ক্যানবেরা, ১৩ মে - ক্রিকেটারদের জীবনে কত কিছুই না ঘটে। তবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেইন যেমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন, দ্বিতীয়বার কেউই এমন অবস্থায় পড়তে চাইবেন না। সম্প্রতি কিপিং ইট রিয়েল পডকাস্টে নিজের বিব্রতকর এক অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। খুব বেশিদিন হয়নি, গত বছরের সেপ্টেম্বরের ঘটনা। অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্ট চলছিল ওল্ড ট্রাফোর্ডে। যে টেস্টটির পঞ্চম দিনের শেষ বিকেলেও ছিল টান টান উত্তেজনা। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের রাস্তায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ইংল্যান্ডের লোয়ার অর্ডাররা। দিন পার করে দিলে টেস্টটা হয়ে যেত ড্র। ম্যাচের তখন সাত ওভারের মতো বাকি, অস্ট্রেলিয়ার দরকার এক উইকেট। এমন সময়ে প্রকৃতির ডাক পড়ে টিম পেইনের। ম্যাচের শেষ মুহূর্ত, ড্রিংকস ব্রেকও ছিল না। এদিকে আকাশ কালো করেছে মেঘে। আম্পায়াররা বেশ কয়েকবার আলো পরখ করে দেখলেন। পুরো মাঠে পিনপতন নীরবতা। সে দিন কেমন চাপে ছিলেন বর্ণনা করতে গিয়ে অসি অধিনায়ক বলেন, আমার কিছুটা অসুস্থ লাগছিল। এদিকে গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের উপর বিশাল কালো মেঘ ঘুরছে। আমাদের হাতে মাত্র সাত ওভার বাকি, উইকেট প্রয়োজন একটি। ড্রিংকস ব্রেক বাকি ছিল না আর, আম্পায়াররা লাইট (আলোকস্বল্পতা) নিয়ে কথা বলছিলেন। এদিকে পেট ডেকেই চলেছে পেইনের। মাথায় তার ঘুরছিল, টয়লেটে যেতেই হবে। কিন্তু উপায়? সেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির কথা পেইন বলছিলেন এভাবে, আমার ভীষণ অসহনীয় লাগছিল। টয়লেটে যেতেই হতো...দুই নম্বর পেয়ে বসেছিল। আমার মাথায় শুধু ঘুরছিল, আর সময় নষ্ট করতে পারব না, আমাকে যেতেই হবে। এমন সময়ে আবার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের কথাও মনে হচ্ছিল পেইনের। গুরুত্বপূর্ণ এই মুহূর্তে দলের অধিনায়ক পেইন যদি মাঠ ছাড়েন, তবে বকা খেতে হবে তার। আমি শুধু ভাবছিলাম, তারা (আম্পায়ার) ম্যাচটা এখানেই বন্ধ করে দেবেন আর আমরা সমালোচনায় পড়ব। তাই আমি মাঠ ছাড়তে পারছিলাম না। আমি জানতাম, এমনটা করলে জেএল (কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার) আমাকে বের করে দেবেন-বলেন পেইন। শেষতক প্যান্টেই কাজ সারার কদর্য সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলেন। প্রথম স্লিপে ছিলেন ওয়ার্নার, তাকে ঘটনাটা জানান অসি অধিনায়ক। পরিস্থিতিটা ছিল যেমন হাস্যকর, তেমনি বেদনাদায়কও। পেইনের ভাষায়, মনে আছে ডেভি ওয়ার্নারকে বলেছিলাম-আমি এটা করে ফেলব এবং করেও ফেলি। সম্ভবত মিচ স্টার্ক বল করছিল ওদের ওভারটনকে। ভাগ্য ভালো বলটা এজ হয়নি। আমার আর ওয়ার্নারের চোখে বলতে গেলে পানি চলে এসেছিল, আমরা হাসি আটকে রাখতে পারছিলাম না। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৩ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3dGA6vv
May 13, 2020 at 05:12AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top