ঢাকা, ১৪ মে - ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে প্রতি বছর প্রচুর নাটক নির্মাণ হয়ে থাকে। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণে থমথমে হয়ে আছে সবকিছু। অনেকদিন ধরেই সব রকমের শুটিং বন্ধ। তবে সম্প্রতি লকডাউন অমান্য করে শুটিং করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন নির্মাতা, তারকা ও কলাকুশলীদের বিরুদ্ধে। গেল ২২ মার্চ থেকে সব শুটিং বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় নাটক-সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। সরকারী সাধারণ ছুটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত সব ধরণের শুটিং বন্ধ থাকবে। কিন্তু তার আগেই শুটিং করছে কেউ কেউ। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও ঈদের অনুষ্ঠানের শুটিং হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। ঈদে কিছু টিভি চ্যানেল ইনহাউস শুটিং করেছে। শুধু টিভি চ্যানেলই নয় অনেক ইউটিউবাররা নিজস্ব চ্যানেলে ভিউ বাড়াতে গোপনে কনটেন্ট তৈরি করছেন। তবে এই সময় শুটিং করা মানে নিজেকেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া। তবুও চলছে শুটিং। সম্প্রতি পূবাইলের হাসনাহেনা শুটিং হাউসে ঈদের জন্য ৭ পর্বের ধারাবাহিকের শুটিং করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে আদিবাসী মিজানের বিরুদ্ধে। এনটিভিতে ঈদের অনুষ্ঠান মালায় প্রচার হওয়ার কথা নাটকটির। তবে নির্মাতা শুটিংয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এদিকে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম সবাইকে আইন মেনে চলার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, শুটিং চলার খবর পেয়ে আমরা সেটা বন্ধ করে দিয়েছি। তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করেছেন। শুটিং বন্ধ করে চলে এসেছেন। সবাইকে অনুরোধ করবো কেউ শুটিং করবেন না পরবর্তী নির্দেশনা আসার আগে। ১৪-১৫ তারিখের পর কিছু সিদ্ধান্ত নিবো আমরা। এবার টিভি চ্যানেলগুলো বেশির ভাগ পুরনো অনুষ্ঠান দিয়ে সাজাচ্ছেন ঈদের আয়োজন। লকডাউনের আগে নির্মিত নাটকগুলো প্রচার হবে ঈদে। এছাড়া টেলিভিশর চ্যানেলের আয়োজন নিরবেই ঈদের কিছু অনুষ্ঠানের শুটিং হচ্ছে। ঈদে দেখানো হবে সেগুলোও। সাময়িক লাভের জন্য লকডাউন ভেঙে শুটিং করা, একরকম জীবনের ঝুঁকি নেওয়া ও আইনের লঙ্ঘণ। তাই সবাইকে নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন নাটকের সংগঠন গুলো। এখন শুধু আগামী নির্দেশনা আসার অপেক্ষা। এন এইচ, ১৪ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2LnukCW
May 14, 2020 at 05:58AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন