ইসলামাবাদ, ০৯ মে - পাকিস্তানের ক্রিকেটে শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটা বেশ নড়বড়ে। সাবেক থেকে শুরু করে বর্তমান ক্রিকেটার, সুযোগ পেলেই একজন আরেকজনের সমালোচনায় মেতে উঠেন। যেটি নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে আলোচনা হয়, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপও কম হয় না। কিন্তু যুগের পর যুগ এমন কাণ্ড হয়েই আসছে। পাকিস্তান ক্রিকেটের গৃহযুদ্ধে সর্বশেষ সংযোজন আমির সোহেল বনাম ওয়াসিম আকরাম। মৌচাকে ঢিলটা অবশ্য দিয়েছিলেন আমির সোহেলই। পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য এই দুজন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কত ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু সম্প্রতি পাকিস্তানের এক টিভি চ্যানেলে সাবেক সতীর্থ ওয়াসিম আকরামকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন আমির সোহেল। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জয়ের পর পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন ওয়াসিম, তার সহ-অধিনায়ক ছিলেন আমির সোহেল। ১৯৯৬ বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেন ওয়াসিম। তখনও আমির সোহেল ছিলেন তার সহকারী। অথচ বিশ্বকাপের আগের বছরও ওয়াসিম নেতৃত্বে ছিলেন না। আমির সোহেল বলেন, বিষয়টা খুব সহজ। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ একপাশে রেখে ৯৬ সালের ব্যাপারে কথা বলি। বিশ্বকাপের আগের বছর অধিনায়ক ছিলেন রমিজ রাজা। তার আগে অধিনায়ক ছিলেন সেলিম মালিক এবং খুব সফলও ছিলেন। তাকে আরেকটা বছর করতে দিলে কিন্তু ওয়াসিম আর অধিনায়ক হতে পারত না। আপনি যদি ২০০৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ঘটনাগুলো দেখেন, প্রতিবার একটা জিনিস হয়ে আসছিল, বিশ্বকাপ এলেই অধিনায়ক বদলাও এবং ওয়াসিমকে সেই দায়িত্ব দাও- বলেন আমির সোহেল। তিনি আরও যোগ করেন, দেশের ক্রিকেটে ওয়াসিমের সবচেয়ে বড় অবদান হলো, ৯২ সালের পর পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জিততে না দেয়া। সে যদি একটু সচেতনভাবে চেষ্টা করতো, তাহলে আমরা ১৯৯৬, ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ সহজেই জিততে পারতাম। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোন কারণ রয়েছে। এগুলো তদন্ত করা দরকার। সাবেক সতীর্থের মুখে এমন কথা শুনে ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন ওয়াসিম আকরাম। সুলতান অব সুইংখ্যাত পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার মনে করেন, অবসর নেয়ার ১৭ বছর পরও কেউ তার নাম নিয়ে এভাবে নাড়াচাড়া করবে, বিষয়টি শোভনীয় নয়। পাকিস্তানি সাংবাদিক সাজ সাদিকের টুইট থেকে ওয়াসিমের ভাষ্য পাওয়া যায় এমন, আমাকে নিয়ে এমন নেতিবাচক কথা বলা হলো, শুনে খুবই কষ্ট পেয়েছি। ১৭ বছর হলো ক্রিকেট ছেড়েছি, অথচ মানুষ এখনও তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমার নামটা ব্যবহার করে আসছে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৯ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2WEjkGp
May 09, 2020 at 06:14AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top