ইসলামাবাদ, ১৭ এপ্রিল - পাকিস্তান ক্রিকেটে ধ্রুবতারার মতোই আবির্ভাব অফস্পিনার সাঈদ আজমলের। মাত্র ৬ বছরের ক্যারিয়ারে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন আজমল। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে লম্বা সময়ের জন্য বসেছিলেন র্যাংকিংয়ের শীর্ষে। তার হাত ধরে অনেক অনেক ম্যাচই জিতেছে পাকিস্তান। তবে এই সাফল্যযাত্রা খুব দীর্ঘায়িত হয়নি আজমলের। অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে দুইবার নিষিদ্ধ হন তিনি। ২০১৪ সালের পর সে অর্থে নিজের সেরা রুপে ফিরতে পারেননি। তার বোলিংয়ের কার্যকরী অস্ত্র দুসরাই নিষিদ্ধ করে দেয়া হয় অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে। যার ফলে ২০১৪ সালের পর টেস্ট ও ২০১৫ সালের পর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আর খেলা হয়নি ৪৩ বছর বয়সী এ অফস্পিনারের। আইসিসির এ অ্যাকশনজনিত নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে এখনও ক্ষোভ রয়ে গেছে আজমলের। তার মতে, স্রেফ পাকিস্তানি বলেই তার সঙ্গে এমনটা করতে পেরেছে আইসিসি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আইসিসির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে তিনি বলেছেন, ২০০৯ ও ২০১৪ সালের পরীক্ষাটা হুবহু একই ছিল। তবে একটা অমিল ছিল যে, ২০১৪ সালে তারা মেডিকেল কন্ডিশনের শর্তটা সরিয়ে দেয়। যেটা ২০০৯ সালেও ছিল। (মুত্তিয়া) মুরালিধরন ক্রিকেট ছাড়ার পর আইসিসি ভেবেছে, এই আজমল তো পাকিস্তানের, তারা আমাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবে না। দুই দফা বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হলেও ৩৫ টেস্ট, ১১৩ ওয়ানডে ৬৪ টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারটা বেশ উজ্জ্বলই ছিল আজমলের। টেস্টে ১৭৮, ওয়ানডেতে ১৮৪ এবং টি-টোয়েন্টিতে তার শিকার ৬৪টি উইকেট। ২০১৫ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন আজমল। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৭ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2VyTeUN
April 17, 2020 at 03:51AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top