ঢাকা, ১৮ এপ্রিল - করোনায় সব ক্রিকেটীয় কার্যক্রম বন্ধ। প্রথম শ্রেণি ও প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেয়া ক্রিকেটারদের অনেকেরই হাত টানাটানি চলছে। এ রকম অবস্থায় হঠাৎ করেই মিলেছে তিন মাসের বেতন। বিসিবি অগ্রিম না দিলেও প্রথম শ্রেণির ৯১ ক্রিকেটার একসঙ্গে জানুয়ারি থেকে মার্চ- এই তিন মাসের বেতন পেয়েছেন কদিন আগেই। এ অর্থ প্রাপ্তি অনেক ক্রিকেটারের জন্যই আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। তবে বিপরীত প্রতিক্রিয়াও কিন্তু আছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের ধারণা ছিল তাদের বেতন বাড়বে; কিন্তু ব্যাংকে জমা হওয়া অর্থর পরিমাণ দেখে নিশ্চিত হওয়া গেল এক টাকাও বেতন বাড়েনি। সুতরাং, বেতন না বাড়ায় অনেক ক্রিকেটারই হতাশ এবং অসন্তুষ্ট। তবে বর্তমান পরিবেশ ও প্রেক্ষাপটে কেউই সরাসরি মুখ ফুটে প্রতিবাদ করতে নারাজ। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার তাদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। সবার একটাই কথা, আমরা যখন ১০-১২টি দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছিলাম, পরে বোর্ডের কাছে লিখিতভাবে সেই দাবি দাওয়া সমূহ পেশ করেছিলাম, সেখানে চার নম্বর দাবি ছিল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানো। আমরা বলেছিলাম প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের যে তিন ক্যাটাগরিতে মাসিক বেতন দেয়া হয়, সেটা নেহায়েত অপ্রতুল। তা দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। আমাদের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, গড়ে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ বেতন বাড়ানো হবে। আমরা ভেবেছিলাম, যেহেতু সব দাবি মেনে নেয়া হয়েছে, তাই আমরা যারা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে গড়-পড়তা ২২ হাজার থেকে ২৮ হাজার প্লাস মাসে বেতন পাই, তাদের বেতন বেড়ে গড়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে হবে; কিন্তু হায়! বাস্তবে এক টাকাও বাড়ানো হয়নি। নতুন বছরে ব্যাংকে সেই আগের অংকের টাকাই জমা পড়েছে। বেশ কজন ক্রিকেটার বেশ আক্ষেপ নিয়েই বলেছেন, আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনেক টাকা বেতন বেড়েছে। জাতীয় লিগের ম্যাচ ফিও বাড়ানো হয়েছে। আমরা তা পেয়েছি। পেয়ে ভাল লেগেছে। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও আমাদেরই ভাই। তাদের বেতন বাড়ানোর সাথে আমাদের বেতন না বাড়ানোটা সাংঘর্ষিক নয়। তবে বোর্ড যেহেতু আমাদের একটি ছাড়া সব দাবিই মেনে নিয়েছে। শুধু আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের মাসিক বেতনটা কেন বাড়ানো হলো না? বিষয়টা বুঝে উঠতে পারছি না। প্রসঙ্গতঃ গত বছর সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ১২টি দাবি নিয়ে ক্রিকেটাররা বড় ধরনের আন্দোলনে গিয়েছিলেন। যার মধ্যে একটি ছিল সাবেক ক্রিকেটার দিয়ে পরিচালিত ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন (কোয়াব)-এর কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি করতে হবে এবং সেটা বর্তমান ক্রিকেটারদের দিয়ে পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ক্রিকেটারদের সেই আল্টিমেটামের জবাবে বলেছিলেন, এটা কোয়াবের আভ্যন্তরীন ব্যাপার। কোয়াব বোর্ডের অধীনস্থ সংস্থা নয়। ক্রিকেটারদের দেখভালের সংগঠন। কাজেই এটা বোর্ডের বিষয় নয়। এছাড়া ক্রিকেটারদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি, জাতীয় লিগ তথা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ ফি বাড়ানো ও আনুসাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং নারী ক্রিকেটারদেরও বেতন বাড়ানোর সমুদয় দাবি বিসিবি সভাপতি মেনে নিয়েছিলেন। সে সব দাবি পূর্ণ হয়েছে; কিন্তু অপূর্ণ থেকে গেছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি। তাদের ৩০ থেকে ৪০ ভাগ বহদুরে, একটাকাও বাড়ানো হয়নি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৮ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3eBMxdt
April 18, 2020 at 02:54AM
18 Apr 2020

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top