউ তাকে থামাকে পারছিল না। পরের বছরই ওসাসুনা খেলেছিল বার্সেলোনার বিরুদ্ধে। আর সে (মেসি) তো ছিল সত্যিই দুর্দান্ত, আশ্চর্যজনক। এরপর মেসিকে থামানোর বেশ সুযোগ পেয়েছিলেন আগুইরো। ২০১০ বিশ্বকাপেও তিনি ছিলেন মেক্সিকোর কোচ। তার আগে ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কোচ। এরপর ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ছিলেন এস্পানিওলের কোচ। ২০১০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কোচ ছিলেন ম্যারাডোনাও। কিন্তু আগুইরো কোনোভাবেই পারেননি মেসিকে থামানোর ফর্মুলা খুঁজে বের করতে। তিনি বলেন, এটা ছিল খুবই কঠিন। আমি অনেকভাবে চেষ্টা করেছি তাকে থামাতে। ওয়ান ভার্সেস ওয়ান (ম্যান মার্কিং), টু অ্যাগেইনস্ট ওয়ান, তাকে লাথি দিয়ে- কিন্তু তাকে থামানোর উপায় ছিল না কোনোভাবেই। রোনালদোর সঙ্গেও মেসিকে তুলনা করলেন আগুইরো। তিনি বলেন, ক্রিশ্চিয়ানোর চেয়েও অনেক ভিন্ন এক ফুটবলার মেসি। তবে দুজনই খুব কঠিন। আপনাকে বুঝতে হবে তাকে (মেসিকে) একটা উপায়ে কেবল থামানো সম্ভব। সেটা হচ্ছে, যে কোনোভাবেই হোক তাকে বল রিসিভ করতে দেয়া যাবে না। তার আগেই সার্কিট কেটে দিতে হবে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৩ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3eKT99p
April 23, 2020 at 04:29AM
23 Apr 2020

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top