খেলোয়াড়ি জীবনে অনেক ভক্তের দেখাই পেয়েছেন লিওনেল মেসি, রোনালদিনহোরা। তবে এমন ভক্তের দেখা নিশ্চয়ই পেতে চাননি তারা! কেননা তারা যে শেষ বিদায়ের দিন শোকপ্রকাশের বদলে রীতিমতো গানবাজনা করে নাচানাচির ব্যাপারে ওস্তাদ। বলা হচ্ছে, ঘানার কফিন পলবিয়ারারদের কথা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে এরই মধ্যে ভাইরাল তারা। এদের কাজই হলো যখন কেউ মারা যায়, তখন শেষকৃত্যের জন্য মৃতব্যক্তির মরদেহ নেয়ার সময় নাচানাচি করা। এতে মৃত ব্যক্তির বিদায়টা আনন্দের হয় বলে মনে করে এ দলটি। তাদের ইচ্ছা, ফুটবল জগতের কিছু মানুষের শেষকৃত্যের সময় কফিন কাঁধে নিয়ে নাচানাচি করা। কোন ফুটবলারদের শেষকৃত্যে নাচতে চান ঘানার এই কফিন পলবিয়ারাররা? ফরাসি ফুটবলবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ফুট মারকাটোর এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পলবিয়ারার প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা বেঞ্জামিন আইদু। তিনি বলেন, আমি অবশ্যই সবার দীর্ঘ আয়ু কামনা করি। তবে যদি সুযোগ পাই... আসলে স্বপ্ন দেখি রোনালদিনহোর শেষকৃত্যে নাচছি। এরপর (ডিয়েগো) ম্যারাডোনা এবং সবশেষে মেসি। রোনালদিনহো হচ্ছেন এমন একজন যিনি সবসময় আমাকে মুগ্ধ করেছেন। এটা হচ্ছে একজন নৃত্যশিল্পীর পক্ষ থেকে আরেক শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা যিনি ফুটবল মাঠেই নাচতেন। শেষকৃত্যের নাচানাচির বিষয়টি অদ্ভুত ঠেকলেও, বেশ সফলতার সঙ্গে এক যুগের বেশি সময় ধরে এটি পরিচালিত করছেন আইদু। ২০০৭ সালে ঘানার আক্রায় নানা ওতাফ্রিজা পলবিয়ারিং এবং ওয়েটিং সার্ভিস নামে দুটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন আইদু। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে এরই মধ্যে তাদের কার্যক্রম দেখেছেন সারাবিশ্বের অনেক মানুষ। কিন্তু এমন অদ্ভুত কিছুর চিন্তা মাথায় আসল কীভাবে? আর সাধারণ মানুষই বা কেন এত সহজে নিয়েছে পলবিয়ারারদের নাচানাচি? এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আইদু বলেন, কিছু মানুষ আর কাঁদতে চায় না। অন্যরা হয়তো কাঁদে। কিন্তু তাঁরা কাঁদতে চাক বা না চাক, আমরা সবাইকে খুশি করি। আমরা যা করি, তাতে অন্যরা খুশি হয়। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১১ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2yBgvhx
May 11, 2020 at 06:53AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন