দোহা, ২২ মে- এইতো কিছুদিন আগেই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ অর্থাৎ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের নিয়ে ব্যস্ত ছিল কাতার। কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারির থাবায় এখন এখন হুমকির মুখে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ। ইতিহাসের সবচেয়ে জমকালো বিশ্বকাপ উপহার দিতে মরিয়া কাতারের জন্য এ এক বিশাল ধাক্কা। করোনা পরিস্থিতির কারণে কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক কর্তৃপক্ষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কারণ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের অর্থনীতির চাকা আপাতত বন্ধ হয়ে আছে। লকডাউনের কারণে জনজীবনও আর আগের মতো স্বাভাবিক নেই। পুরো বিশ্বে মহামন্দা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কার্যত গ্যাঁড়াকলে পড়ে গেছে কাতার। বিশ্বে যখন মৃত্যুর মিছিল আর আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে, তখন বিশ্বকাপ নিয়েও ভিন্ন পথে হাঁটতে হবে কাতারকে। এরইমধ্যে দর্শক আকর্ষণের জন্য টিকিটের মূল্য কমানোর চিন্তাভাবনাও শুরু করে দিয়েছে বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এমনটাই জানিয়েছে। বুধবার (২১ মে) স্পোর্টস অনলাইন ফোরাম লিডার্সউইক.ডাইরেক্ট-এ কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির মহাসচিব হাসান আল-তোহিদী বলেন, গোটা বিশ্বেই আর্থিক মন্দা আসতে চলেছে। এসময় সমর্থকরা বিদেশ থেকে এসে বিশ্বকাপে যোগদান করে উপভোগ কীভাবে করবে, বিষয়টা নিয়ে আমরাও চিন্তিত। হাসান আল-তৌহিদী বলেন, আমার বিশ্বাস ২০২২ সালের মধ্যে আমরা সমন্বিতভাবে করোনা মহামারিকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। এটা (২০২২ বিশ্বকাপ) হবে আবার সবাই একসঙ্গে উদযাপন করার, সবাইকে একত্রিত করার একটা বড় সুযোগ। বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে ব্যয়বহুল সব স্টেডিয়াম বানাচ্ছে কাতার। করোনা মহামারির ধাক্কা সত্ত্বেও দেশটি চলতি বছরের মধ্যেই ৮টির মধ্যে ৬টি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শেষ করতে চায়। কাতার অবশ্য কিছুটা বাড়তি সময়ও পাচ্ছে। কারণ সাধারণত বিশ্বকাপ আসর শুরু হয় জুন-জুলাইয়ে। কিন্তু কাতারের গরম আবহাওয়ার কারণে সেটি ২০২২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও শিথিল হয়ে যাবে আশা করছে কাতার। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কথা ভেবেই বিশ্বকাপে টিকিটের মূল্য কমাতে চাইছে আয়োজক কমিটি, যাতে দর্শকখরা না দেখা দেয়। যদিও বিশ্বের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ায় বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের গ্যাসসমৃদ্ধ ধনী দেশটি। কাতার বিশ্বকাপের টিকিটের মূল্য কমানোর ব্যাপারে আল- তৌহিদী বলেন, আমরা আগেই বলেছি এই বিশ্বকাপ সমর্থকদের জন্য যথেষ্ট সাশ্রয়ী হবে। সমর্থকদের জন্য এই বিশ্বকাপ উপভোগ করার সবধরনের সাশ্রয়ী ব্যবস্থাই থাকবে। আমরা সমর্থকদের জন্য সাশ্রয়ী হওয়া এবং এই ইন্ডাস্ট্রির অর্থনৈতিক উন্নতিসাধন এই দুইয়ের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করতে কাজ করছি। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় আমরা এখনই এ নিয়ে চূড়ান্ত কিছু বলছি না। করোনার কারণে প্রায় সব বড় ক্রীড়া আসর এরইমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। এসব ক্রীড়া আসরের মধ্যে আছে টোকিও অলিম্পিক, ফুটবলে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপসহ বিভিন্ন দেশের ঘরোয়া লিগ। অলিম্পিক তো এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক লিগের মৌসুম বাতিলের খবরও আসছে নিয়মিত। সূত্র: বাংলানিউজ আর/০৮:১৪/২২ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ATk7ft
May 22, 2020 at 02:51PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top