লকডাউনের জন্য সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিক রয়েছেন দুই দেশে। শোয়েব পাকিস্তানে, আর সানিয়া পুত্র ইজহানকে নিয়ে রয়েছেন হায়দরাবাদে নিজের বাড়িতে। তবে পিতা-পুত্রের দূরত্ব ভাবিয়ে তুলছে সানিয়াকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ চ্যাটে এসে টেনিসের গ্ল্যামার কুইন জানালেন, পুত্র ইজহান কবে আবার বাবা শোয়েবকে দেখতে পাবে, তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছি। পাকিস্তানের শিয়ালকোটে আটকে পড়েছে শোয়েব। আমি হায়দরাবাদে। এই পরিস্থিতি বেশ কঠিন। পাকিস্তানে শোয়েবের ৬৫ বছর বয়সি মা রয়েছেন। তাই শোয়েবের ওখানে থাকা ভীষণ প্রয়োজন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে পুত্র ইজহানের জন্মের পর বেশ কয়েকমাস কোর্টের বাইরে ছিলেন সানিয়া। এ বছর জানুয়ারিতে কোর্টে ফিরেই হোবার্টে তিনি ডাবলস খেতাব জেতেন নাদিয়া কিচেনকের সঙ্গে জুটি বেঁধে। এরপর ১৮ মাসের ছেলেকে বাড়িতে রেখে দীর্ঘ চার বছর বাদে ফেড কাপেও খেলেছেন সানিয়া। প্রথমবার ফেড কাপের মূলপর্বে ভারতকে নিয়ে যান তিনি। সম্প্রতি সানিয়া আবার ফেড কাপের হার্ট অ্যাওয়ার্ডও জিতেছেন। তবে লকডাউনে টেনিস নিয়ে একেবারেই চিন্তা করছেন না সানিয়া। বরং করোনার জেরে উদ্ভুত সঙ্কটকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা তাঁর কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সর্বকালের সেরা মহিলা টেনিস তারকা জানিয়েছেন, ত্রাণ তহবিল গড়ে রমজানের মাসে যাকাতের কাজ করছি। তবে আমি মনে করে, এই সাহায্য যথেষ্ট নয়। সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিদিনের রোজগারে যাদের সংসার চলে তাদের অবস্থা অনুভব করতে পারছি। আমার মতো অনেকেই সাহায্য করার মতো অবস্থায় রয়েছে। আমি যতটা সম্ভব সাহায্য করছি। তিন সপ্তাহের মধ্যে ইউথ ফিড ইন্ডিয়া মুভমেন্টের মাধ্যমে আমরা ৩.৩ কোটি টাকার ফান্ড করেছি। তবে আমাদের দেশের জনসংখ্যা এতটাই বেশি যে এই সাহায্য কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে আমরা নিজেরাই সংশয়ে রয়েছি। দেশকে ফেড কাপের মূলপর্বে তুলেই সানিয়া ক্যালিফোর্নিয়ায় উড়ে গিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান ওয়েলস মাস্টার্স খেলতে। তবে সেখানে পৌঁছে সানিয়া জানতে পারেন ভাইরাসের সংক্রমণে টুর্নামেন্টই বাতিল হয়ে গিয়েছে। অলিম্পিকস এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায় মোটিভেশনও নষ্ট হয়েছে সানিয়ার। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা অ্যাথলেটদের জন্য খুবই খারাপ খবর। যারা অলিম্পিকসের কথা ভেবে প্রস্তুতি নিয়েছিল, তাদের ক্ষতি হয়েছে। টেনিসে তবু গ্র্যান্ড স্ল্যামসহ অনেক টুর্নামেন্ট রয়েছে। অনেক খেলায় টুর্নামেন্টের সংখ্যা খুবই কম। তাদের কথা ভেবে আমি খুবই হতাশ হয়েছি। সানিয়া মনে করছেন, করোনা ভাইরাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত টেনিস বন্ধ রাখা উচিত। তার কথায়, এমন সময় কেউ ভ্রমন করলে সংক্রমণের শিকার হতে পারে। বিভিন্ন দেশের কয়েক শত প্রতিযোগীকে নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হবে। এটা অনেক বড় ঝুঁকি হয়ে যাবে। সূত্র: ঢাকাটাইমস এম এন / ১৮ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3cHI6MJ
May 18, 2020 at 10:00AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন