ইসলামাবাদ, ২৩ এপ্রিল - সেলিম মালিক, একটা সময় পাকিস্তান দলের অন্যতম ব্যাটিং স্তম্ভ ছিলেন। বিশ্বজুড়ে নাম ডাকও ছিল। কিন্তু খেলোয়াড়ি জীবনে সবচেয়ে বড় ভুলটা করে বসেন ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে। ২০০০ সালে আজীবন নিষেধাজ্ঞা পান তিনি। যে নিষেধাজ্ঞা ২০০৮ সালে ওঠে যায় লাহোরের স্থানীয় আদালতের রায়ে। তবে পাকিস্তানের হয়ে ১০৩ টেস্টে ৫৭৬৮ আর ২৮৩ ওয়ানডেতে ৭১২০ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে এরপর আর ক্রিকেটে দেখা যায়নি। যেটিকে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার বলেই মনে করছেন পাকিস্তানের আরেক কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ইনজামাম উল হক। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেলিম মালিককে নিয়ে একটি ভিডিও দিয়েছেন ইনজামাম। যেখানে সাবেক এই সতীর্থের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তিনি। ইনজামামের মতে, মালিকের মানের একজন খেলোয়াড়কে দেশের জন্য কাজে লাগানো উচিত ছিল। তিনি বলেন, তার ক্যারিয়ারটা এভাবে শেষ হতে দেখা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এভাবে শেষ হওয়ার কথা ছিল না। তবে আমি বিশ্বাস করি, দেশের জন্য কিছু করতে তাকে দ্বিতীয় সুযোগ দেয়া উচিত। ভারতের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনও এই ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু তার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর ঠিকই ভারতীয় ক্রিকেটে কাজ পেয়েছেন। সেই উদাহরণ টেনে ইনজামাম বলেন, ভারতের মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনকে দেখুন, তার নামও কিন্তু এতে (ফিক্সিং) জড়িয়েছিল। কিন্তু তিনি এখন হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি। একইভাবে মালিককেও ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা উচিত। মালিকের মানের ব্যাটসম্যান খুব কমই পাওয়া যায় উল্লেখ করে ইনজামাম বলেন, যেভাবে মোহাম্মদ ইউসুফ, জহির আব্বাস খেলতেন কিংবা এখন যেমন বাবর আজম খেলে, মালিকও এই মানেরই খেলোয়াড় ছিলেন। পাকিস্তানের হয়ে ১০০-এর বেশি টেস্ট খেলে ৭ হাজারের ওপর রান করেছেন তিনি। কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যানকে তরুণদের পেছনে কাজে লাগানো যেত, এমন মত ইনজামামের। তার ভাষায়, নতুন প্রজন্ম হয়তো তার খেলা দেখেনি, কিন্তু তিনি গ্রেট ব্যাটসম্যান ছিলেন। খেলাটায় তার যে অন্তঃদৃষ্টি ছিল, আর কারও এমনটা দেখিনি। হয়তো ১০-১৫ বছর তিনি খেলার বাইরে, কিন্তু এখনও অনেক কিছু দেয়ার মতো আছে তার। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৩ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Vshfhn
April 23, 2020 at 03:17AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন