আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সবশেষ ম্যাচটি হয়েছিল এক মাসেরও বেশি সময় আগে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ক্রিকেটে এমন বিরতি আসেনি আর কখনও। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের কারণে বাধ্য হয়েই বন্ধ হয়ে গেছে সবধরনের খেলা। তবে খেলা বন্ধ হলেই যে খেলার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য সবকিছুই বন্ধ হয়ে যাবে- এমনটা কিন্তু নয়। গৃহবন্দী অবস্থায় খেলোয়াড়রা যেমন নানান মজার জিনিস করছেন, তেমনি তাদের জন্য চিন্তার খোরাকও রয়েছে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ছুটিতে। যেহেতু এখন সারাক্ষণই বাড়িতে থাকবেন ক্রিকেটাররা, ফলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া কিংবা চুক্তি করা খুবই সহজ। কারণ এখন সব ক্রিকেটারদের ওপর আইসিসির সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা সম্ভব নয়। তাই বিশ্বের সকল ক্রিকেটারদেরকে বাজিকরদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলে দিয়েছে আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এন্টি করাপশন ইউনিটের (আকসু) প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল সবার উদ্দেশ্যে দিয়েছেন এই সতর্ক বার্তা। তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে হয়তো আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া খেলাধুলায় সাময়িক বিরতি এসেছে। তবে তারা কিন্তু থেমে নেই। দুর্নীতিগ্রস্থরা ঠিকই সুযোগ খুঁজছে। যে কারণে আমরা সদস্য, খেলোয়াড় এবং খেলোয়াড়দের অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করছি। করোনার কারণে যে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে ক্রিকেটাররা, তা খেলার স্বচ্ছতার জন্যই হুমকি হতে পারে বলে মনে করেন মার্শাল। কারণ এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তুলনামূলক কম জনপ্রিয় ক্রিকেটাররা ফিক্সিংয়ের দিকেও পা বাড়াতে পারেন। মার্শাল বলেন, আমরা দেখছি যে পরিচিত বাজিকররা এ সময়টাকেই ব্যবহার করে। বিশেষ করে যখন খেলোয়াড়রা সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি সময় ব্যয় করে। আমরা সদস্য, খেলোয়াড় এবং খেলোয়াড়দের অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে একটা বড় নেটওয়ার্ক তৈরি করার চেষ্টা করেছি। যাতে করে খেলোয়াড়রা কোন ভুল কাজে না আগায়। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২০ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2xKgl6N
April 20, 2020 at 02:24AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top