লন্ডন, ১০ এপ্রিল- করোনাভাইরাসে মৃত্যুভয়ে কাবু রাণীর দেশ যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবারের সর্বশেষ তথ্যমতে, যুক্তরাজ্যে এই ভাইরাসটিতে প্রাণ হারিয়েছে ৭ হাজার ৯৮৭ জন। আর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ৬৫ হাজার ৭৭ জন। তবে করোনাভাইরাসে সাদাদের তুলনায়, এশিয়ানরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে দেশটিতে। একই সাথে প্রাণ হারানোর তালিকায়ও এশিয়ানরা এগিয়ে আছে বলে জানান দেশটির ন্যাশনাল অডিট ও রিসার্চ সেন্টার। আবার এশিয়ানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। ন্যাশনাল অডিট ও রিসার্চ সেন্টারের দেওয়া তথ্য মতে, দেশটিতে করোনায় প্রাণ হারানো প্রথম রোগী ছিল এশিয়ান। গত ৩ এপ্রিল দেশটির আক্রান্ত হওয়া ২ হাজার জনের উপর গবেষণা করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্য মতে, দেশটির হাসপাতালে ভর্তি ৩৫ শতাংশ এশিয়ান। যা যুক্তরাজ্যের আক্রান্ত জনসংখ্যার ৩ গুণ বেশি। গবেষকরা বলছেন, প্রথম থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য বেশি এসেছে এশিয়ানরা। আর এ কারণে গত কয়েকদিনের কেসস্টাডির উপর গবেষণা করেন আমাদের গবেষকরা। তাছাড়া এশিয়ানরা কেন বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তার উপরও গবেষণা করা হয়। ন্যাশনাল অডিট ও রিসার্চ সেন্টারের দেওয়া তথ্য মতে, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় আছে ১৪ শতাংশ এশিয়ান। গবেষকরা বলছেন, ভাইরাসটিতে জাতিগতভাবে কোনো অঞ্চলের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তা নিয়ে এই প্রথম কেউ গবেষণা করলো। সত্যি বলতে গত কয়েকদিন এনএইচএসে যারা ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে তাদের উপর প্রাথমিক গবেষণা করা হয়। তবে যারা বাড়িতে প্রাণ হারিয়েছে তাদের গবেষণায় নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। লেইস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কামলেশ খুস্তি জানান, এশিয়নারা একই ঘরের মধ্যে পরিবারের অনেক সদস্য নিয়ে বসবাস করেন। তাছাড়া যেসব পরিবারের কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বা আক্রান্তরে চারপাশে ছিল, তারা অনেকেই নিজ পরিবারের গিয়ে হোম আইসেলেশনের নিয়মটি যথাযথ ভাবে মানেনি। যুক্তরাজ্যের সরকারি গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ৩০ শতাংশ বাংলাদেশি এক ঘরে পরিবারের ভাই-বোন, মা-বাবা ও ভাই-বোনদের সন্তান-সন্তানাদী নিয়ে যৌথ পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করে। যেখানে ২ শতাংশ সাদাগোষ্ঠী এভাবে বসবাস করেন। তাছাড়া ১৬ শতাংশ পাকিস্তানী, ১৫ শতাংশ আফ্রিকান, ২২ শতাংশ ইন্ডিয়ান মানুষ এমন বাড়িতে বসবাস করেন। গবেষকরা বলছেন, এশিয়ানরা যদি প্রথমেই করোনা নিয়ে সতর্ক থাকতো তাহলে তারা এতো বেশি আক্রান্ত হতো না। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এশিয়ানরা আরও সতর্ক হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন গবেষকরা। আর/০৮:১৪/১০ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2XpemiT
April 10, 2020 at 02:17PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top