ঢাকা, ২৯ এপ্রিল - তারকাদের ধর্ম কর্ম নিয়ে ভক্তদের অনেক কৌতূহল। অনেকেই মনে করেন মিডিয়াতে কাজ করা তারকারা ধর্ম নিয়ে উদাসীন। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। সব তারকাই যার যার ধর্ম পালন করে থাকেন। মুসলিম তারকারাও রোজা রাখেন। রোজা নিয়ে শুটিং করেন, ব্যস্ত থাকেন নানা রকম কাজে। আর সবার মতো তাদেরও আছে রোজা রাখার অনেক মজার স্মৃতি। যা ফেলে আসা শৈশবে পড়ে আছে সোনালি স্মৃতি হয়ে। অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান তেমনি কিছু অভিজ্ঞতা জানালেন রোজা নিয়ে। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো- প্রতিবেদক : প্রথম রোজা রাখার মধুর স্মৃতি সম্পর্কে জানতে চাই...... জোভান : কত বছর বয়সে প্রথম রোজা রেখেছিলাম সেই কথা সঠিকভাবে মনে নেই। তবে অনুমান করে বলতে পারি খুব ছোটবেলা থেকেই রোজা রাখার অভ্যাস গড়ে উঠেছিলো। কারণ আমার পরিবার বেশ ধার্মিক। আমাদের ছোট বেলা থেকেই ধর্মীয় অনুশাসনে বড় হতে হয়েছে। প্রতিবেদক : প্রথম ইফতার বা সেহরির কোনো স্মৃতি কি মনে পড়ে...... জোভান : প্রথম রোজার দিনটা মনে নেই ওইভাবে। তবে সে সময়টা অনেক মজায় পূর্ণ ছিলো। বাবা সেহরি খাওয়ার জন্য ডেকে দিতেন। একটা বড় বড় ভাব নিয়ে সেহরি খেতাম। দিনভর রোজা রেখে খুব ফূর্তি নিয়ে ইফতার করতাম। খুব আনন্দময় দিন ছিলো। প্রতিবেদক : শৈশবে রোজার মজার কোনো স্মৃতি..... জোভান : অনেক স্মৃতিই আছে। যেমন সেহরিতে বাবা ও মায়ের ডেকে দেয়াটা মিস করি। বাড়িতে মজার সব রান্না হতো। খাবার নিয়ে একটা আগ্রহ থাকতো। নামাজ পড়া নিয়েও একটা বাড়তি আগ্রহ কাজ করতো তখন। আসলে শৈশব এমন একটা সময়, প্রতিটি মানুষই তা মিস করে। প্রতিবেদক : বড় বেলার রোজা আর এখনকার রোজায় কী পার্থক্য পান.....? জোভান : অনেক অনেক পার্থক্য। সে সময় বাড়িতে রোজার দিনগুলোতে উৎসব লেগে থাকতো। সবাই একসাথে সেহরি খেতাম, একসাথে ইফতারি। আর এখন তো ব্যস্ত জীবন। এবারে করোনার কারণে ঘরে বন্দি হয়ে থাকলেও গেল চার পাঁচটা বছর কোথায় সেহরি করে কোথায় ইফতার করেছি কোনো ঠিক নেই। পরিবারের সঙ্গে তো রোজা করাই হতো না৷ শুটিংয়ের সেটে কলিগদের সাথেই কেটেছে সময়। এখন কোয়ারেন্টাইনের এই সময়টাতে আবার পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ হচ্ছে। এখন কলিগদের মিস করছি। আর আমার বাবাকেও। তিনি নিউ ইয়র্কে আছেন। করোনার জন্য তো নিউ ইয়র্ক এখন রেড জোন। বাবার দুশ্চিন্তায় রোজা কাটছে এবার। প্রতিবেদক : ইফতার ও সেহরিতে কী ধরনের খাবারকে প্রাধান্য দেন.....? জোভান : একটু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। রোজা তো সংযমের সময়। সেই বিষয়টাও মাথায় থাকে। প্রতিবেদক : করোনাকালের এই ঘরবন্দী সময়ে রোজা নিয়ে অভিজ্ঞতা কেমন.....? জোভান : যেটুকু ভালো তা হলো পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারা। এছাড়া বলবো অনেক হতাশার। বাবাকে নিয়ে চিন্তা হয়। কলিগদের মিস করি। শুটিং মিস করছি। কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে না এখন। বিরক্ত লাগে। প্রতিবেদক : এবারের রোজায় বিশেষ কী প্রার্থনা করছেন....? জোভান : পৃথিবী আগের মতো হয়ে যাক। আবার সবাই মুক্ত হয়ে বাইরে থাকবো। প্রার্থনা করি যে যেখানে আছে সবাই যেন ভাল থাকে, সুস্থ থাকে। কোনো খারাপ খবর যেন শুনতে না হয়। সবাই সুন্দরভাবে সবগুলো রোজা যেন রাখতে পারি। এন এইচ, ২৯ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3cXTILb
April 29, 2020 at 04:59AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top