ইসলামাবাদ, ০৪ এপ্রিল - পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জাভেদ মিঁয়াদাদ বলেছেন, সালমান, আসিফ ও আমিরদের মতো ম্যাচ পাতানো ক্রিকেটারদের এত অল্প সাজা যথেষ্ট নয়। তাদের ফাঁসিতে ঝোলান উচিত। ফিক্সিংয়ে শাস্তি ভোগ শেষে তিন পাক ক্রিকেটারের খেলায় ফেরা প্রসঙ্গে সম্প্রতি ইউটিউবে এক ভিডিওবার্তায় এমন মন্তব্য করেন সাবেক এই পাক অধিনায়ক। জাভেদ মিঁয়াদাদ বলেন, যেসব খেলোয়াড় ফিক্সিংয়ে জড়িত হয়, তাদেরকে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেয়া উচিত। আমি তো বলি, ফিক্সারদের ফাঁসিতে ঝোলান উচিত। কারণ খেলায় ফিক্সিং করা আর কাউকে হত্যা করা সমান অপরাধ। অতএব হত্যাকারীর ফাঁসি হলে ম্যাচ ফিক্সারদের হবে না কেন? শাস্তিটা সমান হোক। তিনি আরও বলেন, ফিক্সিংয়ের বিরুদ্ধে এমন আইন করা জরুরি যে, যাতে কোনো খেলোয়াড় লোভে পড়ে এমন পথে পা না বাড়ায়। এ সময় ফিক্সিং করলে ইসলাম ধর্মের অনুশাসন লঙ্ঘন হয় বলে সতর্ক করেন মিঁয়াদাদ। তিনি বলেন, ম্যাচ পাতাতে জুয়াড়িদের সঙ্গে হাত মেলানো কখনোই ইসলাম সমর্থন করে না। এটি আমাদের ইসলাম ধর্মের শিক্ষারও অপমান। এরপর ফিক্সারদের বিষয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের শাস্তিবিধান নিয়ে সমালোচনা করেন জাভেদ। তিনি বলেন, আসিফ-আমিরদের আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ দিয়ে ভালো করেনি পিসিবি। কারণ তারা শুধু ক্রিকেটের সঙ্গেই প্রতারণা করেনি, নিজের পরিবারকেও অপমানিত করেছে। ফিক্সারদের মাফ করে দিয়ে পিসিবি ভালো করছে না। উল্লেখ্য, জুয়াড়িদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাতানো ম্যাচ খেলার ইতিহাস পাকিস্তান ক্রিকেটে অনেক রয়েছে। ম্যাচ ফিক্সিং বা স্পট ফিক্সিং করে ক্রিকেট থেকে ছিটকে গেছেন দেশটির বাঘা বাঘা ক্রিকেটার। এসব ফিক্সারদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক পাক ওপেনাপর সালমান বাট, দুই পেসার মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির। ২০১০ সালে একই ম্যাচে সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির- একসঙ্গে স্পট ফিক্সিং করেন। সেই ফিক্সিংয়ে সাজা ভোগ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন মোহাম্মদ আমির। ১০ বছর সাজা ভোগ শেষে আসিফ ও বাটও রয়েছেন ফেরার অপেক্ষায়। সুত্র : যুগান্তর এন এ/ ০৪ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2XcgTN9
April 04, 2020 at 11:34AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন