ঢাকা, ১৪ মে - করোনাভাইরাসের কারণে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেয়ায়, জাতীয় দলের বিদেশি কোচিং স্টাফদের চুক্তি পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শুরুতে বলা হয়েছিল, অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডের মতো বিসিবি বেতন কাটার পথে হাঁটবে না। তবে করোনা পরিস্থিতির সময়কাল পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় এখন নতুন করে সবকিছু পর্যালোচনা করতে বসবে বোর্ড। আপাতত বন্ধ রয়েছে বিসিবি দাপ্তরিক কার্যক্রম। সবাই কাজ করছেন বাসায় বসে। অফিস শুরুর পর প্রয়োজনে বিদেশি কোচদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পর বিদেশি কোচদের সবাই ফিরে গেছেন নিজ নিজ দেশে। করোনাভাইরাসের কারণে এখন রয়েছেন লকডাউন অবস্থায়। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও রয়েছেন অনির্দিষ্টকালীন ছুটিতে। সবার অপেক্ষা একটাই, পরিস্থিতি যে দ্রুত স্বাভাবিক হয় এবং তারা মাঠে ফিরতে পারেন। তবে সবকিছু স্বাভাবিক হলেও, যদি করোনায় ক্রিকেট বোর্ডের ৫-৬ মাসের রাজস্ব হারিয়ে যায়, তাহলে কোচদের চুক্তির ব্যাপারে নতুন করে ভাববে বিসিবি। বুধবার ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান আকরাম খান। জাতীয় দলের বিদেশি কোচিং স্টাফদের মধ্যে হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন এবং ফিজিও হুলেন ক্যালেফাতোর সঙ্গে রয়েছে বাৎসরিক চুক্তি, এছাড়া স্পিন পরামর্শক ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি এবং ফিল্ডিং কোচ রায়ান সঙ্গে চুক্তি দিন ভিত্তিতে। গতবছরের ২০ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত ১০০ দিনের চুক্তি করা হয়েছে ভেট্টোরির সঙ্গে। বিনিময়ে প্রতিদিন আড়াই হাজার ডলার করে পান এ কিউই কিংবদন্তি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বেতন কাটার প্রসঙ্গ চলেই আসবে জানিয়ে আকরাম বলেন, সবকিছু স্বাভাবিক হতে হতে যদি আমরা ৫-৬ মাস হারিয়ে ফেলি, তাহলে কোচদের চুক্তির ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে হবে আমাদের। অবশ্যই উভয়পক্ষের কথা চিন্তা করেই যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভেট্টোরির পেছনে খরচ অনেক। তাই দেখতে হবে তার সঙ্গে কীভাবে সব সমাধান করা যায়। তবে বোর্ডের আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেহেতু ১০০ দিনের ভিত্তিতে ভেট্টোরির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে, তাই যে কয়দিন কাজ করবেন তিনি, ঠিক ততদিনের বেতনই দেয়া হবে তাকে। তিনি বলেছেন, সে (ভেট্টোরি) যতদিন কাজ করবে, আমরা ঠিক ততদিনের টাকাই তাকে দিবো। যেহেতু দৈনন্দিন ভিত্তিতে চুক্তি, তাই এর বেশি দেয়ার কোন কারণ নেই। যাদের সঙ্গে আমাদের দৈনন্দিন ভিত্তিতে চুক্তিতে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে। বাকিদের ব্যাপারে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। অন্যান্য দেশ যা করবে, আমরাও তাই করব। হেড কোচ ডমিঙ্গো যোগ দিয়েছেন ২০১৯ সালের আগস্টে, চুক্তি শেষ হবে ২০২১ সালের আগস্টে। পেস বোলিং কোচ গিবসনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এবং ২০২১ সালের নভেম্বরে শেষ হবে ক্যালেফাতোর চুক্তির মেয়াদ। গত মার্চে যোগ দেয়া ট্রেইনার ট্রেভর লির সঙ্গে চুক্তিটা ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৪ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Asnlq7
May 14, 2020 at 06:48AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন